বাংলাদেশ সরকার সিঙ্গাপুর, সুইজারল্যান্ড এবং ব্রুনাই থেকে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একই সঙ্গে, ৫০ হাজার টন গম কেনার প্রস্তাবও অনুমোদিত হয়েছে। প্রথম কার্গোটি সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়া কোম্পানির কাছ থেকে প্রতি ইউনিট ১৪ দশমিক ১৩ ডলারে কেনা হবে। এতে সরকারের মোট ব্যয় হবে ৬৬৬ কোটি ৫৭ লাখ ৪২ হাজার ৭২০ টাকা। দ্বিতীয় কার্গোটি সুইজারল্যান্ডের টোটাল এনার্জিস কোম্পানির কাছ থেকে কেনা হবে। এই এলএনজি কার্গোটি প্রতি ইউনিট ১৪ দশমিক ৫৭ ডলারে কেনা হবে, যার ফলে মোট ব্যয় দাঁড়াবে ৬৮৭ কোটি ৩৩ লাখ ১০ হাজার ৮০ টাকা। সিদ্ধান্ত অনুসারে, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এবং মাসের মাঝামাঝি সময়ে এসব এলএনজি কার্গো দেশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। গত বুধবার সচিবালয়ে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত কমিটির সপ্তম সভায় অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সিঙ্গাপুর এবং সুইজারল্যান্ডের দুটি কোম্পানির কাছ থেকে দুই কার্গো এলএনজি কেনার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। একই বৈঠকে ব্রুনাই থেকে সরাসরি দীর্ঘমেয়াদে এলএনজি কেনার প্রস্তাবও পাস হয়েছে। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উত্থাপিত এই প্রস্তাবে ব্রুনাই এনার্জি সার্ভিস অ্যান্ড ট্রেডিংয়ের সঙ্গে সরাসরি চুক্তির মাধ্যমে তরল গ্যাস কেনা হবে। চুক্তিটি সরকার টু সরকার (জিটুজি) ভিত্তিতে হবে, যা সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে সম্পাদিত হবে। বাংলাদেশ বর্তমানে ওমান ও কাতার সরকারের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির আওতায় নিয়মিত এলএনজি আমদানি করে আসছে। তবে জ্বালানি সরবরাহের নির্ভরযোগ্যতা ও স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে এবং বহুমুখী উৎস তৈরি করতে ব্রুনাইকে নতুন উৎস হিসেবে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এই পদক্ষেপটি আগের সরকারের নেয়া নীতির ধারাবাহিকতায় জ্বালানি খাতে বাংলাদেশের স্থায়িত্বশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই গ্রহণ করা হয়েছে।