সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হলেন, আমাদের নবীজি হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তিনি ইতিহাসের একজন বরিত ব্যাক্তি। সেরা সেনাপতি হিসেবে তিনি নন্দিত। তিনি মসজিদের মেহরাবে সবার সামনে দাঁড়িয়ে যেমন ইমামতি করেছেন, মসজিদে নববীর প্রাঙ্গণে বসে আল্লাহর দ্বীন শিক্ষা দিয়েছেন, তাযকিয়া ও আত্মশুদ্ধির কাজ করেছেন, রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন, তেমনি জিহাদের ময়দানে প্রধান সেনাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন। তিনি ছিলেন একাধারে ধর্মবেত্তা, রাষ্ট্রনায়ক এবং সেনাপতি। তার এক হাতে যেমন ছিল সুখ-শান্তি-মঙ্গলময় শাশ্বত জীবন বিধান সম্বলিত আল-কোরআন তেমনি অন্য হাতে ছিল আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠায় বাধাদানকারী অপশক্তির বিরুদ্ধে তরবারি। তবে সে তরবারি থাকত সব সময় কোষবদ্ধ। কেবলমাত্র শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্যই তা ব্যবহার হতো।
মানব-জীবনের শুদ্ধতার মাপকাঠি নবিজির আদর্শ। যারা ইহ-পরকালে কল্যাণ লাভ করতে চান, তাদের উচিত রাসুলের আদর্শকে আঁকড়ে ধরা। তার তরিকা অবলম্বন করা। তাঁর মিল্লাতে আপাদমস্তক শামিল হয়ে যাওয়া। তিনি সর্বজনীন, সর্বকালীন, সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী। তিনি মানুষকে দেখিয়েছেন আলোকিত জীবনের পথ। সত্য ও সুন্দরের পথ। স্রষ্টা ও সৃষ্টির মধ্যে গড়েছেন সেতুবন্ধন। মানব জীবনের যত ক্ষেত্র আছে, সব ক্ষেত্রেই তিনি পথপ্রদর্শক। যত সমস্যা ও জিজ্ঞাসা আছে মানুষের, সবকিছুরই সমাধান ও উত্তর আছে তাঁর জীবনে।
মহানবীর সংগ্রাম ছিল কল্যাণ প্রতিষ্ঠায় : আজ গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষার মুখোশধারী আমেরিকা, ব্রিটেন, ইজরাইলসহ তাদের দোসররা বিশ্ব মানবতাকে অগ্রাহ্য করে বিভিন্ন দেশে আক্রমণ করল। ধ্বংস করে দিল তাদের সব কিছু। তাদের উদ্দেশ্য শুধু সাম্রাজ্য দখল আর মানুষ হত্যা।
নেত্বত্ব আর ক্ষমতাকে হস্তগত করা। গণতন্ত্র আর মানবাধিকারের স্লোগান হলো তাদের একটি হাতিয়ার মাত্র। কিন্তু নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সংগ্রাম করেছিলেন পার্থিব সম্পদ বা শুধু অন্য কোনো দেশ দখলের জন্য নয় বরং অজ্ঞতা, কুসংস্কার ও ভ্রান্ত বিশ্বাসে আচ্ছন্ন সমাজের পরিবর্তন আনার জন্য। আল্লাহর একত্ববাদ, সার্বভৌমত্ব, তিনিই যে একমাত্র স্রষ্টা, লালনকর্তা, রিজিক দাতা, উপাস্য ও পরকালের বিচারক তা স্মরণ করিয়ে দেয়ার জন্য। তার দেয়া বিধান অনুযায়ী জীবন নির্বাহ করার মাধ্যমে পৃথিবীতে সাম্য, মৈত্রী, সত্য, ন্যায়, ভ্রাতৃত্ব, প্রেম, ভক্তি, পারস্পরিক শ্রদ্ধা, ধর্মীয় মূল্যবোধ ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করার জন্য তিনি যুদ্ধ ও সংগ্রাম করেছিলেন।
