১. যদি কোনো সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন বালেগ মুসলমানের কাছে নিজের প্রয়োজনীয় আসবাব সামগ্রী, ব্যবহার্য দ্রব্যাদি ও বাসগৃহ ইত্যাদি ব্যতীত ঋণমুক্তভাবে জাকাতের নেসাব পরিমাণ সম্পদ থাকে অর্থাৎ সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ (৮৭.৪৮ গ্রাম) বা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রৌপ্য (৬১২.৩৬ গ্রাম) কিংবা সমপরিমাণ টাকা বা ব্যবসার মাল থাকে এবং তার উপর বছর অতিক্রান্ত হয়, তাহলে উক্ত সম্পদের চল্লিশ ভাগের এক ভাগ অর্থাৎ শতকরা আড়াই পার্সেন্ট হারে জাকাত আদায় করা তার ওপর ফরয। (আলমগীরী ১/১৭০-১৭৬, শামী ৩/১৭৩-১৭৯)।
২. যদি কিছু স্বর্ণ, কিছু রূপা ও কিছু নগদ টাকা থাকে কিন্তু পৃথক পৃথকভাবে কোনটার নেসাবই পূর্ণ হয় না, তবে সবগুলোর মূল্য একত্রে যোগ করলে যে কোনো একটির নেসাব পূর্ণ হয়ে যায়, তাহলে তার ওপর জাকাত ফরয হবে। (তাতারখানিয়া ২/১৭৪, আলমগীরী ১/১৭৯, শামী ৩/২৩৪)।
৩. যদি কারো কাছে বছরের শুরু ও শেষে নেসাব পরিমাণ মাল থাকে কিন্তু বছরের মধ্যে ১/২ মাস নেসাব থেকে কম থাকে, তাহলে তার ওপর জাকাত দেয়া ফরয। হ্যাঁ, যদি বছরের মাঝে সম্পদ সম্পূর্ণরূপে নিঃশেষ হয়ে যায়,তাহলে পূর্বের হিসাব বাদ যাবে। পুনরায় যখন নেসাবের মালিক হবে তখন থেকে নতুন হিসাব ধরা হবে। এবং তখন থেকে এক বছর অতিবাহিত হলে জাকাত ফরয হবে। (আলমগীরী ১/১৭৫, শামী ৩/১৮৩ ও ২৩৩)।
৪. অর্থ-সম্পদের প্রত্যেকটা অংশের ওপর পূর্ণ এক বছর অতিবাহিত হওয়া শর্ত নয়। কাজেই কারো কাছে যদি বছরের শুরুতে ৪০,০০০ টাকা থাকে, আর তা বাড়তে বাড়তে বছরের শেষে এক লাখ টাকা হয়ে যায়, তাহলে বছরের শেষে তাকে ১ লাখ টাকার জাকাত দিতে হবে। (তাতারখানিয়া ২/১৯৩, আলমগীরী ১/১৭৫)।
৫. ব্যবসার উপকরণের ওপর জাকাত আসে না। যেমন : মিল, কারখানা, দোকান, উৎপাদনের কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি, মেশিন, ভাড়ায় খাটানো হয় এমন বাড়ি-গাড়ি, রিকশা, সিএনজি, বাস, ট্রাক, লঞ্চ, স্টিমার ইত্যাদি। তবে এগুলো দ্বারা উৎপাদিত পণ্য ও উপার্জিত টাকা নেসাব পরিমাণ হলে তার জাকাত দিতে হবে।(শামী ৩/১৮৩, ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়া ৩/৫৩)।
৬. ব্যবসার মাল যার জাকাত আদায় করা শরীয়ত ফরয করেছে, এর দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে ওই মাল যা মানুষ ব্যবসার উদ্দেশ্যে ক্রয় করেছে। যেমন- কেউ প্লট-ফ্ল্যাট, গাড়ি ইত্যাদি ভবিষ্যতে বিক্রি করে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে ক্রয় করল, এ সব মালের জাকাত আদায় করা ফরয। পক্ষান্তরে কারো যদি ক্রয় করার সময় দোদুল্যমানতা থাকে যে নিজের প্রয়োজনে ব্যবহারও করতে পারে, আর লাভ পাইলে বিক্রিও করতে পারে; তাহলে তা ব্যবসার মাল হিসাবে গণ্য হবে না এবং এর জাকাতও ওয়াজিব হবে না। হ্যাঁ, পরবর্তীতে তা বিক্রি করলে বিক্রয়লব্ধ টাকার জাকাত দিতে হবে। যদি সে পূর্ব থেকেই নেসাবের মালিক হয়ে থাকে, তাহলে ওই নেসাবের সঙ্গে এ টাকারও জাকাত আদায় করবে। অন্যথায় এই টাকা নেসাব পরিমাণ হলে বছর অতিবাহিত হওয়ার পর এর জাকাত ওয়াজিব হবে। (আদদুররুল মুখতার ৩/১৯৪-৯৫, খুলাসাতুল ফাতাওয়া ২/২৪০, ফাতাওয়ায়ে বাযযাজিয়া ৪/৮৪, বাদায়েউস সানায়ে ২/৯২, আহসানুল ফাতাওয়া ৪/২৬৭, ফিকহী মাকালাত ৩/১৫১)।
৭. দোকান ও ব্যবসার মালের হিসাব তিন প্রকারে করা যায়। (১) খুচরা মূল্য (২) পাইকারি মূল্য (৩) সব মাল একত্রে বিক্রি করলে যে দাম হয়। জাকাতের হিসাবের সময় তৃতীয় প্রকারের মূল্যের হিসাবে জাকাত দিলেও চলবে। তবে সতর্কতামূলক দ্বিতীয় প্রকার অর্থাৎ পাইকারি মূল্যের হিসাবে জাকাত দেয়া উত্তম। (ফিকহী মাকালাত ৩/১৫০, ফাতাওয়ায়ে ওসমানী ২/৬৭)।
৮. বিক্রিত পণ্যের বকেয়া টাকা হস্তগত হওয়ার পর পেছনের বছর গুলোর জাকাতও একত্রে আদায় করতে হবে। আর যদি বকেয়া টাকা বা ঋণ ফেরত পাওয়ার আশা না থাকে, তাহলে জাকাত দিতে হবে না। তবে পেলে বিগত সকল বছরের জাকাত দিতে হবে।(আলমগীরী ১/১৭৫, শামী ৩/২৩৬-২৩৭)।
৯. স্বর্ণ ও রূপার ওপর সর্বাবস্থায় জাকাত আসে, চাই তা অলংকার আকারে থাকুক কিংবা কাঁচা টুকরা আকারে। ব্যবহৃত হোক কিংবা বাক্সে সংরক্ষিত থাকুক বা কাপড়ে, টুপিতে চশমা ও ঘড়িতে কারূকার্যরূপে থাকুক সর্বাবস্থায় জাকাত আদায় করা ফরয। (আল-বাহরুর রায়ক ২/৩৯৪, শামী ৩/২২৭)।
১০. মহিলাদের মালিকানায় যে স্বর্ণ বা রূপার অলংকার থাকে এগুলো নেসাব পরিমাণ হলে এগুলোর জাকাত দেয়া তাদের ওপর ফরয। নগদ টাকা না থাকলে এগুলো বিক্রি করে হলেও জাকাত আদায় করতে হবে। আর স্বামী যদি স্ত্রীর অনুমতি নিয়ে জাকাত আদায় করে দেয়, তাহলেও জাকাত আদায় হয়ে যাবে। উল্লেখ্য, অলংকার যদি স্বামীর মালিকানায় থাকে আর স্ত্রীকে ব্যবহারের জন্য দেয়, তাহলে সে অলংকারের জাকাত স্বামীকে আদায় করতে হবে। (আহকামুল কোরআন ৩/১৩৯, শামী ৩/২২৭, ফাতাওয়ায়ে মাহমূদিয়া ৩/১০৮)।
১১. স্বর্ণের সঙ্গে যে পরিমাণ খাদ থাকে, খাদের অংশ বাদ দিয়ে শুধু স্বর্ণের অংশের জাকাত আদায় করাই যথেষ্ট। (শামী ৩/২৩০, আহসানুল ফাতাওয়া ৪/২৭০)।
১২. প্রভিডেন্ড ফান্ডের টাকা হাতে আসার পর বছর অতিবাহিত হলে জাকাত ফরয হবে। কিন্তু যে টাকাটা চাকরিজীবীর হাতে আসার পর স্বেচ্ছায় ওই ফান্ডে বা অন্য কোনো কোম্পানীর কাছে হস্তান্তর করে, তার জাকাত প্রতি বছর আদায় করতে হবে। (শামী ৩/২৩৬, আহসানুল ফাতওয়া ৪/২৬০, মাহমূদিয়া ১৭/১১১)।
১৩. বিভিন্ন ব্যাংক ও কোম্পানীর শেয়ার যদি দাম বাড়লে বিক্রি করে দিবে এ উদ্দেশ্যে ক্রয় করা হয়, তাহলে তার পূর্ণ বাজার দরের ওপর জাকাত আসবে। আর যদি কোম্পানী হতে বাৎসরিক লাভ কামানোর উদ্দেশ্যে ক্রয় করা হয়, তাহলে কোম্পানীর যে পরিমাণ সম্পদ জাকাত যোগ্য (যা ব্যালেন্সশীটের সাহায্যে বেরা করা যাবে।) শেয়ার প্রতি তার আনুপাতিক হার যা হয় শুধুমাত্র রমাণের জাকাত দিতে হবে। তবে যদি জাকাতযোগ্য সম্পদের পরিমাণ জানা সম্ভব না হয়, তাহলে সতর্কতামূলক শেয়ারের পূর্ণ বাজার মূল্যের জাকাত দেয়া চাই। (আল-বাহরুর রায়েক ২/৪০০, আহসানুল ফাতাওয়া ৪/২৮৭, ইসলাম আওর জাদীদ মায়িশাত ওয়া তিজারত, পৃ.৯২-৯৪, ফাতাওয়ায়ে উসমানি ২/৭১)।
১৪. ইসলামী ব্যাংকগুলোতে যদি কেউ ১০ থেকে ১৫ বছরের জন্য F.D.R করে এককালীন বা মাসে মাসে টাকা জমা করতে থাকে, এগুলোর জাকাত হিসাব করার নিয়ম হলো জাকাতের বছর শেষে ওই অ্যাকাউন্ট ক্লোজড করলে মূল টাকাসহ যত টাকা লাভ পাওয়া যাবে, পুরা টাকার জাকাত আদায় করতে হবে।
উল্লেখ্য, সুদী ব্যাংকে F.D.R করলে প্রতি বছর মূল জমাকৃত টাকার জাকাত আদায় করতে হবে। যদি প্রতি বছর জাকাত আদায় না করে তাহলে মেয়াদ শেষে টাকা উত্তোলন করলে একসাথে পেছনের সকল বছরের মূল টাকার জাকাত আদায় করতে হবে। আর সূদের অংশ পুরাটাই সাদাকা করে দিবে। (জাদীদ ফিকহী মাসায়েল ১/২১৬)।
১৫. জীবন বিমা কোম্পানীর কাছে জমাকৃত প্রিমিয়ামের জাকাত আদায় করতে হবে। -(ফাতাওয়ায়ে উসমানী ২/৭১)।
