এ বছর দেশে আলুর উৎপাদন বেশ ভালো হলেও দাম ও সংরক্ষণে বিভিন্ন এলাকায় বড় ধরনের সংকট দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে সিরাজদিখান ও রাজশাহীতে আলুর দাম কমার পাশাপাশি সংরক্ষণে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা দেখা দিয়েছে। এতে এ মৌসুমে বিক্রি না হওয়া আলু পচে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সিরাজদিখান উপজেলার কৃষকেরা এ বছর আলুর বাম্পার ফলন পেয়েও দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। একদিকে আলুর দাম কমেছে, অন্যদিকে হিমাগারে স্থান-সংকটে তারা আলু সংরক্ষণ করতে পারছেন না। উপজেলায় ১০টি হিমাগার থাকা সত্ত্বেও ধারণক্ষমতা সীমিত।
যদিও এর মধ্যে উত্তরবঙ্গের আলু দিয়ে সেগুলো পূর্ণ করা হয়েছে। ফলে স্থানীয় কৃষকেরা আলু সংরক্ষণ করতে পারছেন না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রভাবশালী ব্যক্তি ও ব্যবসায়ীরা আগে হিমাগারের স্থান দখল করে রেখেছেন এবং হিমাগার কর্তৃপক্ষ এ কাজে সহায়তা করছে। ফলে স্থানীয় কৃষকদের আলু সংরক্ষণের তুলনায় বিশেষ গোষ্ঠীর ব্যবসায়ীদের আলু সংরক্ষণে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এ কারণে হিমাগারে স্থান পেতে স্থানীয় কৃষকদের কঠিন সংগ্রাম করতে হচ্ছে।
স্থানীয় লতব্দী এলাকার কৃষক আওলাদ হোসেন বলেন, তিনি নিজের জমিতে উৎপাদিত ৭০০ বস্তা আলুর মধ্যে ৫০০ বস্তা নেপচুন কোল্ডস্টোরেজে রাখতে পেরেছেন, কিন্তু বাকি ২০০ বস্তা আলু হিমাগারে রাখতে পারেননি। তিনি জানান, স্থান বুকিং দিয়েও সব আলুর জন্য জায়গা পাননি।