রাজধানীর পূর্বাচলে পর্দা উঠেছে এবারের ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার। তবে, এখনো চলছে বেশিরভাগ স্টল, প্যাভিলিয়নের নির্মাণকাজ। স্টলের নির্মাণকাজ অসম্পূর্ণ থাকলেও শুরু হয়েছে বেচাবিক্রি। তবে, শীত উপেক্ষা করে মানুষজন এলেও আশানুরূপ ক্রেতার সমাগম হচ্ছে না। গতকাল প্রথমদিনে মেলা প্রাঙ্গণ-ঘুরে দেখা যায়, এখনো চলছে বেশিরভাগ স্টল, প্যাভিলিয়নের নির্মাণকাজ। তবে শুরু হয়েছে বেচাবিক্রি। শীত উপেক্ষা করে মানুষজন এলেও আশানুরূপ ক্রেতার সমাগম হচ্ছে না। মেলায় বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) স্টলে প্রথমবারের মতো অংশ নিয়েছেন প্রি-টু-প্রো’র স্বত্বাধিকারী নাসরিন আক্তার সুমি এবং তার বোন নিশাত জাহান। নিশাত বলেন, আমরা বেইলি রোড থেকে এসেছি। আমাদের ফেসবুক পেজ আছে, কিন্তু দোকান নেই। বিভিন্ন মেলায় অংশ নিয়ে থাকি। আমাদের কাছে হ্যান্ডব্যাগ, কলমদানি, জুয়েলারি বক্স, স্ট্যান্ড আছে। এছাড়া হ্যান্ড প্রিন্ট ব্লাউজ, খাদি কাপড়ের বিছানার চাদর, কাতান কাপড়ের শাড়ি, মাটির তৈজসপত্র আছে। এসব পণ্য আমাদের নিজস্ব ডিজাইনের। আশা করছি বিক্রি ভালো হবে। এসএমই ফাউন্ডেশনের স্টলে ব্যাগ বাজারের স্বত্বাধিকারী তাহমিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের সব পণ্য পাটের তৈরি। গত ৫-৬ বছর ধরে বাণিজ্যমেলায় অংশ নিচ্ছি। আমাদের কাছে পাটের তৈরি জুতা, ব্যাগসহ সব ধরনের পণ্য আছে। আমরা পলিথিনের পরিবর্তে পাটের তৈরি ব্যাগ বিক্রি করছি। আকার-ভেদে দাম ২০-৪০ টাকা। সপরিবারে মেলায় ঘুরতে এসেছেন আশরাফুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আমরা কেরানীগঞ্জ থেকে সপরিবারে এসেছি। এবারের মেলার মূল আকর্ষণ জুলাই অভ্যুত্থানের প্রেরণায় নির্মিত ‘তারুণ্য চত্বর’, ‘জুলাই চত্বর’ ও ‘৩৬ জুলাই চত্বর’। মেলায় দর্শনার্থী জহিরুল বলেন, জুলাই আমাদের প্রেরণা। মেলা কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ, জুলাই অভ্যুত্থানকে এত সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলার জন্য। মেলায় রুটি মেকার ও চপিং আইটেমের স্টল দিয়েছেন ভারতীয় ব্যবসায়ী মো. ওয়াসিম বলেন, আমি ২০১৪ সাল থেকে মেলায় অংশ নিচ্ছি। ঢাকাতে যখন মেলা হতো তখন ভালো বিক্রি করতাম। এখানে তেমন বিক্রি হয় না। মেলার সার্বিক নিরাপত্তা এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে কথা হলে রূপগঞ্জের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. তারিকুল আলম বলেন, মেলা শুরুর আগে রাস্তার সামনে কিছু অবৈধ স্থাপনা ছিল, সেগুলো উচ্ছেদ করা হয়েছে। এছাড়া মেলায় অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে জেলা প্রশাসন সর্বদা সজাগ আছে। পাশাপাশি পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণেও আমরা কাজ করছি।