ঐতিহাসিকদের মতে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বমোট ২৭টি যুদ্ধে সরাসরি যোগ দিয়েছিলেন। তার মধ্যে তিনি ৯টি যুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিলেন। সেগুলো হলো বদর, ওহুদ, খন্দক, বনী কুরাইজা, মুস্তালিক, খায়বার, হুনাইন, তায়েফ ও মক্কা বিজয়। এ সকল যুদ্ধে তার সামরিক যুদ্ধাস্ত্র খুবই কম এবং সৈন্য সংখ্যাও ছিল অতি সামান্য। কিন্তু তার প্রধান শক্তি ছিল মহান আল্লাহর ওপর নিখাঁদ বিশ্বাস ও একমাত্র ভরসা। সব যুদ্ধেই মুসলিম সৈন্য সংখ্যার তুলনায় শত্রুর সৈন্য দিগুণ, তিনগুণ কিংবা আরো অধিক সংখ্যক হওয়া সত্ত্বেও আল্লাহর সাহায্যে মুসলমানরাই জয় লাভ করে। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন তদানিন্তন সময়কালীন এক তুখোড় রনকৌশলী ও সফল সমর বিদ।
তিনি সব বিষয়ের আলোক বর্তিকা : তিনি এক দিকে যেমন যুদ্ধের ময়দানে সেনাপতি ছিলেন, তেমনিভাবে পরিবার, সমাজ, ইবাদতসহ অন্যান্য সব বিষয়েও প্রধান সেনাপতির ভূমিকা পালন করতেন। তার আদর্শ শুধু এক ক্ষেত্রে নয়, জীবনে চলার প্রতিটি ক্ষেত্রে তার আদর্শের সামগ্রিকতা স্বীকৃত। দৈনন্দিন জীবনে ভালো ব্যবহার। আদর্শ পরিবার গঠন। দরিদ্র ও অসহায়দের সঙ্গে হৃদ্যতা প্রদর্শন। বিচারকার্যে ইনসাফ। জিহাদ ও যুদ্ধের ময়দানে দুর্দমনীয় বীরত্ব। অন্যায় ও জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর। ন্যায়পরাণতা ও ক্ষমা প্রদর্শনের উজ্জ্বল দৃষ্টান্তসহ সব ধরনের শ্রেষ্ঠ গুণের অধিকারী তিনি। তাই যদি তুমি ধনী হয়ে থাক, তাহলে মক্কার ব্যবসায়ী ও মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুগামী হও। যদি তুমি গরিব হয়ে থাক, তাহলে আবু তালেব গিরি সংকটের কয়েদি ও মদীনার প্রবাসীর অবস্থা শ্রবণ কর। যদি তুমি খলিফা বা রাষ্ট্র প্রধান হয়ে থাক, তাহলে তদানীন্তন খলিফা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এক নজর দেখ। যদি তুমি বিজয়ী হয়ে থাক, তাহলে বদর ও হুনাইনের সেনাপতি ও সিপাহসালারের প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ করো। যদি তুমি সেনাপতির দায়িত্ব পালনে উদ্রগীব হও তাহলে বদর ও ওহুদ সহ যুদ্ধের ময়দানে তার দুর্দমনীয় বীরত্ব ও নেতৃত্বের প্রতি দৃষ্টিপাত করো। যদি তুমি পরাজিত হয়ে থাক, তাহলে উহুদ যুদ্ধ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করো। যদি তুমি শিক্ষক হয়ে থাক, তাহলে মদীনার ‘সুফফার’ মহান শিক্ষকের প্রতি দৃষ্টিপাত করো। যদি তুমি ছাত্র হয়ে থাক, তাহলে জিবরাঈলের সম্মুখে উপবেশনকারীর দিকে তাকাও। যদি বক্তৃতা ও উপদেশ দানকারী হয়ে থাক, তাহলে মদীনার মসজিদে মিম্বরের উপর দণ্ডায়মান মহান ব্যক্তি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শুন। যদি তুমি নিঃসঙ্গ ও অসহায় অবস্থায় সত্যের প্রতি আহ্বানকারীর দায়িত্ব পালন করতে চাও, তাহলে মক্কার সহায়-সম্বলহীন নবীর আদর্শ তোমার জন্য আলোকবর্তিকার কাজ করবে। যদি তুমি আল্লাহর অনুগ্রহে শত্রুদের পরাজিত ও বিরোধীদের দুর্বল করতে সক্ষম হয়ে থাক, তাহলে মক্কা বিজয়ী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ক্ষমার আদর্শ অনুসরণ করো। যদি তুমি এতিম হয়ে থাক, তাহলে মক্কার আব্দুল্লাহ ও আমিনার কলিজার টুকরাকে ভুল না।
যদি শিশু হয়ে থাক, তাহলে আমিনার আদরের দুলালের শিশুকালের চালচলনের দিকে তাকাও। যদি যুবক হয়ে থাক, তাহলে মক্কার মেষ পালকের জীবনী পাঠ করো। যদি বিচারক হয়ে থাক, তাহলে মদীনার কাঁচা মসজিদের বারান্দায় উপবেশনকারী বিচারকের দিকে নজর করো, যার দৃষ্টিতে বাদশাহ্ ফকীর, আমীর-গরিব সব সমান ছিল। যদি তুমি স্বামী হয়ে থাক, তাহলে হজরত খাদিজা (রা.) ও আয়েশা (রা.)-এর মহান স্বামীর পবিত্র জীবন অধ্যায়ন করো। যদি তুমি সন্তানের পিতা হয়ে থাক, তাহলে ফাতেমার পিতা এবং হাসান হুসাইনের নানার অবস্থা জিজ্ঞেস করো।
মোট কথা তুমি যাই হও না কেন এবং যে অবস্থায় থাক না কেন, তোমার জীবনের আদর্শ, তোমার জন্য আলোক বর্তিকা ও পথ নির্দেশক হলেন মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম । তাই তিনি শুধু এক ক্ষেত্রের সেনাপতি না, বরং প্রতিটা ক্ষেত্র ও সেক্টরের সেনাপতি।
নবীজি ছিলেন এমন এক সর্বশ্রেষ্ঠ মহা মানব, যার পরশ ছোঁয়ায় বদলে গেছে পৃথিবীর গতিপথ। অন্ধকার সভ্যতা পেয়েছে দীপ্তিময় আলো। আর দিকহারা পথিক পেয়েছে তার হারানো পথের দিশা।
আজ আমরা তাঁর জীবনী ভুলে তাঁর আদর্শ বিসর্জন দিয়ে বিজাতীয় নেতা ও তারকাদের অনুসরণ করে চলছি। অথচ পবিত্র কোরআনে আল্লাহতায়ালা সুস্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্য থেকে যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসের আশা করে এবং আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণ করে তাদের জন্য আল্লাহর রাসুলের মাঝেই রয়েছে উত্তম আদর্শ। (সুরা আহযাব, আয়াত : ২১) তাই মুসলিম উম্মাহর কাণ্ডারী, পথপ্রদর্শক ও জীবনের সার্বিক অঙ্গনে একমাত্র আইডল হলেন মুহাম্মদুর রাসূলুল্লাহ (সা.)। তাঁর আদর্শ থেকে আমাদের দূরে সরে যাওয়ার সযোগ নেই। কারণ ইহ-পরকালে কল্যাণ আর শান্তি পেতে হলে নবীজির সুমহান আদর্শের বিকল্প অন্য কিছু নেই।
হিম্মত, দৃঢ়তা, সাহস, ধৈর্য, কৃতজ্ঞতা, নির্ভরতা, ভাগ্যের ওপর সন্তুষ্টি, বিপদ সহ্য করা, ত্যাগ, অল্পে তুষ্টি, স্বাবলম্বিতা, কোরবানি, দানশীলতা, নম্রতা, উন্নতি ও অনুন্নতি এবং ছোট ও বড় সব রকমের নৈতিক বৃত্তি, সবগুলো একসঙ্গে রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর নিকট পাওয়া যেত। সকল বিষয়ে সঠিক মনোভাব ও পুর্ণাঙ্গ নৈতিকতার সমাবেশ দেখা যায় একমাত্র মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনে।
মুহাম্মদ (সা.) ইতিহাসের সেরা নেতা হিসেবে বরিত হন। নেতৃত্বের প্রতিটি ধাপে তিনি যে চূড়ান্ত সাফল্য লাভ করেন, তাই তাকে সেরার আসনে বসায়। সভ্যতার চরম উৎকর্ষের এ যুগেও তাঁর মতো সফল নেতার দৃষ্টান্ত দেখাতে পারবে না কেউই। তাঁর আনীত ধর্মের অনুসারী হয়তো সব মানুষ হয়নি; তবে নেতৃত্বে তাঁর সাফল্যের কথা শত্রু-বন্ধু সবাই এক বাক্যে স্বীকার করেন। তাঁর নেতৃত্ব সুষমায় কীভাবে মোহিত হয়েছিল আরব জাতি, সেসব গল্প অকপটে বলে গেছেন পক্ষে-বিপক্ষের অসংখ্য ইতিহাসবেত্তা।
