সরকার নির্ধারিত দরে বিক্রি করতে রাজধানীর আরো ১৩ বাজারে পাইকার ও ডিলারদের কাছে সরাসরি খামার থেকে ডিম পৌঁছে দেয়ার ?উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। গতকাল রোববার থেকে এসব স্থানে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ডিম সরবরাহ করবে বলে জানিয়েছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান। গত শনিবার ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ছায়া সংসদের বির্তক প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ডিমের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের অংশ হিসেবে গত ১৬ অক্টোবর থেকে উৎপাদক, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে মুরগির ডিম বিক্রির দর নির্ধারণ করে দেয় সরকার। উৎপাদক পর্যায়ে ১০ টাকা ৯১ পয়সা, পাইকারিতে ১১ টাকা ১ পয়সা দর ঠিক করে করে ভোক্তা বা খুচরায় ১১ টাকা ৮৭ পয়সায় ডিম বিক্রির সিদ্ধান্ত দেয়া হয়। সরকারিভাবে বেঁধে দেয়া এ দরে প্রতি ডজন ডিমের দাম পড়বে ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা। তবে এ দরে ডিম পাচ্ছেন না ভোক্তারা। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ সরকারি দরে বিক্রি করতে হলে এর চেয়ে কম দরে ডিম পাওয়া নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য উৎপাদক থেকে বাজারের ডিলার বা পাইকারদের কাছে ডিম পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করছে ভোক্তা অধিদপ্তর। এ পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ঢাকার কাপ্তান বাজার ও কারওয়ান বাজারের পাইকারদের কাছে দৈনিক ২০ লাখ ডিম পৌঁছে দেয়া হচ্ছিল। মহাপরিচালকের ঘোষণার বিষয়ে ভোক্তা অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা বলেন, এখন কাপ্তান বাজার ও কারওয়ান বাজারে দৈনিক ১৩ লাখ ডিম দেয়া হবে। অবশিষ্ট সাত লাখ পিস রাজধানীর দুই সিটি কর্পোরেশনের ১৩টি বাজারে দেয়া হবে।