ঢাকা মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

রপ্তানিতে বছরে ক্ষতি হতে পারে ৮০০ কোটি ডলার

রপ্তানিতে বছরে ক্ষতি হতে পারে ৮০০ কোটি ডলার

বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা স্বল্পোন্নত দেশ বা এলডিসি থেকে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত নয়। উত্তরণ পরবর্তী সময়ে শুল্ক সুবিধা না থাকায় বাংলাদেশের রপ্তানি খাতে বছরে ৮ বিলিয়ন ক্ষতি হতে পারে। এ ছাড়া জলবায়ু অর্থায়নের ক্ষেত্রেও উন্নয়ন সহযোগিতা কমবে। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে এফডিসির একটি মিলনায়তনে ‘এলডিসি উত্তরণে চ্যালেঞ্জ’ নিয়ে আয়োজিত ‘ছায়া সংসদ’ নামে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের এক বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে গবেষণা সংস্থা সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন এমন মত দেন। আয়োজক সংস্থা ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে যা জানানো হয়।

ফাহমিদা খাতুন বলেন, গত সরকারের সময় যে অর্থনৈতিক তথ্য দেয়া হয়েছিল, তা ছিল গোঁজামিলনির্ভর ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। অর্থনৈতিক ডেটা কীভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যায়, বাংলাদেশ ছিল তার মধ্যে একটি অগ্রগণ্য দেশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)-কে নির্দেশ দেয়ার মাধ্যমে তারা মনমতো ডেটা ব্যবহার করত।

তিনি বলেন, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পরে বাংলাদেশকে কমার্শিয়াল রেটে ঋণ নিতে হবে, যা পরিশোধ করা ও ঋণের শর্তপূরণ করা কঠিন। চীনের ঋণের ব্যাপারে সব সময় একটা সংশয় থাকে। অন্যান্য দেশের ঋণের ক্ষেত্রে কমপ্লায়েন্স স্পষ্ট থাকলেও চীনের ক্ষেত্রে তা থাকে না। কোনোভাবেই ঋণের ফাঁদে পা দেয়া যাবে না। গত ১৫ বছরে ঋণের টাকা ব্যাপক অপচয়, দুর্নীতি ও লুটপাট হয়েছে। ঋণ পরিশোধে বাস্তবভিত্তিক কোনো পরিকল্পনা না থাকায় এই ঋণ বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বৈদেশিক ঋণ গ্রহণে সতর্কতা ও ঋণ ব্যবস্থাপনায় সুশাসন ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিলেও প্রশ্ন হচ্ছে, আওয়ামী সরকারের আমলে ভুয়া তথ্যের ভিত্তিতে আমরা উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ হতে যাচ্ছি কি না। বিগত সরকারের আমলে অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখানো হতো।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত