তালিকায় ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং ও এইচ আর টেক্সটাইলও

এমারেল্ড অয়েল এক সপ্তাহে ৫৯ কোটি টাকার দাম বৃদ্ধি

প্রকাশ : ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

দেশের শেয়ারবাজার গত সপ্তাহে কিছুটা অস্থিরতার মধ্য দিয়ে পার করেছে। তবে এই অস্থিরতার মধ্যেও শীর্ষে অবস্থান করেছে এমারেল্ড অয়েল কোম্পানি। পাঁচ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার দাম ২৬ দশমিক ১০ শতাংশ বেড়ে যায়, যার ফলে কোম্পানিটির বাজারমূল্য এক লাফে ৫৯ কোটি টাকার বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।

এমারেল্ড অয়েলের শেয়ারের দাপট : গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারের মূল্য বেড়েছে ৬ টাকা ৫০ পয়সা। আগের সপ্তাহ শেষে প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ২৪ টাকা ৯০ পয়সা, যা বৃদ্ধি পেয়ে সপ্তাহ শেষে দাঁড়ায় ৩১ টাকা ৪০ পয়সায়। এতে এমারেল্ড অয়েল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সর্বোচ্চ দাম বাড়ার তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে। ২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া এমারেল্ড অয়েল সর্বশেষ ২০২৩ সালে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল। এর আগে, ২০২২ সালে কোম্পানিটি ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ এবং ২০১৬ সালে ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দিয়েছিল। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৯ কোটি ১২ লাখ ৭২ হাজার ৪টি। এর মধ্যে উদ্যোক্তাদের কাছে রয়েছে ৫৪ দশমিক ৫০ শতাংশ শেয়ার। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৩৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ শেয়ার, এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ শেয়ার।

ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং ও এইচ আর টেক্সটাইলের পারফরম্যান্স : গত সপ্তাহে এমারেল্ড অয়েলের পর বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের তালিকায় ছিল ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিংয়ের শেয়ার। কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ২১ দশমিক ২১ শতাংশ বেড়েছে। এ ছাড়া, ১৯ দশমিক ২৬ শতাংশ দাম বৃদ্ধির মাধ্যমে তালিকার তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে এইচ আর টেক্সটাইল। গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অন্যান্য কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দামও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে।

ডরিন পাওয়ার: ১৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিন্যান্স: ১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ, জেনেক্স ইনফোসিস: ১৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ, এনআরবি ব্যাংক: ১৫ দশমিক ৩২ শতাংশ, সোনারগাঁও টেক্সটাইল: ১৪ দশমিক ৯০ শতাংশ, মেট্রো স্পিনিং: ১৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ ও সাফকো স্পিনিং: ১২ দশমিক ৭৯ শতাংশ। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, এক শ্রেণির বিনিয়োগকারীরা স্বল্পমেয়াদে লাভের আশায় বিশেষ কিছু কোম্পানির শেয়ারে অতিরিক্ত আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এতে বাজারে অস্থিরতা তৈরি হলেও শেয়ারগুলোর মূল্য বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।