ব্যক্তি করমুক্ত আয়সীমা পাঁচ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেছেন গণমাধ্যমের সম্পাদকরা। তারা সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় সব ধরনের ভাতার পরিমাণ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন। কর্মসংস্থান ও বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর সুপারিশ করেছেন তারা। বাজেট বাস্তবায়নের কথাও বলেছেন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত গণমাধ্যমের সম্পাদকদের সঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের বৈঠকে এ সব প্রস্তাব করেন তারা। জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এবার একটি বাস্তবমুখী বাজেট দেয়ার চেষ্টা করবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তাই বাজেটের আকার খুব বেশি বড় হবে না। তিনি বলেন, বাজেটে মূল্যস্ফীতি কমানো, নতুন কর্মসংস্থানে মনোযোগ, করের আওতা বাড়ানোসহ স্বাস্থ্য, শিক্ষা, খাতে বাজেট বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন গণমাধ্যম কর্মীদের। এ সব প্রস্তাব সরকারের বিবেচনায় থাকবে। ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম বাজেট ২০২৫-২৬ অর্থবছর। তাই প্রস্তুতিও ব্যাপক, আছে চ্যালেঞ্জও। সব চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে একটি বাস্তবমুখী বাজেট ঘোষণা করতে অর্থ উপদেষ্টা গণমাধ্যমের কর্তাব্যক্তিদের কাছে পরামর্শ চেয়েছেন।
তিনি বলেন, গণমাধ্যমের সবার চাওয়া প্রায় একই রকম। বাজার নিয়ে মানুষের স্বস্তি আছে। তবে মূলস্ফীতি কমাতে হবে, বাড়াতে হবে নতুন কর্মসংস্থান। দেশের অর্থনৈতিক ভিত মজবুত করতে করের আওতা বাড়ানোর বিকল্প নাই, এমন মন্তব্য অনেকের। অর্থ উপদেষ্টা আরও বললেন, মানুষের আয় বাড়াতে হবে। তাই বাজেটে ব্যবসা-বাণিজ্যে জোর দেয়া হবে। তবেই কর্মসংস্থান বাড়বে। আলোচনায় সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ভাতা বাড়ানোর প্রস্তাবকে যৌক্তিক মনে করেন অর্থ উপদেষ্টা। বাড়ছে এ খাতের বরাদ্দ। মতবিনিময় সভায় অর্থ বিভাগের সচিব মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেকসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার শীর্ষ নির্বাহীরা উপস্থিত ছিলেন।