উৎপাদনমুখী শিল্পের বিকাশে আরঅ্যান্ডআইতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

প্রকাশ : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশীয় উৎপাদনমুখী শিল্পের টেকসই বিকাশ নিশ্চিত করতে এবং প্রতিযোগী সক্ষমতা বাড়াতে পণ্য গবেষণা ও উদ্ভাবনে (আরঅ্যান্ডআই) বিনিয়োগ বৃদ্ধির গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে ওয়ালটনের আয়োজিত এক আলোচনা সভায়। রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটিতে গত শুক্রবার ‘এটিএস এক্সপো-২০২৪’-এর দ্বিতীয় দিনে ‘স্থানীয় উৎপাদনকে শক্তিশালীকরণ: ইলেকট্রনিকস শিল্পে বাংলাদেশের উত্থান’ শীর্ষক এ প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর তানভীর আঞ্জুমের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান, বেস্ট ইলেকট্রনিকস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ তাহমিদ জামান রাশিক, দারাজ বাংলাদেশ লিমিটেডের কমার্শিয়াল ডিরেক্টর কামরুল হাসান এবং কেইডি সলিউশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মফিজুর রহমান। প্যানেল আলোচনায় ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর তানভীর আঞ্জুম বলেন, ‘যে কোনো ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রির টেকসই উন্নতি নির্ভর করে রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশনের (আরঅ্যান্ডআই) ওপর। দেশীয় উৎপাদনমুখী শিল্পের উন্নতি সাধনেও আরঅ্যান্ডআইয়ের কোনো বিকল্প নেই। এ খাতে স্থানীয় উৎপাদকদের প্রচুর বিনিয়োগ করতে হবে।’

তিনি জানান, বর্তমানে ওয়ালটনের আরঅ্যান্ডআই টিমে দেশি-বিদেশি আড়াই হাজারেরও বেশি প্রকৌশলী কাজ করছেন। তাদের গবেষণার ফলে ৫০ হাজারেরও বেশি ইন্ডাস্ট্রিয়াল সলিউশন ও কমপোনেন্টস উৎপাদন করছে ওয়ালটন। সভায় এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান বলেন, ‘?দেশীয় শিল্পের জন্য প্রয়োজন ব্যাকওয়ার্ড লিঙ্কেজ। এতে দ্রুত এগিয়ে যাবে দেশীয় শিল্প। এক্ষেত্রে ওয়ালটন বিশাল উন্নতি সাধন করেছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়ারের মধ্যে সমন্বয় সাধনে বিশাল গ্যাপ রয়েছে, যা দূর করতে হবে। দেশীয় ইন্ডাস্ট্রিগুলোর উচিত বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত হওয়া। পাশাপাশি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ইন্ডাস্ট্রি পরিচালিত ইন্টার্নশিপ ও গবেষণাসহ নানা কাজে সংযুক্ত করতে হবে। এতে ইন্ডাস্ট্রির বাস্তব অভিজ্ঞতা গ্রহণ করতে পারবেন তারা; তেমনি ইন্ডাস্ট্রি পাবে দক্ষ জনশক্তি।’ বেস্ট ইলেকট্রনিকস লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৈয়দ তাহমিদ জামান রাশিক বলেন, ‘?দেশের ইলেকট্রনিকস খাতে গত ৫০ বছরে বড় একটা বিপ্লব হয়েছে। এতে ড্রাইভিং ফোর্স হিসেবে ছিল ওয়ালটন। বিশাল ঝুঁকি নিয়ে ওয়ালটন ওই সময়ে ইলেকট্রনিকস খাতে বিনিয়োগ করেছে। বর্তমানে ইলেকট্রনিকস খাতের প্রায় শতভাগ পণ্য দেশেই উৎপাদন করছে বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান।’

সভায় দারাজ বাংলাদেশ লিমিটেডের কমার্শিয়াল ডিরেক্টর কামরুল হাসান বলেন, ‘?দেশের অভ্যন্তরে প্রচুর বিদেশি বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। এতে দেশে থাকা উৎপাদকরাই লাভবান হবেন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি আরঅ্যান্ডডি খাতেও উন্নতি করতে সক্ষম হবে। আমাদের অভ্যন্তরীণ উন্নতির জন্য আরঅ্যান্ডডি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অথচ এখানে বিনিয়োগ খুবই কম। এ সব দিকে উন্নতি করতে পারলে ইলেকট্রনিকস খাতে বাংলাদেশও দ্বিতীয় চায়না হতে পারবে।’ কেইডি সলিউশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজুর রহমান বলেন, ‘?বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী পণ্য উৎপাদনে দেশীয় উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো অনেক এগিয়ে গেছে। এ ক্ষেত্রে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে ওয়ালটন। পরিবেশ সুরক্ষা নিশ্চিত করে দেশেই নিজস্ব প্রডাকশন প্লান্টে নানাধর্মী বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী পণ্য যেমন এয়ার কন্ডিশনার, ফ্রিজ, লিফট, টিভি, ফ্যান তৈরি করছে ওয়ালটন।’