মুফতি নূর মুহাম্মদ রাহমানী

সহকারী মুফতি, জামিয়া আরাবিয়া দারুল উলুম বাগে জান্নাত, নবাব সলিমুল্লাহ রোড, চাষাড়া, নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশ : ৩০ মে ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

প্রশ্ন : নগদ টাকা-পয়সা ও সোনা-রুপা কিছুই নেই, শুধু কিছু জায়গা-জমির মালিক; এমন ব্যক্তির ওপর হজ ফরজ হবে?

উত্তর : যদি কেউ এতটুকু পরিমাণ জায়গা-জমির মালিক হয় যে, এর কিছু অংশ বিক্রি করে হজের প্রয়োজনীয় যাবতীয় খরচ সম্পন্ন করা যায় এবং হজ থেকে ফিরে এসে অবশিষ্ট জমির ফসল দিয়ে জীবনযাপন করা যায়, তাহলে এমন ব্যক্তির ওপর হজ ফরজ। এতটুকু জমি না থাকলে হজ ফরজ হবে না। (ফতোয়ায়ে খানিয়া : ১/২৮৩)।

প্রশ্ন : ওমরা করার পর হজ ফরজ হয়ে যায় কী?

উত্তর : ওমরা করার পর হজের সময় পর্যন্ত সেখানে থাকার খরচ যদি থাকে এবং সরকারি কোনো বিধিনিষেধ না থাকে, তাহলে হজ ফরজ হয়ে যাবে; অন্যথায় শুধু ওমরা করার কারণে হজ ফরজ হবে না। (আহসানুল ফতোয়া : ৪/৫২৯)।

প্রশ্ন : হজ ফরজ হওয়ার পর মারা গেলে তার পক্ষ থেকে বদলি হজ করানো কি জরুরি?

উত্তর : মৃত ব্যক্তি হজের জন্য অসিয়ত করে গেলে তার পক্ষ থেকে কাউকে দিয়ে বদলি হজ করানো জরুরি। এ ক্ষেত্রে মৃত ব্যক্তির সম্পদ থেকেই হজের যাবতীয় ব্যয় করতে হবে। তবে হজের খরচ পরিত্যক্ত সম্পত্তির এক-তৃতীয়াংশের বেশি হলে ওয়ারিশদের অনুমতিক্রমে অতিরিক্ত খরচ এ খাতে ব্যয় করা যেতে পারে। (বাদায়েউস সানায়ে : ৩/২৯১)।

প্রশ্ন : নিজের হজ আদায় করেনি, এমন ব্যক্তি কারও পক্ষ থেকে বদলি হজ করতে পারবে?

উত্তর : নিজের হজ আদায় করেনি, এমন কাউকে অপর কারও পক্ষ থেকে বদলি হজে পাঠানো মাকরুহে তানজিহি। আর এরূপ ব্যক্তির ওপর হজ ফরজ হয়ে থাকলে তার জন্য নিজের ফরজ হজ না করে বদলি হজে যাওয়া মাকরুহে তাহরিমি। (ফতোয়ায়ে রহিমিয়া : খণ্ড ৩)।

প্রশ্ন : কারও সহযোগিতা ছাড়া চলতে পারে না, এমন ব্যক্তির ওপর হজ ফরজ হবে?

উত্তর : কারও সহযোগিতা ছাড়া চলতে না পারলে সে অক্ষম বলে গণ্য। অনেক সম্পত্তির মালিক হলেও তার ওপর হজও ফরজ নয় এবং তার পক্ষ থেকে বদলি হজও করানো জরুরি নয়। (ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া : ১/২১৮)।

প্রশ্ন : হারাম উপার্জন দ্বারা হজ করলে হজ আদায় হবে?

উত্তর : হারাম উপার্জন দ্বারা হজ করলে তা কবুল হবে না। তবুও হজ করলে ফরজ আদায় হয়ে যাবে। (মাজমাউল আনহুর : ১/২৬১)।

প্রশ্ন : হজ-ওমরা পালনকারীর কাছে দোয়া চাওয়া কেমন?

উত্তর : হজ-ওমরায় গমনকারীর কাছে দোয়া চাওয়া মুস্তাহাব। হজ থেকে ফেরার পরও দোয়া চাওয়া যেতে পারে। হজের পর চল্লিশ দিন পর্যন্ত হাজির দোয়া কবুল হওয়ার ব্যাপারে হাদিসে এসেছে। (সুনানে আবি দাউদ : ১৪৯৮, আল বাহরুল আমিক : ১/৬৯)।