সুফিকোষ

খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (রহ.)

প্রকাশ : ২০ জুন ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

অজু নামাজ রোজা হজ্জ ও জাকাত শরীয়তের অঙ্গ হইলেও ইহাদের মধ্যে তরীকত বিদ্যমান। তরিকতপন্থী শরীয়ত হইতে গাফেল নহেন। তিনি শরীয়তকে তরীকতে পরিণত করেন, বহির্দেশ ভেদ করিয়া অভ্যন্তরীণ গূঢ় রহস্য তছদীক করেন। অজু দ্বারা শরীর পাক হয়, ঐ সঙ্গে মনকেও পাক রাখিতে হয় অর্থাৎ দুনিয়াবী সমস্ত খেয়ালাত হইতে মনকে অনাকৃষ্ট করিয়া আল্লাহতা’লাতে মনকে রুজু করিতে হয়। মনকে পাক রাখিতে হইলে শরীরটি পাক রাখা আবশ্যক। কাপড়চোপড়ের ছাফায়ীর উপর মনের ছাফায়ীও নির্ভর করে। যেমন গোছল করিলে মনে বেশ স্ফুর্ত্তি আসে, সেইরূপ পাক পানিতে ভালোরূপে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ধৌত করিলে মনে বেশ আনন্দ বোধ হয়। অজুর পূর্বে মনটিকে প্রস্তুত করিয়া লইতে হইবে। বৈষয়িক চিন্তা লইয়া ব্যস্ততা সহকারে অজু করিলে মনে সাফায়ী ও ভক্তির উদ্রেক হয় না। শাহানশাহের দরজায় উপস্থিত হইবার জন্য আপনাকে তৈয়ার করিতে হইবে। অতি নম্রভাবে খোশদেলে পরিষ্কৃত ও সুগন্ধি পরিচ্ছদে মহাদরবারে যাইবার জন্য মনকে ঠিক করিতে হইবে। অজুর স্থান ও পাত্র পরিষ্কৃত হইলে মনে পবিত্র ভাবের উদয় হয়। অজুর সময়ে কথাবার্ত্তা বলিলে মন অন্যদিকে আকৃষ্ট হয়। যাহাতে একাগ্রতা আসে, অন্য চিন্তা দূরে যায়, আর সাফায়ী মনে জাগে তজ্জন্য চেষ্টা করিতে হইবে। তরীকত শিক্ষা : পৃ.২১।

(লেখকের বানান হুবহু রাখা হয়েছে)।