ঢাকা ০৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ পৌষ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

শিল্পের মূলধনি যন্ত্রপাতির আমদানি কমেছে জুলাই-নভেম্বরে

শিল্পের মূলধনি যন্ত্রপাতির আমদানি কমেছে জুলাই-নভেম্বরে

শিল্পের মূলধনি যন্ত্রপাতি বা ক্যাপিটাল মেশিনারি আমদানি কমিয়েছেন উদ্যোক্তারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে। তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানির এলসি খোলা হয়েছে ৭১ কোটি ২৬ লাখ তলার। আগের বছরের একই সময়ে এলসি খোলা হয়েছিল ৯৬ কোটি ৮৯ লাখ ডলারের।

অর্থাৎ চলতি বছরের আলোচ্য সময়ে এলসি খোলার পরিমাণ কমেছে ২৫ কোটি ৬৩ লাখ ডলার বা ২৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ। অন্যদিকে জুলাই-নভেম্বরে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানি ঋণপত্র নিষ্পত্তি হয়েছে ৮৬ কোটি ৪৭ লাখ ডলার। আগের বছরের একই সময়ে নিষ্পত্তি হয়েছিল ১১০ কোটি ৭৩ লাখ ডলার। সে হিসাবে চলতি বছরের জুলাই-নভেম্বরে মূলধনি যন্ত্রপাতির এলসি নিষ্পত্তি কমেছে ২৪ কোটি ২৬ লাখ ডলার বা ২১ দশমিক ৯০ শতাংশ। খাত-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি বেড়ে যায়। তবে এরপর থেকে অধিকাংশ দেশ মূল্যস্ফীতিসহ অন্যান্য সংকট থেকে বেরিয়ে এসেছে। তবে বাংলাদেশে এখনো মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের আশপাশে ঘুরছে। ডলার সংকটও দূর হচ্ছে না। একই সঙ্গে রাজনৈতিক অস্থিরতায় দুশ্চিন্তা বাড়ছে। এরই মধ্যে বড় বড় ব্যবসায়ী গ্রুপের অনেক কারখানা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এমন অস্থিরতার মধ্যে অনেকের জন্য ব্যবসা টিকিয়ে রাখাই কঠিন হয়ে পড়েছে।

উদ্যোক্তারা বলছেন, দেশে বিনিয়োগে একধরনের স্থবিরতা বিরাজ করছে। এ কারণে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানি কমে গেছে। মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানির ঋণপত্রের পাশাপাশি কমেছে শিল্পের মধ্যবর্তী পণ্য আমদানির ঋণপত্র খোলাও। চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে মধ্যবর্তী পণ্যের ঋণপত্র খোলা হয়েছে ১৭০ কোটি ২৪ লাখ ডলারের। গত অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১৯২ কোটি ৪০ লাখ ডলার। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে মধ্যবর্তী পণ্য আমদানির ঋণপত্র খোলা কমেছে ২২ কোটি ১৫ লাখ ডলার বা ১৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

অন্যদিকে চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে মধ্যবর্তী পণ্যের ঋণপত্র নিষ্পত্তি হয়েছে ১৮৬ কোটি ৮২ লাখ ডলারের। গত অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ২২০ কোটি ৭১ লাখ ডলারের। সেই হিসাবে ঋণপত্র নিষ্পত্তি কমেছে ৩৩ কোটি ৮৯ লাখ ডলারের বা ১২ শতাংশ। এদিকে জুলাই-নভেম্বর মাসে ভোগ্যপণ্যের আমদানি ঋণপত্র খোলা হয়েছে ২৫৬ কোটি ৯৫ লাখ ডলারের। আগের বছরের একই সময়ে এসব পণ্যের এলসি খোলা হয়েছিল ২৬৫ কোটি ৩২ লাখ ডলারের। অর্থাৎ এ সময় ভোগ্যপণ্যের এলসি খোলা কমেছে ৩ দশমিক ১৫ শতাংশ।

এছাড়া আলোচ্য সময়ে ভোগ্যপণ্যের এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে ২৪০ কোটি ৬৫ লাখ ডলারের। আগের বছরের একই সময়ে এলসি নিষ্পত্তি করা হয়েছিল ২৭৭ কোটি ৮৮ লাখ ডলারের। এ সময় ভোগ্যপণ্যের এলসি নিষ্পত্তি কমেছে ১৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। তবে অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে শিল্প কারখানার কাঁচামাল আমদানি বেড়েছে। জুলাই- নভেম্বরে কাঁচামাল আমদানির ঋণপত্র খোলা হয়েছে ৯৮৯ কোটি ১০ লাখ ডলারের।

আগের বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৯৩৬ কোটি ৮৫ লাখ ডলার। সে হিসাবে চলতি বছরের আলোচ্য সময়ে শিল্পকারখানার কাঁচামাল আমদানি বেড়েছে ৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ। এছাড়া কাঁচামালের ঋণপত্র নিষ্পত্তি কমেছে ৭ দশমিক ১৩ শতাংশ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত