বাংলা সন ১৪৩১-এর শেষদিন গতকাল রোববার দেশের শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের জন্য মোটেও ভালো যায়নি। বছরের শেষদিনে শেয়ারবাজারে ঢালাও দরপতন হয়েছে। ফলে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি কমেছে সবকটি মূল্যসূচক। সেই সঙ্গে ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। তবে সিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। এদিন ডিএসইতে লেনদেনে শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার দেখা মেলে।
তবে লেনদেনের আধাঘণ্টার মধ্যে সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে।
লেনদেনের শেষদিকে দরপতনের মাত্রা বাড়তে থাকে। ভালো, মন্দ, মাঝারি সব শ্রেণির বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দরপতন হয়। পাশাপাশি মিউচুয়াল ফান্ডেও ঢালা দরপতন হয়। এতে দিনের লেনদেন শেষে সব খাত মিলে ডিএসইতে ৭৯টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখাতে পেরেছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৭০টির। আর ৪৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ভালো কোম্পানি বা ১০ শতাংশ অথবা তার বেশি লভ্যাংশ দেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৫৮টির শেয়ার দাম বেড়েছে এবং ১৩৮টির দাম কমেছে। আর ২৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মাঝারি মানের বা ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেয়া ১২টি কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার বিপরীতে ৬৩টির দাম কমেছে এবং ৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এছাড়া বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেয়ার কারণে পঁচা ‘জেড’ গ্রুপে স্থান হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৯টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৬৯টির এবং ১৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আর ৩টি মিউচুয়াল ফান্ডের দাম বাড়ার বিপরীতে দাম কমেছে ২৫টির এবং ৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। সার্বিকভাবে দাম কামার তালিকায় বেশি প্রতিষ্ঠান থাকায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৩৫ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ১৬৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৬৬ পয়েন্টে নেমে গেছে।