ভারত থেকে আরও চাল কিনবে সরকার

প্রকাশ : ৩১ ডিসেম্বর ২০২০, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল ক্রয়ের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। গতকাল বুধবার অনলাইনে অনুষ্ঠিত ৩৭তম সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবু সালেহ মোস্তফা কামাল সাংবাদিকদের এ কথা জানান। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

আবু সালেহ মোস্তফা কামাল বলেন, আজকের বৈঠকে আট প্রস্তাব উত্থাপন করা হলেও সড়ক ও জনপথ বিভাগের দুটি এবং বিদ্যুৎ বিভাগের একটি প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া টেবিলে চাল ক্রয়ের একটি প্রস্তাবের অুনমোদন দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, টেবিলে উত্থাপিত ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যার মূল্য ধরা হয়েছে ১৬৮ কোটি ৬২ লাখ ৯০ হাজার ৪০০ টাকা। সুপারিশকৃত দরদাতা হচ্ছে ভারতের বীরভূমের এমএসপিকে এগ্রি লিংক প্রাইভেট লিমিটেড। প্রতি টন চালের দাম ৩৯৭ দশমিক ৭১ মার্কিন ডলার। আর প্রতি কেজি চালের মূল্য বাংলাদেশি টাকায় ভ্যাট ছাড়া ৩৩ দশমিক ৭২ টাকা।

এর আগে গত ৩ ও ৯ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক কোটেশনের মাধ্যমে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ৫০ হাজার করে ১ লাখ টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। তখন প্রতি কেজি চালের দাম ধরা হয়েছিল ৩৪ টাকা ২৮ পয়সা এবং ৩৫ টাকা ২৭ পয়সা। আর প্রতি টনের ক্রয়মূল্য যথাক্রমে ৪০৪ দশমিক ৩৫ ও ৪১৬ মার্কিন ডলার। এছাড়া সুপারিশকৃত দরদাতা হচ্ছে ভারতের মুম্বাইয়ে এমএস রিকা গ্লোবাল ইমপ্যাক্টস লিমিটেড ও পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের এমএসপিকে এগ্রি লিংক প্রাইভেট লিমিটেড।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির কারণে চলতি বছর খুব চ্যালেঞ্জিং ছিল, তবে অন্যান্য দেশের তুলনায় আমরা যেহেতু ভালো আছি, তাই আশা করি আমাদের আগামী বছর ভালো যাবে।’

অর্থমন্ত্রী হিসেবে তার প্রত্যাশার বিষয়ে মুস্তফা কামাল বলেন, ‘আমি সব সময় ভালোটাই প্রত্যাশা করি। সবাই ভালোভাবেই জানেন, ২০২০ সালে সারা বিশ্ব, বিশ্ব ব্যাংক, আইএমএফ প্রকিউরমেন্ট করেছে সারা বিশ্বের অর্থনীতি গত বছরের তুলনায় চার ভাগ কমে গেছে।’

তিনি বলেন, আমি মনে করি এখনও আমাদের করোনা শেষ হয়নি। করোনা শুরু হওয়ার পর আমরা যেভাবে মোকাবিলা করেছি এবং মোটামুটিভাবে তুলনামূলক আমরা একটা অবস্থানে আছি। আমরা একইভাবে চিন্তা করব আমাদের অর্থনীতিটা আগামী বছরও ভালো যাবে। আমাদের সর্বক্ষেত্রে অগ্রগতি হচ্ছে। পৃথিবীর যে কোনো দেশ দেখবে তাদের সার্বিকভাবে নিম্নগতি। আমরা যেহেতু ভালো আছি, আশা করি আমাদের আগামী বছর ভালো যাবে। মন্ত্রী আরও বলেন, সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাই। আমাদের প্রত্যাশাগুলো আল্লাহতালা পূরণ করবেন এবং আমাদের জীবন আরও সাবলীলভাবে অগ্রসরমান হবে সেটাই আমার প্রত্যাশা।