ক্রেডিট কার্ডের রিপোর্টকৃত মাসের তথ্য বিবরণী পরবর্তী মাসের ১০ তারিখের মধ্যে দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। প্রতিটি লেনদেনের তথ্য-উপাত্ত অটোমেশন ও সঠিকতার সঙ্গে সংগ্রহ, সংকলন, সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণ এবং কার্ড ও এর লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত অপারেশনাল ম্যানুয়ালে প্রদত্ত ডাটা টেমপ্লেট অনুযায়ী মাসিক ভিত্তিতে নিয়মিতভাবে পাঠাতে এই নির্দেশনা দেয়া হয়। আগামী ১ এপ্রিল থেকে এই নির্দেশনা কার্যকর হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে। নির্দেশনায় বলা হয়, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী লেনদেনের একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে কার্ড। বাংলাদেশে ক্রমান্বয়ে কার্ডের ব্যবহার এবং চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই বর্ধিত চাহিদার বিষয়টি বিবেচনা করে কার্ড সংক্রান্ত তথ্য/উপাত্ত আরও বিস্তৃতভাবে সংগ্রহের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। কার্ডের লেনদেন সংক্রান্ত এই বিস্তৃত তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের ফলে অত্র বিভাগের বিগ ডাটা সংক্রান্ত তথ্য ভাণ্ডার আরও সমৃদ্ধ হবে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক, কমার্শিয়াল ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ, গবেষকগণ ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অংশীদারগণ এই তথ্য/উপাত্ত ব্যবহার করে কাস্টমার স্পেন্ডিং বিহেভিয়ারাল প্যাটার্ন অ্যানালাইসিস ইনসাইটফুল ইনফরমেশন আহরণের মাধ্যমে সময়োপযোগী বিভিন্ন ইনোভেটিভ প্রডাক্ট লাঞ্চিং এবং প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়ন করতে সক্ষম হবেন। এ লক্ষ্যে, দেশে কার্যরত কার্ড সেবা প্রদানকারী সব তফসিলি ব্যাংক/নন ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে কার্ডভিত্তিক প্রতিটি লেনদেনের তথ্য-উপাত্ত অটোমেশন ও সঠিকতার সাথে সংগ্রহ, সংকলন, সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণ এবং কার্ড ও এর লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত পোর্টালে রিপোর্ট এর সুবিধার্থে একটি অপারেশনাল ম্যানুয়াল চূড়ান্ত করা হয়েছে। এমতাবস্থায় সংযুক্ত অপারেশনাল ম্যানুয়ালে প্রদত্ত ডাটা টেমপ্লেট অনুযায়ী কার্ড সংক্রান্ত তথ্যাদি মাসিক ভিত্তিতে (রিপোর্টকৃত মাসের বিবরণী পরবর্তী মাসের ১০ তারিখের মধ্যে) পোর্টালের মাধ্যমে নিয়মিতভাবে প্রেরণ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯১ এর ধারা ৪৫ (২০২৩ পর্যন্ত সংশোধিত) এবং ফাইন্যান্স কোম্পানি আইন, ২০২৩ এর ধারা ৩৮(১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নির্দেশনা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।