ঢাকা ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নবীজির জীবনী পাঠের গুরুত্ব

ইমরান নাজির
নবীজির জীবনী পাঠের গুরুত্ব

দৈনন্দিন জীবনে আমরা অনেক গল্প-উপন্যাস পড়ি। পড়ি অনেক মনীষীর জীবনীও; কিন্তু প্রিয় নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনী পড়েছি কয়জনে? এ প্রশ্নটা আমরা নিজেকে করি। দেখি কী উত্তর আসে? নবীজির জীবনী না পড়লেও আমরা স্বাভাবিক পড়ছি নানান গল্প উপন্যাসের বই। নজরুলের বিষের বাঁশি, রবীন্দ্রনাথের অপরিচিতা, শেষের কবিতা, গীতাঞ্জলি, চোখের বালি, বঙ্কিমচন্দ্রের ‘বিড়াল’ গল্প, সৈয়দ মুজতবা আলীর প্রবাস বন্ধু, শেখ মুজিবের অসমাপ্ত আত্মজীবনী। এসব পড়ে আমরা আমাদের মনের খোরাক নিচ্ছি।

আনন্দ ভোগ করছি। নিজেকে জ্ঞানসমৃদ্ধ করছি। এর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি নানান কারণে। কিন্তু যিনি আমাদের আদর্শ। দুনিয়া আখেরাতে সর্দার। সেই মহানবীর জীবনীটা কি পড়া প্রয়োজন নেই? বিশ্ব কবি হওয়ায় যদি রবীন্দ্রনাথের গীতাঞ্জলি পড়তে পারি, বিদ্রোহী কবি হওয়ায় যদি নজরুলের রাজবন্দীর জবানবন্দী, বিদ্রোহী কবিতা পড়তে পারি, বাংলাদেশ নামক একটা ভূখণ্ডের স্থপতি হওয়ায় যদি শেখ মুজিবের অসমাপ্ত আত্মজীবনী পড়তে পারি, তাহলে যাকে সৃষ্টি না করলে আল্লাহতায়ালা আমাকে-আপনাকে সৃষ্টি করতেন না।

সৃষ্টি করতেন না সৌরজগৎ, গ্রহ-নক্ষত্র, নভোমণ্ডল-ভূমণ্ডল কোনো কিছুই। যার উসিলায়ই আল্লাহতায়ালা এ গোটা মহাবিশ্বকে সৃষ্টি করেছেন। সেই মহানবীর পবিত্র জীবনীটা যদি আমরা না পড়তে পারি, তাঁর জীবনী পড়ার জন্য যদি দৈনিক আধাঘণ্টা বা একঘণ্টা সময় ব্যয় করতে না পারি, তাহলে আমাদের মতো হতভাগা আর কেউ নেই।

যে নবীজিকে ভালো না বাসলে ঈমানদারের ঈমানে পূর্ণতা আসে না। যার জীবনাদর্শে রয়েছে মানবজাতির জন্য শান্তি ও মুক্তি। যার জীবনাদর্শের ব্যাপারে স্বয়ং আল্লাহতায়ালাই কসম খেয়েছেন আর বলেছেন, ‘নিশ্চয় আপনি মহান চরিত্রের উপর অধিষ্ঠিত’। (সুরা ক্বলাম : ০৪)। আরেক আয়াতে বলেছেন, ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মাঝে রয়েছে তোমাদের জন্য উত্তম আদর্শ’ (সুরা আহযাব : ২১)। একজন মোমেন হয়ে শ্রেষ্ঠ নবীর শ্রেষ্ঠ উম্মত হয়ে যদি তাঁর জীবনীটা না পড়তে পারি, তাঁর সম্পর্কে না জানতে পারি, তাহলে এর চেয়ে দুঃখ ও লজ্জাজনক দুর্ভাগ্য আমাদের জন্য আর কিছুই হতে পারে না।

ইমরান নাজির

শিক্ষার্থী, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যাল

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত