ঢাকা রোববার, ০৬ এপ্রিল ২০২৫, ২৩ চৈত্র ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

স্বর্ণের বাজারে অস্থিরতা

৩ মাসে দাম বেড়েছে ১৪ বার
স্বর্ণের বাজারে অস্থিরতা

স্বর্ণের দাম ক্রমাগত বৃদ্ধির ফলে গহনার বাজার প্রভাবিত হচ্ছে। বিশেষ করে বিয়ে-উৎসবে স্বর্ণের অলংকারের চাহিদা থাকায় এর মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ মানুষকে ভাবিয়ে তুলছে। বর্তমানে ২২ ক্যারেট স্বর্ণের ভরি প্রতি মূল্য দেড় লাখ টাকারও বেশি, যেখানে এক বছর আগে এ দাম ছিল ১ লাখ ১১ হাজার টাকা। অর্থাৎ, এক বছরে ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম বেড়েছে প্রায় ৪৭ হাজার টাকা। গত তিন মাসে সোনার দাম বেড়েছে ১৪ বার, আর কমেছে মাত্র ৩ বার। বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ার কারণে দেশেও এর প্রভাব পড়ছে। বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) দেশে স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করে এবং নিয়মিত মূল্য হালনাগাদ করে। চলতি বছরের জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে বাজুস মোট ১৭ বার স্বর্ণের দামে পরিবর্তন এনেছে, যার মধ্যে ১৪ বার দাম বেড়েছে এবং ৩ বার কমেছে। এদিকে ১৫ জানুয়ারি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ছিল ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। সর্বশেষ ২৮ মার্চ এটি বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ৫৭ হাজার ৮৭২ টাকা, যা এ পর্যন্ত দেশের বাজারে সর্বোচ্চ রেকর্ড। বাংলাদেশে স্বর্ণের খনি নেই, স্বর্ণ উৎপাদিতও হয় না। দেশের বাজারে যে স্বর্ণ পাওয়া যায়, তার সবই আমদানি করা। ফলে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বাড়লে দেশেও বাড়ে। সর্বশেষ গত ৩১ মার্চ পর্যন্ত বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ১০০ ডলার ছাড়িয়েছে। প্রতি সপ্তাহেই সোনার দাম নতুন রেকর্ড গড়ছে। মূলত এ কারণেই বাংলাদেশ, ভারতসহ সব দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ছে। বর্তমানে ২১ ক্যারেট মানের স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৫০ হাজার ৬৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেট মানের স্বর্ণ ১ লাখ ২৯ হাজার ১৬৭ টাকায় ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৬ হাজার ৫৩৯ টাকা। নানা কারণেই স্বর্ণের দাম বাড়ছে। তার মধ্যে আছে ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা, বিভিন্ন দেশের পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির চাপ ও তার জেরে শুল্ক যুদ্ধের আশঙ্কা। ফলে রাজনৈতিক, কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক জটিলতা তৈরি হচ্ছে।

নিরাপদ বিনিয়োগের ক্ষেত্র হিসেবে অনেকে স্বর্ণের দিকে ঝুঁকছেন। শেয়ারবাজার থেকে পুঁজি প্রত্যাহার করেও অনেকে স্বর্ণ কিনছেন।

বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতি ও বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ক্রয় বৃদ্ধির কারণেও স্বর্ণ দাম বাড়ছে। ২০২৪ সালে টানা তৃতীয় বছরের মতো বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো এক হাজার টনের বেশি স্বর্ণ কিনেছে, যা দামের ঊর্ধ্বগতির অন্যতম কারণ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত