‘কর বাড়ায় বাধাগ্রস্ত হবে বিদেশি বিনিয়োগ’

প্রকাশ : ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

শতাধিক পণ্যে শুল্ক-কর বাড়ানোর সিদ্ধান্তে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছে ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফআইসিসিআই)। গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি বলেছে, ‘পর্যাপ্ত গবেষণা বা অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা না করে নীতি প্রণয়ন করায় তা বিনিয়োগকারীদের আস্থায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। বাধাগ্রস্তও করবে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের ধারাকে।’ এফআইসিসিআই মনে করে, এই সিদ্ধান্তের ফলে ভোক্তাদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ার পাশাপাশি দেশে ব্যবসা পরিচালনার খরচ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়ে যাবে। এই পদক্ষেপ কর রাজস্ব প্রদানকারী এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিতকারী ব্যবসাগুলোর আর্থিক স্থিতিশীলতা ও কার্যক্রম পরিচালনার সক্ষমতাকে হুমকির মুখে ফেলবে বলেও মনে করে সংগঠনটি। বিজ্ঞপ্তিতে এফআইসিসিআই বলেছে, ভ্যাট বাড়ায় সংশ্লিষ্ট খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পণ্য কিংবা সেবার মূল্য বাড়াতে বাধ্য হবে। এতে খুচরা মূল্য বেড়ে যেতে পারে আড়াই শতাংশ পর্যন্ত, যার কারণে চাপে পড়বেন সাধারণ ভোক্তারা। ভোক্তার ক্রয়ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে। এর ফলে সরকার একটি বৃহৎ অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হবে বলেও মনে করে সংগঠনটি। অতিরিক্ত করের মাধ্যমে রাজস্ব বৃদ্ধির কৌশল অকার্যকর হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে মন্তব্য করে এফআইসিসিআই বলছে, ‘উচ্চহারে কর প্রদানকারী খাত, যেমন তামাক, টেলিযোগাযোগ ও জ্বালানির মতো খাতগুলো থেকে আরো রাজস্ব আদায়ের সিদ্ধান্ত অত্যন্ত নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’ ‘নীতিমালা সংশোধনের আগে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা না করার বিষয়টি দেশ-বিদেশের বিনিয়োগকারীদের কাছে নেতিবাচক বার্তা দেবে, যা দেশের ব্যবসার পরিবেশের স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ বাড়বে।’ সংগঠনটি বলেছে, সরকারের এমন কৌশল প্রণয়ন করা উচিত, যার মাধ্যমে শিল্পগুলো বিক্রির মাধ্যমে মুনাফা বাড়াতে পারবে। আর এটা ঘটলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কর-রাজস্বও বাড়বে। সরকারের উচিত ভ্যাট আইনের মৌলিক শতাধিক পণ্য ও সেবায় শুল্ক, কর, ভ্যাট বাড়িয়ে গত বৃহস্পতিবার দুটি অধ্যাদেশ জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার। বিস্কুট, ওষুধ, পোশাক কেনাকাটা, মিষ্টি, বেশ কয়েক ধরনের টিস্যু, মোটর গাড়ির গ্যারেজ, এলপি গ্যাসের মতো পণ্য কিংবা সেবাও রয়েছে তালিকায়।