ঢাকা ০২ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ পৌষ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ইআরডি প্রতিবেদন

বিদেশি ঋণ পরিশোধে চাপ বাড়লেও কমেছে প্রতিশ্রুতি ও অর্থ ছাড়

বিদেশি ঋণ পরিশোধে চাপ বাড়লেও কমেছে প্রতিশ্রুতি ও অর্থ ছাড়

চলতি অর্থবছরে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে পরিশোধের চাপ দিন দিন বাড়ছে। প্রতিমাসে যে পরিমাণ ঋণ পাওয়া যাচ্ছে, তার চেয়ে বেশি ঋণ শোধ করতে হচ্ছে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) প্রকাশিত হালনাগাদ এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। ইআরডি জানায়, উচ্চ সুদের কারণে বিদেশি ঋণ পরিশোধে বাড়তি চাপ পড়েছে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সিকিউরড ওভারনাইট ফিন্যান্সিং রেট (এসওএফআর) বেড়ে বর্তমানে ৫ শতাংশ ছাড়িয়েছে, যা যুদ্ধের আগে ছিল ১ শতাংশের কম। ফলে বাংলাদেশকে বাজারভিত্তিক ঋণে উচ্চ সুদ পরিশোধ করতে হচ্ছে। প্রাপ্ত তথ্য মতে, চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে ১৫৪ কোটি ডলার বৈদেশিক ঋণ পাওয়া গেছে। এর পুরোটাই আগের ঋণ পরিশোধে খরচ হয়েছে। উল্টো আরো ১৬ কোটি ৭৪ লাখ ডলার অন্যান্য উৎস থেকে এনে ঋণ পরিশোধ করা হয়েছে। আলোচ্য সময়ে মোট ১৭১ কোটি ১০ লাখ ডলার ঋণ পরিশোধ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত গত অর্থবছরে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৩৩৫ কোটি ডলার ঋণ পরিশোধ করা হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৬৮ কোটি ডলার বেশি। এর মধ্যে শুধু সুদ পরিশোধেই ৪১ কোটি ডলার অতিরিক্ত খরচ হয়েছে। চলতি অর্থবছরে ঋণ পরিশোধের পরিমাণ ৪৫০ কোটি ডলারে পৌঁছাতে পারে বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা। ইআরডির তথ্য অনুযায়ী, অন্যদিকে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে চলতি অর্থবছরে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর নতুন ঋণের প্রতিশ্রুতি কমেছে।

চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) ঋণের নতুন প্রতিশ্রুতি এসেছে মাত্র ৫২ কোটি ২৬ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে প্রতিশ্রুতির পরিমাণ ছিল ৫৮৫ কোটি ৯১ লাখ ডলার। অর্থাৎ ঋণ প্রাপ্তির প্রতিশ্রুতি কমেছে ৯১ দশমিক ২৩ শতাংশ। ইআরডি জানায়, প্রতিশ্রুতি কমার পাশাপাশি অর্থছাড়ের পরিমাণও কমেছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত