ডিসেম্বরের মাঝামাঝি ভ্যাট সপ্তাহ, মিলবে ২৪ ধরনের সেবা

প্রকাশ : ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

সেবামুখী ও জনবান্ধব ভ্যাট বা মূসক ব্যবস্থাপনা নির্মাণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সারা দেশে আগামী ১০ ডিসেম্বর ভ্যাট দিবস পালন করা হবে। একই সঙ্গে ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর ভ্যাট সপ্তাহ পালন করবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সম্প্রতি মূসক করদাতা সেবার দ্বিতীয় সচিব প্রণয় চাকমার সই করা এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। গতকাল রোববার এনবিআর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ভ্যাট সপ্তাহ উপলক্ষে ব্যবসায়ী ও সেবা গ্রহীতারা ২৪ ধরনের সেবা পাবেন নিকটস্থ ভ্যাট কমিশনারেটে। এর মধ্যে রয়েছে- অনিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানসমূহকে ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন করে দেয়া, নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানসমূহকে ভ্যাট রেজিস্ট্রেশনে প্রয়োজনীয় সংশোধন করে দেয়া। প্রতিষ্ঠান সাময়িক বন্ধ করার আবেদন তৈরি করে দেয়া, ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন বাতিলের আবেদন প্রস্তুত করে দেয়া, ভ্যাট দাখিলপত্র অনলাইনে দাখিল, ভ্যাট দাখিলপত্রে সংশোধন করার আবেদন, কোনো ক্রয়ের ক্ষেত্রে রেয়াত পাওয়া যাবে কি না সে বিষয়ে পরামর্শ দেয়া হবে। এছাড়া কোনো ক্রয়ের ক্ষেত্রে উৎসে ভ্যাট কর্তন করতে হবে কি না সে বিষয়ে পরামর্শ দেয়া, কোনো সরবরাহ রপ্তানি হিসেবে গণ্য হবে কি না সে বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হবে। কোনো বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ভ্যাট প্রযোজ্য হবে কি না সে বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া, ভ্যাট অনলাইনের আইডি, পাসওয়ার্ড লক হয়ে গেলে করণীয় বিষয়ে পরামর্শ মিলবে। পাশাপাশি বিন লক হয়ে গেলে করণীয় বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হলে করণীয় বিষয়ে পরামর্শ দেয়া, ভ্যাট অফিস কর্তৃক গাড়ি, পণ্য আটক করা হলে করণীয় বিষয়ে পরামর্শ দেয়া হবে। আরও যেসব সেবা মিলবে তার মধ্যে রয়েছে- শতভাগ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান কোন পদ্ধতিতে গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ ইত্যাদি পরিষেবার ক্ষেত্রে ভ্যাট অব্যাহতি পেতে পারে সে বিষয়ে পরামর্শ, অনিবন্ধিত ভ্যাটদাতাকে ফোর্সড রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হলে করণীয় বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হবে। একই সঙ্গে ভ্যাট সংক্রান্ত হিসাবপত্র যেমন- চালানপত্র, ক্রয় হিসাব পুস্তক, বিক্রয় হিসাব পুস্তক ইত্যাদি কীভাবে লিখতে হয় তা হাতে-কলমে শেখানো হবে। পেছনের বা পূর্ববর্তী সময়ের দাখিলপত্র অনলাইনে আপডেট করা, বকেয়া পরিশোধে কিস্তি সুবিধার আবেদন, চলমান/বিচারাধীন মামলা এডিআরের (বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি) মাধ্যমে নিষ্পত্তির প্রক্রিয়া সম্পর্কে পরামর্শ দেওয়া, ভ্যাট সংক্রান্ত যেসব কাজ ম্যানুয়ালি বা অনলাইনে করে দেয়া সম্ভব সেগুলো করে দেয়া, ভ্যাট সংক্রান্ত যে কোনো বিষয়ে পরামর্শ দেয়া ও ভ্যাট ব্যবস্থাপনা ভ্যাটদাতাদের জন্য সহজীকরণ সংক্রান্ত অন্যান্য সেবা দেয়া হবে।