রমজানে বিদেশি ফলের পাশাপাশি নানান জাতের দেশি ফলের চাহিদা বাড়ে। ফলে দামও বাড়ে। তবে ঈদের পর কিছুটা কমেছে দেশি ফলের দাম। গতকাল শনিবার রাজধানীর মিরপুর-১ নম্বর কাঁচাবাজার, মিরপুর-১০ ফলপট্টি, কচুক্ষেত বাজারসহ আশপাশের কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র পাওয়া যায়। এসব বাজারে মৌসুমি ফলের সরবরাহ স্বাভাবিক, তবে ক্রেতা কম বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ঢাকার বাজারে আজ তরমুজ ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ হিসাবে মাঝারি আকারের তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়।
এছাড়া বড় আকারের তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়। মিরপুর-১ কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী আবদুস সাত্তার বলেন, ফলের সরবরাহ স্বাভাবিক। তবে ক্রেতা কম থাকায় ফলের চাহিদাও কম।
এ কারণে দাম কমেছে। তিনি জানান, রমজানে কলার দাম হালিপ্রতি ৬০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। তবে আজ সবরি কলা ৩০ টাকা প্রতি হালি, চিনিচম্পা ২০ টাকা প্রতি হালি ও সাগর কলা ৫০ টাকা প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বাঙ্গি প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রমজানের শুরুতে যা ১০০ থেকে ১২০ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি হয়। রমজানে পেয়ারার দাম বাড়লেও ঈদের পর দাম কমেছে।
রমজানের শুরুতে বাজারে পেয়ারা ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি পেয়ারা ৬০ থেকে ৮০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। জুবায়ের নামের এক ক্রেতা বলেন, রমজানের সময় হাফ কেজি পেয়ারা নিয়েছিলাম ৬০ টাকায়।
এখন এই দামে এক কেজি পাওয়া যাচ্ছে। বাজারে ৬০ টাকা থেকে শুরু করে ৮০ টাকার মধ্যে মিলছে বড় আকারের আনারস। একই রকম দাম বেলের। তবে বেশ বড় আকারের বেল বিক্রি হচ্ছে বাজারভেদে ১০০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে। সাধারণত সারা বছরই ডাবের চাহিদা থাকে। পাশাপাশি এখন ধীরে ধীরে বাড়ছে গরমের তীব্রতা। ফলে ডাবের দাম বেশ চড়া। ছোট আকারের ডাব ১৫০ টাকা, মাঝারি ১৮০ এবং বড় আকারের ডাব ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাকা পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।