পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে মুহাম্মদ (সা.)-কে অনুসরণ করার নির্দেশ রয়েছে। তাই মানবজাতির জন্য আবশ্যক হলো, ব্যক্তিক, পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রিক জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) এর যথাযথ অনুসরণ ও আনুগত্য করা। রাসুল (সা.)-কে অনুসরণ করার নির্দেশ দিয়ে মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ, আল্লাহ ও তার রাসুলের নির্দেশ মান্য কর এবং শোনার পর তা থেকে বিমুখ হইও না।’ (সুরা আনফাল: ২০)। আল্লাহ ও তার রাসুলের নির্দেশ মান্য করা ঈমানের পরিচায়ক। রাসুলের অনুসরণ করার মাধ্যমেই ঈমান পূর্ণতা পায়। প্রকৃত মোমেন ব্যক্তি কখনো আল্লাহ ও তার রাসুলের নির্দেশ লঙ্ঘন করতে পারে না। কেননা আল্লাহ ও তার রাসুলের আনুগত্য ও যথার্থ অনুসরণ ছাড়া মোমেন হওয়া যায় না। আল্লাহ ও তার রাসুলের আনুগত্য ও যথার্থ অনুসরণ মোমেন হওয়ার পূর্বশর্ত। এ বিষয়টি পবিত্র কোরআনে আল্লাহতায়ালা স্পষ্ট করে বলেন, ‘আল্লাহ এবং তার রাসুলের হুকুম মান্য কর, যদি ঈমানদার হয়ে থাক।’ (সুরা আনফাল:১)।
নবীপ্রেম সফলতার শর্ত : আল্লাহ ও তার রাসুলের আনুগত্য ছাড়া এ প্রেম ও ভালোবাসা পূর্ণতা পায় না। কেননা, এ প্রেমের মাঝেই যে রয়েছে সফলতা। আল্লাহ ও তার রাসুলের প্রেমময় আনুগত্যে মহাসাফল্য রয়েছে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘যে কেউ আল্লাহ ও তার রাসুলের আনুগত্য করে, সে অবশ্যই মহা সাফল্য অর্জন করবে।’ (সুরা আহজাব : ৭১)। পার্থিব জীবন একদিন শেষ হয়ে যাবে। পরকালীন জীবন ক্ষয়, লয়হীন ও অবিনশ্বর। তা কখনো শেষ হবে না। অতএব, যেসব লোক পরকালীন সুখ শান্তির অধিকারী হবে, তারাই প্রকৃত সফল। যারা আল্লাহ ও তার রাসুলের আনুগত্য করে তারা চির সুখের জান্নাতের অধিকারী হয়ে সফল হবে। এটাই কাঙ্ক্ষিত সফলতা। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘এগুলো আল্লাহর নির্ধারিত সীমা। যে কেউ আল্লাহ ও রাসুলের আদেশমতো চলে, তিনি তাকে জান্নাতসমূহে প্রবেশ করাবেন, যেগুলোর তলদেশ দিয়ে ঝরনা প্রবাহিত হবে। তারা সেখানে চিরকাল থাকবে। এ হলো বিরাট সাফল্য।’ (সুরা নিসা: ১৩)।