জীবনের সর্বক্ষেত্রে তিনি আমাদের জন্য অনুকরণীয় আদর্শ রেখে গেছেন। কীভাবে কথা বলতে হবে, কীভাবে চলতে হবে, স্বামী হিসেবে, পিতা হিসেবে, বন্ধু হিসেবে এমনকি আত্মীয় ও প্রতিবেশী হিসেবে কী করণীয় তার আদর্শ নমুনা খুঁজে পাওয়া যায় প্রিয়নবী হজরত মুহম্মদ (সা.)-এর জীবনাদর্শে।
সুতরাং যদি তুমি ধনী হয়ে থাক, তাহলে মক্কার ব্যবসায়ী ও বাহরাইনের অর্থশালী মুহাম্মদ (সা.)-এর অনুগামী হও। যদি তুমি গরিব হয়ে থাক, তাহলে আবু তালেবগিরি সংকটের কয়েদি ও মদীনার প্রবাসীর অবস্থা শ্রবণ কর। যদি তুমি বাদশাহ হয়ে থাক, তাহলে কুরাইশদের অধিপতি মুহাম্মদ (সা.) কে এক নজর দেখ। যদি তুমি বিজয়ী হয়ে থাক, তাহলে বদর ও হুনাইনের সিপাহসালারের প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ করো। যদি তুমি পরাজিত হয়ে থাক, তাহলে উহুদ যুদ্ধ থেকে শিক্ষা গ্রহণ কর। যদি তুমি শিক্ষক হয়ে থাক, তাহলে মদীনার ‘সুফফার’ পরে শিক্ষালয়ের মহান শিক্ষকের প্রতি দৃষ্টিপাত করো। যদি তুমি ছাত্র হয়ে থাক, তাহলে জিবরাঈলের সম্মুখে উপবেশনকারীর দিকে তাকাও। যদি বক্তৃতা ও উপদেশ দানকারী হয়ে থাক, তাহলে মদীনার মসজিদে মিম্বরের উপর দণ্ডায়মান মহান ব্যক্তি মুহাম্মদ (সা.)-এর কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শুন। যদি তুমি নিঃসঙ্গ ও অসহায় অবস্থায় সত্যের প্রতি আহ্বানকারীর দায়িত্ব পালন করতে চাও, তাহলে মক্কার সহায়-সম্বলহীন নবীর আদর্শ তোমার জন্য আলোকবর্তিকার কাজ করবে। যদি তুমি আল্লাহর অনুগ্রহে শত্রুদের পরাজিতও বিরোধীদের দুর্বল করতে সক্ষম হয়ে থাক, তাহলে মক্কা বিজয়ী মুহাম্মদ (সা.) এর ক্ষমার আদর্শ অনুসরণ করো। যদি তুমি নিজের কারবার এবং পার্থিব বিষয়াবলীর ব্যবস্থাপনা ঠিক করতে চাও, তাহলে বনী নাযীর খায়বার ও ফিদাকের ভু-সম্পত্তির মালিক মুহাম্মদ (সা.)-এর কাজ কারবার ও ব্যবস্থাপনা দেখ। যদি তুমি এতিম হয়ে থাক, তাহলে মক্কার আবদুল্লাহ ও আমিনার কলিজার টুকরাকে ভুল না। যদি শিশু হয়ে থাক, তাহলে হালিমা সাঈদার আদরের দুলালকে দেখ। যদি যুবক হয়ে থাক, তাহলে মক্কার মেষ পালকের জীবনী পাঠ করো। যদি ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ী হয়ে থাক, তাহলে বসরা সফরকারী দলের অধিনায়কের দৃষ্টান্ত অনুসরণ কর। যদি আদালতের বিচারক ও পঞ্চায়েতের বিবাদ মীমাংসাকারী হয়ে থাক, তাহলে কাবা গৃহে সূর্যকিরণ প্রবেশের পূর্বে প্রবেশকারী এবং ‘হাজরে আসওয়াদকে’ পুনঃস্থাপনজনিত বিবাদ মীমাংসাকারীকে দেখ। মদীনার কাঁচা মসজিদের বারান্দায় উপবেশনকারী বিচারকের দিকে নজর কর, যার দৃষ্টিতে বাদশাহ্ ফকীর, আমীর-গরিব সব সমান ছিল। যদি তুমি স্বামী হয়ে থাক তাহলে খাদিজা (রা.) ও আয়শার (রা.) মহান স্বামীর পবিত্র জীবন অধ্যায়ন কর। যদি তুমি সন্তানের পিতা হয়ে থাক, তাহলে ফাতেমার পিতা এবং হাসান হুসাইনের নানার অবস্থা জিজ্ঞেস করো।