বিনিয়োগ বৈচিত্র্যকরণে বিডা ও ইউএনডিপি কর্মশালা অনুষ্ঠিত

প্রকাশ : ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

গতকাল বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) যৌথ আয়োজনে ঢাকার হোটেল র‌্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে ‘এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী অগ্রাধিকার খাতসমূহে বিনিয়োগ বৈচিত্র্যকরণ’ শীর্ষক একটি কর্মশালার অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় ইউকে ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস (এফসিডিও) এর অর্থায়নে এবং সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) পরিচালিত একটি গবেষণার গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল তুলে ধরা হয়। কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন। তিনি তার বক্তব্যে, তার শিক্ষাজীবনের অভিজ্ঞতা থেকে শুরু করে বিনিয়োগ ক্ষেত্রে বিদ্যমান কাঠামোগত চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরেন। এসময়ে তিনি বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নত করতে কাঠামোগত সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে বলেন, ‘আমাদের উন্নতির সূচক খুবই নিচে, কিন্তু বর্তমান সরকার বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সংস্কার, অপ্রয়োজনীয় নীতি ও অন্তরায় দ্রুত দূর করে বিনিয়োগে বৈচিত্র্যকরণ করতে কাজ করে যাচ্ছে, যার ফলে আগামীতে বিনিয়োগ সহজ এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্র প্রসারিত হবে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ইউএনডিপি বাংলাদেশের সিনিয়র ইকোনমিক অ্যাডভাইজর ওয়াইস পারায় রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, অবকাঠামো এবং মানবসম্পদের গুরুত্ব তুলে ধরেন। কর্মশালার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রাইহান। তিনি কৃষি প্রক্রিয়াকরণ, পাটজাত পণ্য এবং আইটি-সেবা খাতের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন। পাশাপাশি দক্ষতার ঘাটতি, পুরনো প্রযুক্তি এবং নিয়ন্ত্রক জটিলতাসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করেন এবং খাতভিত্তিক উন্নয়নের জন্য সুপরিকল্পিত নীতিমালা গ্রহণের পরামর্শ দেন। কর্মশালাটি সঞ্চালনা করেন বিডার নির্বাহী সদস্য (অতিরিক্ত সচিব) শাহ মোহাম্মদ মাহবুব এবং উদ্বোধনী বক্তব্য দেন বিডার মহাপরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. মুজিব-উল-ফেরদৌস। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বিডার সচিব (অতিরিক্ত সচিব) ড. খোন্দকার আজিজুল ইসলাম। কর্মশালায় বিভিন্ন নীতিনির্ধারক, গবেষক এবং শিল্প খাতের নেতৃবৃন্দ এলডিসি উত্তরণ-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশকে বৈশ্বিক বিনিয়োগের অন্যতম নিরাপদ গন্তব্য হিসেবে গড়ে তোলার কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন। অংশগ্রহণকারীরা সহযোগিতা এবং দ্রুত নীতিগত উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।