ঢাকা রোববার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল থাকবে

বাণিজ্য উপদেষ্টা
রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল থাকবে

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, আসন্ন রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল থাকবে। এছাড়া মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে আমাদের বিদ্যমান কর আহরণের হার ও করজাল সম্প্রসারণের কোনো বিকল্প নেই বলে মত প্রকাশ করেছেন তিনি। উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে গত রোববার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকীন আহমেদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ সব কথা বলেন। বৈঠকে অন্যদের মধ্যে ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী ও সহ-সভাপতি মো. সালিম সোলায়মান উপস্থিত ছিলেন। বাণিজ্য উপদেষ্টা জুলাই গণঅভ্যুথান পরবর্তী সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অস্থিরতা এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে অপ্রত্যাশিত বন্যার কারণে স্থানীয়ভাবে ব্যবসায়িক কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে উল্লেখ করে বলেন- এরই মধ্যে সামগ্রিক পরিস্থিতির বেশ উন্নতি হয়েছে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এ অবস্থা হতে উত্তরণের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সম্প্রতি চালের মূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয়টিও সরকারের নজরে এসেছে, যা সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এ সময় ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশেষ করে আমদানি-রফতানি নীতিমালা, রাজস্ব কাঠামো, আর্থিক ব্যবস্থাপনা, লজিস্টিক নীতিমালা এবং জাতীয় বাজেট ও মুদ্রানীতিসহ ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংশ্লিষ্ট বিদ্যমান কাঠমোর সংষ্কার ও যুগোপযোগীকরণের পরামর্শ দেন। এছাড়াও ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, কোভিড মহামারী, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ, মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতা, ২০২৪ সালে দেশের রাজনৈতিক পট-পরিবর্তন পরবর্তী অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ এলডিসি পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রস্তুতি ভালোভাবে গ্রহণ করতে পারেনি। তাই বিদ্যমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আমাদের এলডিসি উত্তরণের সময়সীমা পিছিয়ে নেয়ার বিষয়টি সরকার বিবেচনা করতে পারে। এ জন্য সরকার ও বেসরকারিখাতের যৌথ আলোচনার মাধ্যমে করণীয় নির্ধারণ ও যথাযথ বাস্তবায়নের জন্য ‘বাস্তবভিত্তিক উত্তরণ কৌশল (স্মুথ ট্রানজিশন র্স্ট্যাটেজি-এসটিএস)’ প্রণয়ন করা আবশ্যক বলে মনে করনে তিনি।

এ সময় বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন- এলডিসি’র বিষয়টি দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য ভবিষ্যতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বেসরকারিখাতের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং নীতি সহায়তা ও ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। এ লক্ষ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংশ্লিষ্ট নীতিমালার সংষ্কার এবং সবার সম্মিলিত উদ্যোগ অপরিহার্য বলে উল্লেখ করেন তিনি। বৈঠকে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি আসন্ন রামজানকে সামনে রেখে এ পরিস্থিতিতে ভ্যাট, ট্যাক্স বাড়ানোর উদ্যোগ কোনোভাবেই কাম্য নয় উল্লেখ করে বাজারে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে পণ্যের সাপ্লাইচেইন ব্যবস্থাপনায় বিদ্যমান অনিয়ম দূর করতে বাজার মনিটরিং কার্যক্রম বাড়ানো আহ্বান জানান। এছাড়াও রমজান মাসে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের প্রাপ্তি ও সহনীয় মূল্য নিশ্চিতকল্পে এ ধরনের পণ্যের সরবরাহ বাড়ানো, বাজার নজরদারিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কঠোর উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন জরুরি বলে করেন তিনি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত