আল্লাহর রহমত হতে নিরাশ হইও না
মুহাম্মদ কামাল হোসেন
প্রকাশ : ১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আমরা জানি, জীবন প্রবহমান একটি যাত্রা। মহান আল্লাহতায়ালা আমাদের দুনিয়াতে পাঠানোর পর থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সময়টুকু গতিশীল করে দিয়েছেন। শিশু থেকে আমরা বৃদ্ধ বয়সে উপনীত হই এবং একটা সময় আমাদের গতিশীল এই জীবনের যবনিকা ঘটে। ক্ষণস্থায়ী এই সময়টুকুতে আমাদের জীবনে যোগ হয় পাওয়া না পাওয়া, হারানো কিংবা হেরে যাওয়া। সর্বসাকূল্যে ব্যর্থতার বহিঃরুপ ‘হতাশা।’ জীবনে পাওয়া না পাওয়ার বেদনায় হতাশ হওয়া কিংবা মানসিক চাপ অনুভব করা নতুন কিছু নয়। বিপদ-আপদ, চাপ কিংবা না পাওয়ার বেদনা যত বেশিই হোক না কেন, কোনো অবস্থায়ই হতাশ হওয়া ঈমানদারের কাজ নয়। বরং সর্বাবস্থায় মহান আল্লাহর ওপর আস্থা রাখাই সুস্থ থাকার উপায় এবং বুদ্ধিমানের কাজ।
বিশ্বাস, আশা ও ভালোবাসা মোমেনের জীবনের প্রধান বৈশিষ্ট্য। বিশ্বাসী, আশাবাদী, ভালোবাসায় পরিপূর্ণ মানুষ ব্যর্থ হয় না এবং হতাশাগ্রস্তও হয় না। হতাশা আসে ব্যর্থতার গ্লানি থেকে। সাধারণত মানুষ প্রাপ্তিতে তৃপ্ত ও অপ্রাপ্তিতে অতৃপ্ত হয়। তাৎক্ষণিক লাভ-ক্ষতিকে মানুষ সফলতা ও ব্যর্থতার মানদ- মনে করে এবং সেভাবেই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে।
পবিত্র কোরআন মাজিদে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আমি যখন মানুষকে নিয়ামত দান করি, তখন সে মুখ ফিরিয়ে নেয় ও পাশ কাটিয়ে যায়। আর যদি কোনো অনিষ্ট তাকে স্পর্শ করে, তখন সে হতাশ হয়ে পড়ে।’ (সুরা ১৭ ইসরা, আয়াত : ৮৩)।
মোমেনের কাছে দুনিয়ার জীবন মহাসফরের একটি মঞ্জিলমাত্র এবং দুনিয়ার জীবন পরকালের শস্যক্ষেত্র। এখানকার সাময়িক সুখে মোমেন বিভোর ও বিমোহিত হন না এবং সাময়িক দুঃখ-কষ্ট, যন্ত্রণা-যাতনায় মোমেন বিচলিত হন না। মোমেন সর্বদা চূড়ান্ত লক্ষ্যপানে অবিচল থেকে দৃঢ় পদে অবিরাম চলতে থাকেন তার মহাযাত্রায়। এ কথা মনে রাখা উচিত, যে কোনো সময় যে কোনো পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে মানুষ। কোরআনুল কারিমে এমন ইঙ্গিত এসেছে অনেকবার। তখনই আল্লাহর সেই বাণীর ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন’ স্মরণ করাই সবার কাজ।
বিপদ-আপদ, হতাশা, রোগ-শোক সবই মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দার জন্য পরীক্ষা। আল্লাহতায়ালা বলেন- ‘আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করব সামান্য ভয় ও ক্ষুধা এবং জানমাল ও ফসলের কিছুটা ক্ষতি দিয়ে; আর তুমি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও- যাদের ওপর কোনো বিপদ এলে বলে ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন’ নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহর আর অবশ্যই আমরা তার কাছেই ফিরে যাব।’ (সুরা বাকারাহ : আয়াত ১৫৫-১৫৬)।
হাসি-কান্না, দুঃখ-বেদনা, আশা-হতাশা সব মিলিয়েই মানুষের জীবন। জীবনে দুঃখ না থাকলে সুখ, হতাশা না থাকলে প্রত্যাশার কোনো মূল্যায়ন হতো না। কখনো কখনো নানা কারণে মানুষের জীবনে হতাশা নেমে আসতে পারে। আবার সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনেও হতাশার কালো ধোঁয়া আচ্ছন্ন করে ফেলতে পারে। তবে সত্যিকার মোমেন যারা, তারা কখনও হতাশ হতে পারেন না। মানুষ হিসেবে সাময়িকভাবে কিছুটা আশাহত হতে পারেন; কিন্তু স্থায়ী হতাশা তাদের মধ্যে থাকতে পারে না। মোমেনরা সবসময় হবেন আশাবাদী। মানুষের বেঁচে থাকার মূল প্রেরণাই তো হলো আশা। নানা আশায় বুক বেঁধেই মানুষ বেঁচে থাকে, ব্যক্তি-সমাজ ও রাষ্ট্রকে সাজানোর প্রেরণা খুঁজে পায়। তবে প্রকৃত মোমেন যারা, তারা কখনো হতাশ হতে পারেন না। আল্লাহতায়ালা কোরআনে স্পষ্ট ঘোষণা করেছেন, মনমরা হয়ো না, দুঃখ করো না, তোমরাই বিজয়ী হবে, যদি তোমরা মোমেন হয়ে থাকো। (সুরা আলে ইমরান-১৩৯)।
মোমেন জীবনে নানা বাধা-বিপত্তি আসবে। বিভিন্ন ঝক্কি-ঝামেলায় পড়বেন তারা। তবুও তাদের ভেঙে পড়লে চলবে না। রাসূলের (সা.) জীবনে বিভিন্ন সময় অন্তহীন সমস্যা ও বিপদ এসেছে; কিন্তু তিনি ইমানের দাবি হিসেবে দৃঢ়ভাবে তা মোকাবিলা করেছেন। আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রেখেছেন। মানুষের সঙ্গে আল্লাহর সব আচরণই কোনো না কোনো মঙ্গলের জন্য। আজকে আমরা যাকে নিজেদের অমঙ্গল মনে করছি এর মধ্যেও কোনো না কোনো মঙ্গল নিহিত আছে। আল্লাহতায়ালা মানুষের জন্য যা ভালো মনে করেন তা-ই দেন। বিপদণ্ডআপদের মাধ্যমে আল্লাহ মোমেনদের পরীক্ষা করেন; তাদের সংশোধন হওয়ার সুযোগ করে দেন। এসব মুহূর্তে ভেঙে পড়া মোমেনের কাজ নয়। বিপদে ধৈর্যধারণ এবং আল্লাহর সাহায্য কামনা করাই হলো মোমেনের পরিচয়। বিপদের মুহূর্তে ধৈর্যধারণে রয়েছে বিশাল সওয়াব। বিপদ-আপদে যারা ধৈর্যধারণ করেন তাদের মর্যাদা আল্লাহ বাড়িয়ে দেন। অনেক সময় মোমেনের কৃতকর্মের জন্য অনেক বিপদ নেমে আসে। বিপদ যিনি দেন, সেই বিপদ সরিয়ে নেওয়ার ক্ষমতাও আল্লাহতায়ালার। এজন্য বিপদের মুহূর্তে তাকেই আশ্রয় হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। তার সাহায্য ছাড়া দুনিয়ার কোনো কিছুই মানুষকে বিপদ থেকে উদ্ধার করতে পারবে না। মোমেনদের উচিত সবসময় আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা। ইসলাম একদিকে মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে উৎসাহিত করে; অন্যদিকে নিরাশা ও হতাশাকে করে নিরুৎসাহিত। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হইও না। অবশ্যই আল্লাহ সব পাপ ক্ষমা করে দেবেন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সুরা জুমার-৫৩) মূলত হতাশা ও নিরাশা হলো শয়তানের বৈশিষ্ট্য। শয়তানের এক নাম ইবলিশ, যার অর্থ হলো ‘নিরাশ’ বা ‘হতাশ’। আর ‘আশা’ হলো নবী-রাসূল ও আল্লাহর নেয়ামতপ্রাপ্তদের বৈশিষ্ট্য। দুনিয়ার যত নবী-রাসূল এসেছেন তাদের প্রত্যেকেই দুনিয়া জোড়া বিপদকে মাথায় নিয়েও তাদের পথে অটল রয়েছেন। হতাশা কখনো তাদের পথরোধ করে দাঁড়াতে পারেনি। কারণ তারা জানতেন আল্লাহর বিশালতার সামনে এ ধরনের আপদ-মুসিবত একেবারেই তুচ্ছ। হিজরতের সময় হজরত আবু বকর সিদ্দিকের (রা.) কথার জবাবে আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেছিলেন, ‘আমরা দু’জন মাত্র নই, বরং আমাদের সঙ্গে আল্লাহ আছেন।’
মানুষ যত বড় ত্রুটি-বিচ্যুতিই করুক আল্লাহ গাফুরুর রাহিমের সামনে তা সামান্য। তিনি পাহাড়সম ত্রুটিও মাফ করে দিতে পারেন। আশার মধ্যেই মানুষ বেঁচে থাকে। আশার কারণে মানুষ কাজ করে, কথা বলে, পথ চলে। আশা মানুষের শারীরিক ও মানসিক শক্তির চাকাকে সচল রাখে।
এজন্য হতাশাগ্রস্ততা থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহর সাহায্য চাইতে হবে। ইতিবাচক মানসিকতা চর্চা করলে মানুষ আশাবাদী হয়; বেঁচে থাকে হতাশার অভিশাপ থেকে। মোমেন কখনো ক্লেশে ক্লিষ্ট হয়ে শ্রান্ত হন না। তারা আল্লাহর ওপর ভরসা করে ধৈর্যধারণ করেন। মহান আল্লাহর পবিত্র বাণী, ‘হে ইমানদারগণ! তোমরা ধৈর্যধারণ করো এবং দৃঢ়তা অবলম্বন করো আর আল্লাহকে ভয় করো, যাতে তোমরা সফল হতে পারো।’ (সুরা ৩ আলে ইমরান, আয়াত : ২০০)। রজনী শেষে যেমন প্রভাত আসে, তেমনি দুঃখের পর সুখ আছে। কাজেই কোনো দুঃখে মুষড়ে পড়া মোমেনের সাজে না। মানুষ যত বড় পাপীই হোক, আল্লাহকে ডাকলে আল্লাহ তার ডাকে সাড়া দেন। আপনি যত দুঃখ-কষ্টের মধ্যেই থাকুন না কেন, আল্লাহকে স্মরণ করুন; নিশ্চয় তিনি আপনার ডাকে সাড়া দেবেন। এটা আল্লাহর ওয়াদা, তিনি প্রতিশ্রুতির ব্যতিক্রম করেন না। এ বিষয়ে কোরআন কারিমের ঘোষণা, ‘তামাদের পালনকর্তা বলেন, ‘তোমরা আমাকে ডাকো, আমি সাড়া দেব’। (সুরা ৪০ মোমেন, আয়াত : ৬০)। তিনি আরো বলেন, ‘তোমরা হতাশ হয়ো না এবং দুঃখ কোরো না, যদি তোমরা মোমেন হও, তবে তোমরা জয়ী হবেই।’ (সুরা ৩ আলে ইমরান, আয়াত : ১৩৯)। ‘তিনি অসহায়ের আহ্বানে সাড়া দেন, যখন সে তাকে ডাকে এবং তিনি বিপদ-আপদ দূর করে দেন।’ (সুরা ২৭ নামল, আয়াত : ৬২)।
সুখ-দুঃখ জীবনেরই অংশ, এ জগতের এর কোনোটিই স্থায়ী নয়। কোরআনের মহাবাণী, ‘কষ্টের সঙ্গেই তো স্বস্তি আছে, অবশ্যই কষ্টের সঙ্গেই স্বস্তি রয়েছে।’ (সুরা ৯৪ ইনশিরাহ, আয়াত : ৫-৬)। এই সুরার ব্যাখ্যায় মুফাসসিররা লিখেছেন, এতে প্রতীয়মান হয়, একটি কষ্টের দুইপাশে দুটি বা আরো বেশি সুখ বিদ্যমান এবং দুটি বা আরো অধিক সুখের মধ্যে একটিমাত্র কষ্ট থাকতে পারে। মোমেন কখনো হতাশ বা নিরাশ হতে পারেন না। আল-কোরআনের সতর্কবাণী, ‘তারা (ফেরেশতারা) বলল, ‘আমরা আপনাকে সত্য সুসংবাদ দিচ্ছি; আপনি নৈরাশ্যবাদীদের অন্তর্ভুক্ত হবেন না।’ তিনি (ইব্রাহিম আ.) বললেন, ‘আপন প্রভুর রহমত থেকে কে নিরাশ হতে পারে পথভ্রষ্টরা ব্যতীত?’ (সুরা ১৫ হিজর, আয়াত : ৫৩-৫৬)।
