ঢাকা রোববার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বিশেষ কমিটি গঠন

রাজস্ব ফাঁকি দেয়া সিগারেটের বিরুদ্ধে অভিযান

রাজস্ব ফাঁকি দেয়া সিগারেটের বিরুদ্ধে অভিযান

অবৈধ ও রাজস্ব ফাঁকি দেয়া সিগারেটের বাজার বাড়ছে। অভিযোগ রয়েছে দেশীয় কিংবা বহুজাতিক কোম্পানি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে সিগারেট বাজারজাত করছে। মাঝে মধ্যেই ভ্যাট অফিস অভিযান পরিচালনা করলেও অবৈধ সিগারেটের বাজার নিয়ন্ত্রণে আসছে না। এবার অবৈধ ও রাজস্ব ফাঁকি দেয়া সিগারেট নিয়ন্ত্রণে অভিযান পরিচালনা করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও ভ্যাট কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে কমিটি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। কমিটি যৌথভাবে সিগারেটের পাশাপাশি রাজস্ব ফাঁকি দেয়া বিড়ি, গুল, জর্দা আটকে অভিযান পরিচালনা করবে। সম্প্রতি এনবিআর থেকে সব কমিশনারেটকে এ সংক্রান্ত চিঠি দেয়া হয়েছে। অর্থবছরের মাঝামাঝি সময়ে সম্প্রতি এনবিআর সিগারেটের মূল্য ও রাজস্ব বৃদ্ধি করে। এতে করে সারাদেশে অবৈধ ও রাজস্ব ফাঁকি দেয়া সিগারেট বাজারজাত বেড়ে গেছে। কোম্পানিগুলো বিষয়টি এনবিআরকে জানিয়েছে। যার ফলে এই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

চিঠিতে কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলা হয়েছে—সিগারেট, বিড়ি ও তামাক জাতীয় পণ্য থেকে আহরিত ভ্যাটের প্রায় ২৫ শতাংশ রাজস্ব আদায় হয়। অবৈধ তামাক জাতীয় পণ্যের কারণে দেশের সামগ্রিক রাজস্ব আদায় মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে দেশের শহর বা গ্রাম বা প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্থানীয় বাজারে বিভিন্ন ব্রান্ডের দেশি ও বিদেশি অবৈধ তামাকজাতীয় পণ্য ব্যাপাক হারে বাজারজাতের সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে। এতে জনস্বাস্থ্যের ক্ষতির পাশাপাশি এনবিআরের সুনাম ক্ষুণ্ণ হচ্ছে এবং সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে। এই বিষয়ে নিয়মিত অভিযান পরিচালনার জন্য সব কমিশনারেটের অধীন সার্কেল পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হলো। কমিটিতে প্রতিটি সার্কেলের রাজস্ব কর্মকর্তাকে আহ্বায়ক ও সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট সেক্টর বা ব্যাটালিয়নের বিজিবি প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট জেলা বা ব্যাটালিয়নের আনসার ও ভিডিপি প্রতিনিধি। মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ এর ধারা ৮২(১) এর ক্ষমতাবলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মূসক কর্মকর্তাকে তার দায়িত্ব পালনে সহায়তা প্রদানের জন্য এই কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

কমিটির সদস্যরা যা করবেন : সব সার্কেল কর্মকর্তা এ কমিটির সামগ্রিক নেতৃত্ব দেবেন। প্রয়োজনে এলটিউ ভ্যাট কমিশনারের পরামর্শ নেবেন, কমিটি নিজ উদ্যোগে গোপনে সংবাদ সংগ্রহপূর্বক প্রাত্যহিক হাট-বাজার, লোকালয়, স্থানীয় গুদাম এবং সম্ভাব্য ও সন্ধিগ্ধ স্থানে অভিযান পরিচালনা করবে, বিভাগীয় কর্মকর্তা তার সব সার্কেলের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও সম্পাদিত কার্যক্রম মান, গুণ ও পরিমাণ যাচাই করে মতামতসহ কমিশনারের কাছে পাঠাবে, কমিশনার প্রাপ্ত তথ্য উপাত্ত সমন্বয় করে সামগ্রিক কর্মকাণ্ড বিবেচনায় গুণগতমানসম্পন্ন ও মেধাজাত কর্মকাণ্ডে সেরা কর্মকর্তার নামসহ মাসের ১০ তারিখের মধ্যে এনবিআরে প্রতিবেদন পাঠাবেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত