২০২৫ সালের জুন-জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে নেমে আসবে বলে আশা করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। তিনি জানিয়েছেন, বাজার স্বাভাবিক করতে এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বিশেষ করে রমজান মাসকে সামনে রেখে পণ্য আমদানিতে দেয়া হচ্ছে বিশেষ সুবিধা। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) ব্যবসায়িক নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ সব কথা বলেন। সাক্ষাৎকালে ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, ব্যাংক ঋণের উচ্চ সুদহার ব্যবসায়িক কার্যক্রমে ব্যয় বাড়াচ্ছে ক্রমাগত। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সুদহার সহনীয় পর্যায়ে রাখার ওপর জোর দেন তিনি। এছাড়া ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমের সুবিধা পেতে প্রায় ৩১ রকমের ডকুমেন্ট প্রদান করতে হয়। এ কারণে অনেক সময় ঋণ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন তারা। বিষয়টি সহজ করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতি আহ্বান জানান এ ব্যবসায়ী নেতা। এর বাইরে দেশের অর্থনীতিতে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি বিবেচনায় ব্যাংক ঋণের শ্রেণিকরণের সময়সীমা ৩ মাস থেকে আরো ৬ মাস বাড়ানোর দাবি জানান ঢাকা চেম্বার সভাপতি। জবাবে গভর্নর বলেন, আসন্ন রমজান মাসে পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে, বিশেষ করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে কোনো ধরনের মার্জিন ছাড়াই এলসি (ঋণপত্র) খুলতে ব্যাংকগুলোকে এরই মধ্যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আরো বলেন, মূল্যস্ফীতি কমে এলে পরিস্থিতি বিবেচনায় সুদের হার বাজার পর্যালোচনার ভিত্তিতে আরো হ্রাস করা সম্ভব হবে।
ব্যাংক ঋণের শ্রেণিকরণের সময়সীমা বর্তমানে ৩ মাস থেকে বাড়ানো যায় কিনা সে ব্যাপারে বিবেচনা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। দেশের ডলারের বাজার প্রসঙ্গে ইতিবাচক বার্তা দিয়ে গভর্নর বলেন, এ মুহূর্তে বাজারে ডলারের তেমন কোনো সংকট নেই এবং ডলারের মূল্যও বেশ স্থিতিশীল।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের মূল্য নির্ধারণ করবে না, এটা নির্ধারিত হবে ডলারের আমদানি ও চাহিদার ভিত্তিতে। তিনি বলেন, বর্তমানে স্থানীয় বাজারে ডলারের মূল্য স্থিতিশীল আছে।
রেমিট্যান্স প্রবাহও বেশ ইতিবাচক। রপ্তানি আয় ঊর্ধ্বমুখী এবং রিজার্ভও ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে, এর সুফল শিগগিরই দেশের মানুষ ভোগ করতে পারবে। এছাড়া দেশের বাইরে ব্যবসায়িক অফিস খোলার বিদ্যমান শর্তাবলি আরো শিথিল করার বিষয়টি পর্যালোচনা করা হবে বলে ব্যবসায়ী নেতাদের আশ্বাস দেন তিনি।