প্রত্যেক ফরজ নামাজের পরে কিছু দোয়া আছে, যে ব্যক্তি ওইগুলো পড়ে আমল করবে, সে কখনও নিরাশ বা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। আমলগুলো ৩০ বার তাহমিদ (আলহামদুলিল্লাহ) পড়া, ৩০ বার তাসবিহ (সুবহানাল্লাহ) পাঠ করা এবং ৩৪ বার তাকবির (আল্লাহু আকবার) পড়া। (সহিহ মুসলিম)
আমাদের উচিত সাময়িক ব্যর্থতা, বাধা-বিপত্তি ও না পাওয়ার বেদনায় হতাশ না হয়ে ধৈর্যধারণ করে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের ওপর ভরসা করা। সত্যিকারের মোমেন সর্বদা আপন প্রভূর করুণা ও রহমত কামনা করে। আর আল্লাহতায়ালা তাদের সঙ্গে সেরূপ ব্যবহারই করেন। এ সম্পর্কে হাদিসে কুদসিতে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আমি আমার ব্যাপারে আমার বান্দার ধারণা অনুযায়ী তার সঙ্গে ব্যবহার করি।’
মানুষের বালা-মুসিবত দৃশ্যত অসহ্য কিংবা কষ্টদায়ক হলেও, তা পরিণামে শেষ পর্যন্ত কল্যাণই বয়ে আনে। আল্লাহতায়ালা ধৈর্য্যশীলদের এই মুসিবতের বদৌলতে উত্তম নিয়ামত দান করে থাকেন।
হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মোমেনের বিষয়টি চমৎকার, আল্লাহতায়ালা তার জন্য (ভালো বা মন্দ) যা-ই ফয়সালা করেন, তা-ই তার জন্য কল্যাণকর হয়।’ তাই বিপদ-মুসিবতের সময় গোনাহ থেকে বার বার তওবা করতে হবে। কারণ তওবা করলে আল্লাহতায়ালার রহমত বর্ষিত হয়। পাপ হয়ে গেলে তওবা করুন। তওবার কোনো বিকল্প নেই। তওবায় পাপ মোচন হয়, বিপদ আপদ কেটে যায়।
বিপদের বেশি বেশি নামাজ পড়তে হবে। নামাজ মনে প্রশান্তি আনে। কোরআনে কারিমে সূরা রাদের ২৮ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে- ‘যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তাদের অন্তর আল্লাহর জিকির দ্বারা প্রশান্তি লাভ করে, জেনে রাখ, আল্লাহর স্মরণ দ্বারা অন্তরগুলো শান্তি পায়।’ হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) যখনই কোনো সংকটের মুখোমুখি হতেন, তিনি নামাজে দাঁড়িয়ে যেতেন। হাদিসে বলা হয়েছে, যখন তোমরা (দুঃখ বা রাগের কারণে) উত্তেজিত হবে, তখন অজু করো এবং দু’রাকাত নামাজ আদায় করো, এটা তোমাদের উত্তেজনা শীতল করবে এবং এতে তুমি শান্তি এবং সন্তুষ্টি পাবে। (সহিহ বোখারি ও মুসলিম)।
নামাজ আল্লাহতায়ালার সঙ্গে বান্দার নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তোলার সবচেয়ে কার্যকর মাধ্যম। নামাজ মানুষকে খোদামুখি করে এবং শয়তানের যাবতীয় প্ররোচনা থেকে দূরে রাখে। নামাজের মাধ্যমে মানুষ আত্মিক শান্তি ও সুখ অনুভব করতে পারে। ইসলামি স্বলারদের অভিমত হলো- যখন দুঃখ, কষ্ট, হতাশা কিংবা ক্লান্তি চারদিক থেকে ঘিরে ধরবে, তখন নফল নামাজ আদায় করে আল্লাহর দরবারে মোনাজাত করবে। মহান প্রভু নিশ্চয় সমস্ত যাতনা মুছে মোমেনের ক্লান্ত হৃদয়ে নূর ঢেলে দিবেন। এটাই ইসলামের সুমহান শিক্ষা ও আল্লাহর রাসুলের আমল। প্রকৃতপক্ষে যিনি আল্লাহকে প্রভু, রাসুলকে (সা.) অনুসরণীয় অনুকরণীয় নেতা ও ইসলামকে দ্বীন বা জীবনব্যবস্থা হিসেবে গ্রহণ করেছে তার জীবনে কোনো হতাশা থাকতে পারে না।