আর্জেন্টিনায় পোশাক রপ্তানি বাড়াতে সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ

প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

আর্জেন্টিনায় বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বাড়াতে ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত মার্সেলো কার্লোস সেসার সহযোগিতা চেয়েছেন বিজিএমইএর প্রশাসক এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস-চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন।

গত সোমবার রাজধানীর রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) কার্যালয়ে রাষ্ট্রদূত মার্সেলো আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ সহযোগিতা কামনা করেন। সাক্ষাৎকালে তারা বাংলাদেশ ও আর্জেন্টিনার মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্ভাব্য ক্ষেত্র অনুসন্ধান এবং দেশ দুটির মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সম্ভাব্য উপায়গুলো নিয়ে আলোচনা করেন। আলোচনা চলাকালে তারা অংশীদারত্ব জোরদার করার মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির অপার সম্ভাবনার ওপর জোর দেন। বাণিজ্য সুযোগের পূর্ণ সম্ভাবনাগুলোকে কাজে লাগাতে উভয় দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি এবং শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তারা। রাষ্ট্রদূত মার্সেলো সেসা এবং বিজিএমইএ প্রশাসক আনোয়ার হোসেন বাংলাদেশ ও আর্জেন্টিনার ব্যবসায়ীদের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগের সুবিধার্থে রোড শো এবং একক দেশের মেলা (সিঙ্গেল কান্ট্রি ফেয়ার) আয়োজনের ওপর জোর দেন।

তারা বলেন, এই উদ্যোগগুলোর মাধ্যমে উভয় দেশ শক্তি এবং সক্ষমতা প্রদর্শনের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম পাবে, যেখানে ব্যবসায়ীরা নতুন বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের সুযোগগুলো অন্বেষণ করার সুযোগ পাবেন। আনোয়ার হোসেন রাষ্ট্রদূত সেসাকে তৈরি পোশাক খাতে পণ্য বৈচিত্র্যকরণের ওপর বাংলাদেশের ক্রমাগতভাবে গুরুত্ব প্রদান, বিশেষ করে ম্যান-মেইড ফাইবার ব্যবহার করে উচ্চণ্ডমূল্যের পোশাক বিভাগে যাওয়ার জন্য শিল্পের প্রয়াসগুলো অবহিত করেন। পাশাপাশি তিনি আর্জেন্টিনায় পোশাক রপ্তানি বাড়াতে রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা কামনা করেন।

প্রশাসক আনোয়ার হোসেন রাষ্ট্রদূতকে আর্জেন্টিনা থেকে তুলা আমদানির বিষয়ে বাংলাদেশের আগ্রহের কথা জানিয়ে বলেন, এ ধরনের অংশীদারত্ব উভয় দেশেকে পারস্পরিক সুবিধা এনে দেবে। এই সহযোগিতা উভয় দেশের জন্য লাভজনক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে, যা দেশ দুটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখতে পারে। বিজিএমইএ প্রশাসক বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের জন্য আর্জেন্টিনা ভ্রমণের ভিসা প্রক্রিয়া সহজতর করার জন্য রাষ্ট্রদূতের সহায়তা কামনা করে বলেন, এটি উভয় দেশের মধ্যে ব্যবসায়িক যোগাযোগ বাড়াতে সহায়তা করবে।