মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রগামী রপ্তানি পণ্যবাহী কন্টেইনার বোঝাই সম্ভাব্য সর্বাধিক জাহাজকে গতকাল বুধবার মধ্যে বন্দর জেটি ত্যাগের অনুরোধ জানিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস এসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ কন্টেইনার শিপিং অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়েছেন বন্দর সচিব। গত সোমবার বন্দর সচিবের দেয়া চিঠিতে বলা হয়- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন ইউএসএমুখী রপ্তানি পণ্যের উপর নতুন হারে শুল্ক আরোপের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এরমধ্যে বাংলাদেশি পণ্যের উপর প্রায় ৩৭% শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। যা আগামী ১০ এপ্রিল কার্যকর হবে। এই প্রেক্ষাপটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রগামী বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যবাহী কন্টেইনারকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে জাহাজের ক্যাপাসিটি অনুযায়ী সর্বোচ্চ সংখ্যক বোঝাইপূর্বক ৯ এপ্রিলের মধ্যে সেইল (বন্দর ত্যাগের) করানোর জন্য সার্বিক উদ্যোগ গ্রহণের অনুরোধ করা গেল। চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গঠিত টাস্কফোর্সের সদস্য খায়রুল আলম সুজন বলেন, বন্দরের এই উদ্যোগ সময়োপযোগী। আমরা সাধুবাদ জানাই। পাশাপাশি বেসরকারি আইসিডি থেকে রপ্তানি পণ্য বন্দরের ভেতরে জাহাজিকরণের জন্য আনা-নেয়া যানজটমুক্ত ও নির্বিঘ্ন করা গেলে বন্দরের এই উদ্যোগ অধিক ফলপ্রসূ হবে।
প্রসঙ্গত- যুক্তরাষ্ট্রগামী তৈরি পোশাক শিল্পের রপ্তানি পণ্য ৯ এপ্রিলের মধ্যে জাহাজিকরণের ব্যবস্থা নিতে গত রোববার চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেয় গার্মেন্টস মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়- বাংলাদেশের অনেক রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানি করে। বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দর ও আইসিডিগুলোতে অনেক প্রতিষ্ঠানের যুক্তরাষ্ট্রগামী পণ্য বোঝাই কন্টেইনার রপ্তানির অপেক্ষায় রয়েছে। চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়- এ কন্টেইনারগুলো ৯ এপ্রিলের মধ্যে জরুরি ভিত্তিতে অগ্রাধিকার দিয়ে রপ্তানির ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। রপ্তানি বাণিজ্যের বৃহত্তর স্বার্থে কন্টেইনারগুলো জরুরি ভিত্তিতে অগ্রাধিকার দিয়ে ৯ এপ্রিলের মধ্যে জাহাজিকরণের ব্যবস্থা করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি। বিজিএমইএর পক্ষ থেকে অনুরোধ পাওয়ার পরপরই এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিল চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।