সাস্টেইনিবিলিটি এবং জলবায়ু সংক্রান্ত আর্থিক তথ্য প্রকাশ বিষয়ে দুই দিনের একটি কর্মশালার উদ্বোধন করা হয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক এবং পরিবেশগত সহনশীলতা নিশ্চিতকরণে টেকসই আর্থিক চর্চার বিষয়ে কর্মশালায় সমন্বিত ভিশনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। গতকাল শনিবার রাজধানীর ইবিএল প্রধান কার্যালয়ে কর্মশালাটির উদ্বোধন করা হয়। জয়েন্ট ইমপ্যাক্ট মডেল ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় কর্মশালাটি আয়োজন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ইস্টার্ন ব্যাংক, ইউকে ইন্টারন্যাশলান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এবং ব্রিটিশ ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট কৌশলগত পার্টনার হিসেবে আয়োজনে সহায়তা করে। এফসিডিও অর্থায়নকৃত ইম্প্যাক্ট প্রোগ্রামের অধীনে বিআইআই ওয়ার্কশপটির পৃষ্ঠপোষকতা করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের টেকসই আর্থিক বিভাগের পরিচালক চৌধুরী লিয়াকত আলী টেকসই উন্নয়নে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দৃঢ় অঙ্গীকার পুনব্যাক্ত করেন। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য সাস্টেইনিবিলিটি সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ (ওঋজঝ-ঝ১) এবং জলবায়ু সংক্রান্ত আর্থিক তথ্য প্রকাশের (ওঋজঝ-ঝ২) ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ট্যুলস প্রাপ্তিতে এজাতীয় কর্মশালার গুরুত্ব তুলে ধরেন। ইবিএল উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কর্পোরেট ব্যাংকিং প্রধান রিয়াদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে আমাদের দীর্ঘ মেয়াদি সহযোগিতার ফলে এজাতীয় ফলপ্রসূ প্রোগ্রাম আয়োজনের জন্য দৃঢ় ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। টেকসই আর্থিক ইকোসিস্টেম তৈরিতে আমাদের সমন্বিত যাত্রার ক্ষেত্রে এই কর্মশালাটি আরেকটি মাইলফলক’। সারা বাংলাদেশ থেকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান প্রতিনিধিত্বকারী প্রায় দুইশত সিনিয়র কর্মকর্তা কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
এর অন্যতম লক্ষ্য ছিল এ সব কর্মকর্তাদের ব্যাপক ক্যাপাসিটি বিল্ডিং। কর্মশালায় যেসব মূল বিষয় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে, তার মধ্যে আছে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত নিয়মনীতি অনুযায়ী সাস্টেইনিবিলিটি সংক্রান্ত প্রতিবেদন, অর্থায়নকৃত এমিশনের হিসাব এবং কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক মূল্য সংযোজন বিষয়ক বিভিন্ন ইম্প্যাক্ট ম্যাট্রিক্সের পরিমাপ। জলবায়ু সংক্রান্ত আর্থিক তথ্য প্রকাশ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ম্যাট্রিক্সের ক্ষেত্রে জেআইএম মডেল ব্যবহারের জন্য অংশগ্রহণকারীদের বিশেষ ট্যুলকীট প্রদান করা হয়।