১৬. ব্যাংকে ব্যক্তি মালিকানাধীন সকল প্রকার অ্যাকাউন্টে গচ্ছিত টাকার জাকাত আদায় করা জরুরি। তদ্রুপ বিভিন্ন সমিতি, সমবায় ও সোসাইটির মধ্যে সদস্যগণ মুযারাবা হিসাবে যে টাকা বিনিয়োগ করে থাকে, সেগুলো নেসাব পরিমাণ হলে বা অন্য মালের সাথে মিলে নেসাব পরিমাণ হলে জাকাত আদায় করা জরুরি। (ফাতাওয়া রহীমীয়া ২/১৪, আপকে মাসায়েল আওর উনকা হল ৩/৩৭৫)।
১৭. ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে বা অন্য কোথাও গচ্ছিত টাকা, তেমনিভাবে যেকোনো জাকাতযোগ্য সম্পদ যদি বন্ধক রাখা হয়, তাহলে তার জাকাত আদায় করা লাগবে না। -(বাদায়েউস সানায়ে ২/৮৮, আল-বাহরুর রায়েক ২/৩৫৫)।
১৮. সিকিউরিটি মানি হিসাবে যে টাকা দোকান ও বাড়ির মালিকগণ গ্রহণ করে থাকে; যদি চুক্তি অনুযায়ী প্রতি মাসে তা ভাড়া বাবদ কর্তন করা হয়, তাহলে মালিকদের ওই টাকার জাকাত দিতে হবে। আর যদি তা ফেরতযোগ্য হয় অর্থাৎ দোকান বা বাড়ি ছেড়ে দিলে তা ফেরত দেয়া হয় ও মালিকরা ওই টাকা খরচ না করে আমানত হিসাবে রাখেন তাহলে ভাড়াটিয়াকে ওই টাকার জাকাত দিতে হবে। (ফাতহুল কাদীর ২/১২১, জাদীদ ফিকহী মাসায়েল ১/২১৭-১৯)।
১৯. জমি, ফ্ল্যাট বা অন্য কিছু কিনে প্রাথমিক যে টাকা দিয়ে বায়না করা হয়, সে টাকার মালিক বিক্রেতা। অতএব, বিক্রেতাকে এর জাকাত দিতে হবে। -(ফাতাওয়ায়ে উসমানী ২/৭২)।
২০. ঋণ দুই প্রকার (১) ব্যক্তিগত ও সাংসারিক প্রয়োজনে মানুষ যে ঋণ নেয়। জাকাতের নেসাব থেকে এ ধরনের ঋণের টাকা বিয়োগ করে বাকি মালের জাকাত দিতে হবে। (২) বাণিজ্যিক ঋণ যা বাণিজ্যিক স্বার্থে যেমন মিল-কারখানা করা, কাঁচামাল ক্রয় করা ইত্যাদি এগুলোর জন্য যে ঋণ নেয়া হয় যদি তা দ্বারা জাকাতযোগ্য সম্পদ যেমন কাঁচামাল ইত্যাদি ক্রয় করে, তাহলে এই ঋণও জাকাতের নেসাব থেকে বিয়োগ করা যাবে। আর যদি এর দ্বারা এমন সম্পদ ক্রয় করা হয় যা জাকাতযোগ্য নয় যেমন মেশিনারী জিনিস ইত্যাদি। তাহলে এ ঋণ যাকাতের মূল নেসাব থেকে বিয়োগ করা যাবে না।
উল্লেখ্য, বাণিজ্যিক ঋণ দ্বারা যদি জাকাতযোগ্য মাল ক্রয় করা হয়, তাহলে জাকাতের হিসাবের সময় আগামী এক বছরে পরিশোধযোগ্য পরিমাণ ঋণই শুধু বিয়োগ করা যাবে। এর অতিরিক্তটা এই বছরে বিয়োগ করা যাবে না। যে বছর পরিশোধ করবে ওই বছর বিয়োগ করতে পারবে। (ফাতাওয়ায়ে ওসমানী ২/৮৩, ফিকহী মাকালাত ৩/১৫৫-৫৬, জাদীদ ফিকহী মাসায়েল ২/৬৭, ইসলাম আওর জাদীদ মাঈশাত ওয়া তিজারত, ৯৪)।
২১. কাউকে ঋণ দেয়ার পর আদায়ে গড়িমসি করলে তা জাকাত হিসাবে কর্তন করা যাবে না। হ্যাঁ, জাকাতের টাকা তার হাতে দিয়ে আগের পাওনা বাবদ তা উসূল করে নিতে পারবে। (তাতারখানিয়া ২/১৯৯, তাহতাবী আলাল মারাকী, পৃ. ৭১৫)।
২২. জাকাত ওয়াজিব হওয়ার পর যদি জাকাত অনাদায়ী থাকে আর ইত্যবসরে সমস্ত মাল বরবারদ হয়ে যায়, তাহলে আর জাকাত আদায় করা লাগবে না। আর যদি কিছু মাল বরবাদ হয়, তাহলে ওই অংশের জাকাত দেয়া লাগবে না। তবে যদি ইচ্ছাকৃতভাবে নষ্ট করে তাহলে জাকাত আদায় করা আবশ্যক। (আদদুররুল মুখতার ও শামী ৩/২০৭-২০৮)।
২৩. স্ত্রীর মহর অনাদায়ী থাকলে যদি তা পরিশোধ করার ইচ্ছা থাকে, তাহলে জাকাতের নেসাব থেকে এই ঋণ বিয়োগ করে বাকি অংশের জাকাত দিলে চলবে। আর যদি পরিশোধ করার ইচ্ছা না থাকে তাহলে এটাকে এই বছরের নেসাব থেকে বিয়োগ করা যাবে না। (আলমগীরী ১/১৭৩)।
২৪. কেউ যদি হজের জন্য টাকা জমা করে তাহলে ওই টাকার জাকাত আদায় করাও ফরয। হজের কাজে টাকা খরচ হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রতি বছর ওই টাকার জাকাত আদায় করতে হবে। (আলমগীরী ১/১৭৩)।
২৫. কেউ যদি বাড়ি করার উদ্দেশ্যে টাকা জমা করে তাহলে বাড়ির কাজে ওই টাকা খরচ হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রতি বছর ওই টাকার জাকাত আদায় করতে হবে। (নায়াদিদুরুল ফিকহ ১/৩৭৮-৩৮৪)।
২৬. যে মাল ক্রয় করার পর এখনো হস্তগত হয়নি তার জাকাত দেয়া লাগবে না। হ্যাঁ, হস্তগত হওয়ার পর জাকাত আদায় করা জরুরি। (আল বাহরুর রায়েক ২/৩৫৫ জাদীদ ফিকহী মাসায়েল ১/২১৯)।
২৭. হালাল ও হারাম মাল একত্রে মিশ্রিত হলে যদি হারাম মালের পরিমাণ ও মালিক জানা থাকে তাহলে তা মালিককে ফেরত দেয়া জরুরি। আর যদি পরিমাণ জানা থাকে; কিন্তু মালিক জানা নেই বা তাকে পৌঁছানো সম্ভব নয়; তাহলে এক্ষেত্রে ওই টাকাগুলো মালিকের পক্ষ থেকে সাদাকা করে দিবে। পক্ষান্তরে যদি হারাম মালের পরিমাণ ও মালিক জানা না থাকে; আর হালাল মালের পরিমাণ হারামের চেয়ে বেশি হয় ও হারাম মাল চিহ্নিত করা না যায় এ ক্ষেত্রে সকল মাল একত্রে হিসাব করে পুরাটার জাকাত আদায় করা জরুরি। -(শামী ৩/২১৭-২১৮, ইমদাদুল ফাতাওয়া ২/১৪, জাদীদ ফিকহী মাসায়েল ১/২১৬-২১৭)।