হাসান আলবাসরি ছিলেন সুবিজ্ঞ তাবেয়িদের অন্যতম একজন বিজ্ঞ ইমাম, বিচারক ও মুহাদ্দিস। তিনি ছিলেন ইসলামের প্রাথমিক যুগের একজন সুবিখ্যাত ব্যক্তিত্ব।
জনৈক ব্যক্তি ইমাম হাসান আল বাসরির কাছে এসে বলল,
ওহে ইমাম! আকাশ বৃষ্টি বর্ষণ করছে না।
ইমাম বললেন, ইস্তেগফার তথা আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর।
অতঃপর আরেকজন ব্যক্তি এসে বলল,
আমার স্ত্রী সন্তান জন্ম দিচ্ছেন না।
ইমাম বললেন, ইস্তেগফার তথা আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর।
অতঃপর তৃতীয় ব্যক্তি এসে বলল,
আমি দারিদ্র্যতায় নিমজ্জিত হয়ে গেছি।
ইমাম বললেন, ইস্তেগফার তথা আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর।
ইমামের উত্তর শুনে একজন শ্রোতা বলল, ওহে ইমাম! আপনার উত্তর শুনে আমি আশ্চর্যান্বিত হচ্ছি। যখনই কেউ আপনার কাছে এসে নিজের প্রয়োজনের কথা বলছে, আপনি তাকে বলছেন : ইস্তেগফার তথা আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর।
ইমাম হাসান আলবাসরি বললেন, তুমি কি মহান আল্লাহর এই বাণীটি পড়নি : ‘হজরত নূহ বলেন,
আর আমি (আমার জাতিকে) বললাম : ‘তোমরা তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা চাও; নিশ্চয় তিনি অতীব ক্ষমাশীল’। তিনি তোমাদের ওপর মুষলধারে বৃষ্টি বর্ষণ করবেন, আর তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি দিয়ে সাহায্য করবেন এবং তোমাদের জন্য বাগ-বাগিচা তৈরি করে দেবেন আর তৈরি করে দেবেন নদী-নালা’।
(সুরা নূহ ১০,১১)।
ইস্তেগফার মানে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া।
আস্তাগফিরুল্লাহ পাঠ করা। সংক্ষিপ্ত বা পূর্ণভাবে। হাদিসে বর্ণিত বিভিন্ন ইস্তেগফার আছে। যেমন-
১. আস্তাগফিরুল্লাহা রাব্বী মিন কুল্লি যানবিন ওয়া আতূবু ইলাইহি।
২. আস্তাগফিরুল্লাহাল আযীমাল্লাজী লা ইলাহা ইল্লা হু, আল হাইয়ুল কাইয়ূম ওয়া আতূবু ইলাইহি।
লেখক : অধ্যক্ষ, আধুনগর ইসলামিয়া মাদ্রাসা, লোহাগাড়া, চট্টগ্রাম