ঢাকা ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য টিসিবি পণ্যে ভর্তুকি

গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য টিসিবি পণ্যে ভর্তুকি

সরকার গার্মেন্টস শ্রমিক পরিবারের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে। ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহের এই উদ্যোগে যুক্ত করা হয়েছে ১০ লাখ পোশাক শ্রমিক পরিবারকে। এর পাশাপাশি ১ কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারী পরিবারের জন্যও টিসিবি পণ্য সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া নিশ্চিত করা হচ্ছে। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে অর্থনৈতিকবিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় এই উদ্যোগের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, পণ্যের আমদানি মূল্য ও বিক্রয় মূল্যের ব্যবধান কমতে শুরু করেছে, যা নিত্যপণ্যের বাজারে স্বস্তি ফিরিয়েছে।

১০ লাখ পোশাক শ্রমিক পরিবারের জন্য বিশেষ উদ্যোগ : বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দেশের বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলের ১০ লাখ গার্মেন্টস শ্রমিক পরিবার টিসিবির পণ্য পাবেন ভর্তুকি মূল্যে। অর্থ উপদেষ্টা বলেন, প্রাথমিকভাবে পোশাক শ্রমিকদের জন্যই এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে অন্যান্য ক্ষেত্রেও এর সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের ভিত্তিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে। ঢাকার আশপাশের শিল্পাঞ্চল যেমন টঙ্গী, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, আশুলিয়া ও সাভারের গার্মেন্টস শ্রমিকরা এই সুবিধার আওতায় আসবেন।

ফ্যামিলি কার্ডধারীদের জন্য চলমান সুবিধা : নিম্নআয়ের জনগণের জন্য ইতোমধ্যে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে টিসিবি সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করছে। ১ কোটি পরিবার এই কার্ডের সুবিধা ভোগ করছেন। কার্ডের মাধ্যমে ভোজ্যতেল, মসুর ডাল ও চিনি ভর্তুকি মূল্যে সরবরাহ করা হচ্ছে।

এই উদ্যোগের মাধ্যমে নিম্নআয়ের জনগণের আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত করার পাশাপাশি বাজারে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। অর্থ উপদেষ্টা আরো বলেন, সরকারের এই উদ্যোগ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। ভর্তুকির কারণে পণ্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে। একইসঙ্গে গার্মেন্টস শিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নেও এটি ভূমিকা রাখবে। টিসিবির নির্ধারিত পণ্য সরবরাহের জন্য সংশ্লিষ্ট শিল্পাঞ্চলে বিশেষ ব্যবস্থাপনা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত