ঢাকা রোববার, ৩০ মার্চ ২০২৫, ১৬ চৈত্র ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ঈদের ছুটিতে এটিএম বুথে পর্যাপ্ত টাকা রাখার নির্দেশ

ঈদের ছুটিতে এটিএম বুথে পর্যাপ্ত টাকা রাখার নির্দেশ

ঈদের ছুটিতে এটিএম বুথে পর্যাপ্ত টাকা রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ সময় ৯ দিনের ছুটির কারণে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকবে, তাই গ্রাহকদের নির্বিঘ্ন লেনদেনের জন্য এটিএম বুথে যথেষ্ট টাকা রাখার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া পয়েন্ট অব সেলস (পিওএস), অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে এবং মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) সার্বক্ষণিক চালু রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। গত সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ঈদে ব্যাংকগুলোকে এটিএম, পিওএস, কিউআর কোড, ইন্টারনেট ব্যাংকিং এবং এমএফএসে নিরবচ্ছিন্ন লেনদেন নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি এটিএম বুথে সার্বক্ষণিক সেবা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বুথ পরিদর্শন করতে বলা হয়েছে। গ্রাহকদের সুরক্ষার জন্য পিওএস এবং কিউআর কোডের সেবা সচল রাখা, এবং জালিয়াতি রোধে সতর্কতা গ্রহণের নির্দেশও দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, কার্ডভিত্তিক লেনদেনের ক্ষেত্রে টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন ব্যবস্থা চালু রাখতে হবে এবং এমএফএসে পর্যাপ্ত নগদ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া গ্রাহকদের হয়রানি রোধে ব্যবস্থা এবং হেল্পলাইন সহায়তা প্রদান নিশ্চিত করার কথাও বলা হয়েছে।

টাকা ছাপিয়েও আওয়ামী লীগ আমলের দুর্নীতির শিকার ব্যাংকগুলোকে রক্ষা করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। গত সোমবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (ডিজেএফবি) ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। ডিজেএফবির সভাপতি হামিদণ্ডউজ-জামানের সভাপতিত্বে মাহফিল সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবু হেনা মুহিব।

পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, ব্যাংকগুলোকে রক্ষা করতে অনেক টাকা ছাপানো হচ্ছে। বর্তমানে ব্যাংক রক্ষা করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। সরকার ব্যাংকগুলো রক্ষার চেষ্টা করে যাচ্ছে। এছাড়া হুন্ডির মাধ্যমে টাকা আদান-প্রদান কমেছে, তাই প্রবাসী আয় বেড়েছে। টাকা পাচার কমেছে, সেটা তেমন দৃশ্যমান হচ্ছে না, কারণ ভবিষ্যতের জন্য রোডম্যাপ করতে হবে। এক বছরের পরিকল্পনায় হবে না।

উপদেষ্টা আরও বলেন, পরিকল্পনা কমিশনের অনিয়ম যতটুকু প্রকাশ করা হবে তত স্বচ্ছতা বাড়বে। আগের সরকার যেসব অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড করছিল তাতে অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়ত। এতে সরকারও টিকে থাকতে পারত না। টাকা ছাপানো, টাকা পাচারের ফলে রিজার্ভ থাকত না।

বৈদেশিক লেনদেন ঠিক থাকত না। ব্যাংকগুলো খালি হয়ে যাচ্ছিল। শেষের দিকে ব্যাংকগুলো খালি হয়ে বন্ধ হয়ে যেত। বিদেশি বিনিয়োগের বিষয়ে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বিদেশি বিনিয়োগ আসতে চাইবে না। তবে এতকিছুর মধ্যেও রপ্তানি আয় বেড়েছে। জিনিসপত্রের দামও কমেছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত