ঢাকা মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

১০ লাখ টন চাল-গম আমদানি করবে সরকার

১০ লাখ টন চাল-গম আমদানি করবে সরকার

মজুদ ও সরবরাহ ঠিক রাখতে সরকার ১০ লাখ মেট্রিক টন চাল এবং গম আমদানি করবে বলে জানিয়েছেন খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। বর্তমানে দেশে প্রায় ১৩ লাখ মেট্রিক টন চাল ও গম মজুদ আছে বলেও তিনি জানান। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির বৈঠক শেষে খাদ্য উপদেষ্টা এ সব কথা জানান। খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেন, অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ যেটা আউশ এবং আমনে ঘাটতি একটা হয়েছে। এখন সামনে আছে বোর, আমরা আশা করছি বোরতে যদি ফলন ভালো হয় তাহলে আমরা আমদানির ওপর নির্ভরতা কমাতে পারবো। তার জন্য আমরা অপেক্ষা করবো না। আমাদের বিদেশ থেকে আমদানি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। চাল ও গম মিলিয়ে প্রায় ১০ লাখ টনের মতো আমদানি পাইপলাইনে আছে। ভারত, মিয়ানমার, পাকিস্তান, ভিয়েতনামসহ বিভিন্ন দেশ থেকে এ সব খাদ্য ও শস্য আমদানি করা হবে। দেশে প্রায় ১৩ লাখ মেট্রিক টন চাল ও গম মজুদ আছে। এর মধ্যে আট লাখ ৮২ হাজার মেট্রিক টন চাল এবং তিন লাখ ৪১ হাজার মেট্রিক টন গম মজুদ আছে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, চালের দাম এখন বাড়ছে না। চালের দাম আরো কমলে খুশি হব। সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিদেশ থেকে আমাদের আমদানি অব্যাহত থাকবে। আমদানির সোর্স হবে মাল্টিপল। প্রতিবেশী দেশ থেকে আমদানি করলে সহজে আনা যায়, দামও কম পড়ে। প্রতিবেশী দেশকে আমরা যেমন গুরুত্ব দিচ্ছি। অন্যান্য দেশে দাম একটু বেশি হলেও আমরা আমদানি করছি। মাল্টিপল সোর্সকে আমরা সামনে রাখছি। এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অভ্যন্তরীণ সংগ্রহের ক্ষেত্রে ধান সংগ্রহ কম হয়।

যেমন ময়েশ্চার চাওয়া হয় সেটা তারা দিতে পারে না। মিলগুলো কাঁচা ধান নিয়ে যাচ্ছে। করপোরেট মিলগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে পারা যাচ্ছে না। আশা করছি, ইনশাআল্লাহ যে মজুদ ও সরবরাহ রয়েছে তাতে কোনো ঘাটতি হবে না। খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, গম আমদানি হবে তিন লাখ টন। এর মধ্যে দুই লাখ টন গম রাশিয়া থেকে জিটুজি ডেফার্ড পেমেন্টে আমদানি করবো। মিয়ানমারের সঙ্গে এক লাখ টন চাল আমদানির চুক্তি হয়েছে। ২২ হাজার টন চাল এরই মধ্যে চলে এসেছে। বাকি চাল আসবে ভিয়েতনাম, ভারত ও পাকিস্তান থেকে। সংশ্লিষ্ট আরেক প্রশ্নের জবাবে খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, আমদানি করা চালগুলোর কেজি ৫৬ থেকে ৬০ টাকা পড়ছে। চাল ও গম মিলিয়ে প্রায় ১০ লাখ টন আমদানি করা হবে। তবে এটা নির্ভর করবে বোরো ধানের সংগ্রহের ওপর। বোরো ধান যদি সংগ্রহ করা যায় তাহলে আমদানির পরিমাণ কমবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত