নিত্যপণ্যের মজুত ও দাম স্থিতিশীল রাখতে সরকারি উদ্যোগ

রমজানের আগে চাল,গম ও সার আমদানির পরিকল্পনা

প্রকাশ : ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে এবং মজুত আরো শক্তিশালী করতে সরকারি পর্যায়ে চাল, গম, চিনি এবং ইউরিয়া সারের অতিরিক্ত আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে ক্রয় কমিটির বৈঠকের পর অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এ ঘোষণা দেন। তিনি জানান, এসব পণ্য আমদানির জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ এরই মধ্যে নিশ্চিত করা হয়েছে। সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আসন্ন রমজান উপলক্ষে খেজুর ও মসুর ডালের আমদানির অনুমতিও দেয়া হবে। বৈঠকে নিত্যপণ্যের ঘাটতি এবং মূল্যবৃদ্ধির বিষয়গুলো আলোচনা করে বাজারে চাহিদা অনুযায়ী সুলভ মূল্যে খাদ্যপণ্য সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দেন অর্থ উপদেষ্টা। এ দিন ক্রয় কমিটির ২০২৪ সালের ১১তম সভায় মোট আটটি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়, যার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের খাদ্যপণ্য আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বৈঠকে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে ভবিষ্যৎ খাদ্য মজুতের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের বিষয়েও আলোচনা হয়। অর্থ উপদেষ্টা জানান, নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে এসব আমদানিকৃত পণ্য দেশে আসতে শুরু করবে। সরকার ধান ও চালের ক্রয়মূল্য নির্ধারণ করেছে, যাতে কৃষকরা ন্যায্য মূল্য পান এবং বাজারে দাম সঠিক থাকে। এ প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা জানান, কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনার সময় এবং ভোক্তাদের কাছে বিক্রির মূল্য যেন কাছাকাছি থাকে, সেটাও নিশ্চিত করা হবে। একই সঙ্গে খাদ্যের সুষম প্রাপ্যতা, যেমন ভাতের সঙ্গে মাছ, মাংস, ডিম ও দুধের সুলভ সরবরাহ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে দায়িত্ব নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। বৈঠকে অনুমোদিত আমদানির মধ্যে রয়েছে ৫০ হাজার টন গম, যা আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে প্রতি টন ৩০১ দশমিক ৩৮ মার্কিন ডলার দরে ক্রয় করা হবে। এই গম কেনার জন্য মোট খরচ হবে ১৮০ কোটি ৮২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এ ছাড়া কাতার থেকে চতুর্থ লটের ৩০ টন ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে, যার মূল্য প্রতি টন ৩৮৯ দশমিক ৬৭ মার্কিন ডলার। এই সার ক্রয়ে ব্যয় হবে ১৪০ কোটি ২৮ লাখ ১২ হাজার টাকা। পাশাপাশি, ৫০ হাজার টন নন-বাসমতী সেদ্ধ চাল প্রতি মেট্রিক টন ৪৭৭ মার্কিন ডলার দরে ক্রয়ের অনুমোদন দেয়া হয়েছে, যার মোট খরচ হবে ২৮৬ কোটি ২০ লাখ টাকা। সরকার বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে শুল্ক ছাড়সহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। গতকালকের বৈঠকে গৃহীত এই সিদ্ধান্তগুলো বাজারের ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ের স্বার্থ রক্ষায় সহায়তা করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।