ঢাকা শনিবার, ০৩ মে ২০২৫, ২০ বৈশাখ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

পাকিস্তান থেকে এলো চিটাগুড়

পাকিস্তান থেকে এলো চিটাগুড়

শুল্ক বৃদ্ধির কারণে ভারতকে বাদ দিয়ে প্রথমবারের মতো পাকিস্তান থেকে চিটাগুড় আমদানি করেছে বাংলাদেশ। এতে পণ্যটির দাম কমবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মোংলা বন্দরের ৮নং জেটিতে নোঙর করে চিটাগুড়বাহী জাহাজ এমটি ডলফিন-১৯। পাকিস্তান থেকে পণ্য আনা পানামার পতাকাবাহী জাহাজটি বন্দরে ভিড়লে কর্তৃপক্ষ আমদানিকারকদের স্বাগত জানায়। এর আগে, গত ২২ জানুয়ারি পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে পণ্যবোঝাই করে মোংলার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় জাহাজটি। সাত মিটার ড্রাফট ও ১৪৫ মিটার দৈর্ঘ্যরে জাহাজটিতে ৫ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চিটাগুড় রয়েছে। পুরো চিটাগুড় খালাস শেষে কিছু অংশ মোংলার ইউনাইটেড রিফাইনারি অ্যান্ড বাল্ক স্টোরেজ লিমিটেড-এ পরিশোধন করা হবে। বাকি অংশ রাজশাহী বিভাগের সিরাজগঞ্জ জেলার বাঘাবাড়িতে সড়ক ও নৌ-পথের মাধ্যমে নেয়া হবে। এর আগে, বাংলাদেশি ফিডমিলগুলোর জন্য ভারত থেকে আমদানিকৃত চিটাগুড় ব্যবহার করা হতো। ভারত এই পণ্যে রপ্তানিশুল্ক বাড়িয়ে দেয়। তাই ব্যয় কমাতে এবার পাকিস্তান থেকে আমদানি করা হয়েছে পণ্যটি। এতে চিটাগুড়ের দাম কমবে বলে জানান আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান পিঅ্যান্ডপি ট্রেডিংয়ের প্রোপাইটর আনোয়ারুল হক। তিনি বলেন, এক সময় বাংলাদেশের ১৩টি সুগার মিল ছিল। এই মিলগুলো যখন সচল ছিল, তখন বাংলাদেশ থেকে চিটাগুড় রপ্তানি করা হত। আমাদের প্রতিষ্ঠান ১৯৮৯ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে চিটাগুড় রপ্তানি করেছে। এ থেকে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আসত দেশে। কিন্তু বেশিরভাগ মিলগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে আমরা ভারত থেকে চিটাগুড় আমদানি করতাম। কিন্তু ভারত হঠাৎ করে চিটাগুড় রপ্তানিতে শুল্ক বৃদ্ধি করে দেয়। যার ফলে তাহলে তারা চিটাগুড়ের দাম বেড়ে যায়। বিকল্প হিসেবে আমরা পাকিস্তান থেকে চিটাগুড় আমদানি করেছি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত