যুক্তরাষ্ট্রকে ক্রিপ্টোকারেন্সির রাজধানী বানিয়ে বিটকয়েনের একটি কৌশলগত মজুত গড়ে তোলা হবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণার সময়েই এ ঘোষণা দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনে জিতেছেন তিনি এবং এর পরপরই বিটকয়েনের রমরমা অবস্থা চলছে। দামের ক্ষেত্রে একের পর এক রেকর্ড গড়ে চলেছে এই ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা। একপর্যায়ে দাম ছাড়িয়ে যায় এক লাখ ডলার। বিটকয়েন নিয়ে এখন সত্যিকার এক উন্মাদনা চলছে দুনিয়াজুড়ে। বিটকয়েন বলে অবশ্য বাস্তবে কোনো মুদ্রা নেই। এটি একটি ডিজিটাল মুদ্রা। বিটকয়েন কোনো কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কিংবা কোনো সরকার বা ব্যাংকের তদারকি ছাড়াই স্বাধীনভাবে কাজ করে। একটি পাবলিক লেজারে বিটকয়েনের সব লেনদেনের রেকর্ড রাখা হয় এবং এই লেজারের কপি পুরো বিশ্বে হাজার হাজার সার্ভারে সংরক্ষিত আছে। এগুলো পরিচিত নোড নামে।
বিটকয়েনের যেকেনো লেনদেন নেটওয়ার্কে ছড়িয়ে দেয়া হয় এবং বিভিন্ন নোডের মধ্যে তা শেয়ার করা হয়। বিটকয়েন কি কেনা যায় : বিটকয়েন কিনতে পাওয়া যায়। এই ক্রিপ্টো মুদ্রা মাইন করার যে শ্রমসাধ্য ও ব্যয়সাপেক্ষ কাজ, তার তুলনায় অনেকটা সহজেই যে কেউ বিটকয়েন কিনতে পারেন। এর কেনাবেচার জন্য রয়েছে ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ। তবে বেশির ভাগ মানুষই একটি পুরো বিটকয়েন কিনতে পারেন না শুধু এর উচ্চ দামের কারণে। কিন্তু বিটকয়েনের খণ্ডাংশ কেনা সম্ভব। এর জন্য প্রয়োজন প্রচলিত মুদ্রা বা ফিয়াট কারেন্সি, যেমন মার্কিন ডলার। তবে মনে রাখতে হবে, বিটকয়েনে বিনিয়োগ করা ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ এর দাম খুব বেশি ওঠানামা করে। বিশ্বের অনেক দেশ থেকে বিটকয়েনে বিনিয়োগও করা যায় না। বিটকয়েনে বিনিয়োগ করার আগে এ সংক্রান্ত আইনকানুন যাচাই করে নিতে হয়।