ঢাকা ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বিভিন্ন মহলের উদ্বেগ

বিভিন্ন গার্মেন্টস বন্ধে কর্মহীন হাজারো মানুষ

রেমিট্যান্স হারাচ্ছে দেশ
বিভিন্ন গার্মেন্টস বন্ধে কর্মহীন হাজারো মানুষ

গাজীপুরে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ১৬টি পোশাক কারখানা সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এতে প্রায় ৪০ হাজার কর্মী বেকার হয়ে পড়েছেন। ফলে এসব গার্মেন্ট কাজগুলো পার্শ্ববতী দেশ ভারতসহ বিভিন্ন দেশে চলে যাচ্ছে। এতে বড় অঙ্কের রেমিট্যান্স হারাবে দেশ। বিষয়টি নিয়ে নানা মহল থেকে উদ্বেগ জানানো হচ্ছে। গাজীপুরের সারাব এলাকায় বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ১৬টি কারখানায় বন্ধ (লে-অফ) ঘোষণা করা হয়েছে। গত ১৫ ডিসেম্বর রোববার শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বেক্সিমকোর শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রম ও ব্যবসায় পরিস্থিতি পর্যালোচনাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, বেক্সিমকো গ্রুপের শ্রমিকদের মজুরি দিতে কোনো অর্থ বরাদ্দ দেয়া হবে না।

এদিকে কর্মসংস্থান হারানোর শংকা নিয়ে দিশেহারা হাজার হাজার মানুষ। কারখানাগুলো ৪৫ দিন পর খুলবে কিনা সেটাও জানে না তারা। গার্মেন্টসকর্মীরা বলছেন, এমনিতেই দেশে কর্মসংস্থানের অভাব। এর মধ্যে কিছু মানুষের অপরাধের কারণে কর্মসংস্থান বন্ধ করার কোন মানেই হয় না। তাদের দাবি, অনতিবিলম্বে তাদের কারখানাগুলো খুলে দেয়া হোক। অন্যদিকে এসব কারখানার নিয়মিত অর্ডারগুলো চলে যাচ্ছে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকাসহ পার্শ্ববতী দেশগুলোতে। এতে করে এতে মোটা অঙ্কের রেমিট্যান্স হারাবে দেশ। ভবিষ্যতে অর্ডার দেয়া এসব বৈদেশিক প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশে নতুন কোনো কাজের অর্ডার দিবে কী না তা নিয়েও শঙ্কা দেখা দিচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ দেশের সচেতন মহল থেকে দাবি উঠেছে, যারা অপরাধ করেছে, তাদের যথাযথ শাস্তি হোক। কিন্তু যেভাবেই হোক, এসব শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে চালু রাখতে হবে। না হলে দেশে বাড়বে বেকারের সংখ্যা। এতে তাদের মধ্যে অপরাধ প্রবণতাও বাড়বে। এছাড়া ফ্যাসিস্ট সরকারের দুর্নীতির কারণে ভেঙে পড়া অর্থনীতিকে সচল রাখতে দেশে রেমিট্যান্স আনয়নকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে সচল রাখতে হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত