অন্যান্য ভাষা-সাহিত্যের পাশাপাশি রাসুল (সা.)-এর মহাজীবন নিয়ে বাংলা সাহিত্যেও গড়ে উঠেছে বিশাল সাহিত্য-সম্ভার। নবীজীবনের ছোঁয়ায় বাংলা সাহিত্য পেয়েছে ভিন্ন এক মাত্রা। শব্দে-বাক্যে লেগেছে মহাজীবনের প্রলেপ। রাসুলপ্রেমিক যে কেউ বাংলা সাহিত্যেও পেতে পারে নবীপ্রেমের সুধা। বাংলা সাহিত্যে বহুকালের রচনায় এখন স্বাতন্ত্র্য একটি ধারায় পরিণত হয়েছে নবীজীবনের আলোচনা। যাকে বলা হয়, নবী সাহিত্য বা সিরাত সাহিত্য। সেই আদি যুগ থেকে আরম্ভ হয়ে মধ্য যুগ পেরিয়ে আজকের আধুনিক যুগেও নবী সাহিত্যের আবেদন একটুখানিও কমেনি; রবং অনেক ক্ষেত্রে বেড়ে চলেছে।
আদি যুগের বাংলা গদ্যে নবীজীবন : ১৯৯৪ সালে সৈয়দ আলী আহসান রচনা করেন ‘মহানবী’। এ রচনা দিয়ে তিনি বেশ সাড়া জাগিয়েছিলেন। এর কিছুদিন আগে সৈয়দ শামসুল হুদা ‘মরুর গোলাপ’ নামে রাসুল (সা.)-এর জীবনী নির্ভর গ্রন্থ রচনা করেন। ১৯৭৫ সালে উর্দু লেখক আল্লামা আজাদ সুবহানি (রহ.)-এর লেখা ‘তাজকিরায়ে মুহাম্মাদি’ গ্রন্থের ‘বিপ্লবী নবী’ নামে বাংলা অনুবাদ করেন সাংবাদিক মাওলানা মুজিবুর রহমান খাঁ। এ গ্রন্থে রাসুল (সা.)-এর সংগ্রামী জীবনের দিকগুলো তুলে ধরে ইসলাম ও স্বাধীনতার প্রতি উদ্বুদ্ধ করা হয়। ড. গোলাম মকসুদ হিলালি (রহ.) ১৯৬৭ সালে আল্লামা শিবলি নোমানি (রহ.) রচিত ‘সিরাতুন্নবী’ অবলম্বনে রচনা করেন ‘হজরতের জীবনী’। এতে তিনি রাসুল (সা.)-এর আচার-আচরণ ও চরিত্রের বিশদ বিবরণ দিয়েছেন। ১৯২৬ সালে কাজী আবদুল ওয়াদুদ পূর্ণাঙ্গ জীবনী অবলম্বনে রচনা করেন ‘হজরত মোহাম্মদ ও ইসলাম’। এতে রাসুল (সা.)-এর চরিত্রের বিশালতা, বলিষ্ঠতা, সহনশীলতা, মহত্ব, উদারতা ও ব্যক্তিত্বের বর্ণনা ছিল। ১৯৬১ সালে ভাষাবিদ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ রচনা করেন ‘শেষ নবীর সন্ধানে’। এ গ্রন্থ তখনকার দিনে সিরাতপ্রেমীদের যথেষ্ট চাহিদা মিটিয়েছিল। এরপর ১৯৬২ সালে তিনিই শিশুতোষ গ্রন্থ ‘ছোটদের রাসুুলুল্লাহ’ রচনা করেন।
আদি যুগের বাংলা কবিদের রচিত নবীচরিত : পনেরো শতকের কবি জৈনুদ্দীন (রহ.) বাংলা সাহিত্যে সর্বপ্রথম রাসুল (সা.)-এর জীবনীগ্রন্থ রচনা করেন। তার গ্রন্থের নাম ‘রসুল বিজয়’। ফার্সি ভাষায় রচিত রাসুল (সা.)-এর একটি জীবনীগ্রন্থ অবলম্বনে কবি জৈনুদ্দীন (রহ.) এটি রচনা করেন। এ গ্রন্থে কবিতায় রাসুল (সা.)-এর যুদ্ধ-জিহাদ, শক্তিমত্তা ও শৌর্যবীর্যের বিবরণ ছিল। বাংলা সাহিত্যে নবী সাহিত্যের শুভাগমন করান এ ক্ষণজন্মা কবি। তার পর একের পর এক নবী সাহিত্য বাংলা ভাষায় রচিত হতে থাকে। কখনও ছড়া, গল্প-গানে, কখনও উপন্যাস, নাটক বা প্রবন্ধে। কবি জৈনুদ্দীনের পথ ধরেই সাবিরিদ খান (রহ.) রাসুল (সা.)-এর মাহাত্ম্য ও বড়ত্ব বর্ণনার উদ্দেশে ‘রসুল বিজয়’ কাব্য রচনা করেন। উভয় কবির রচনার নাম এক হলেও আঙ্গিক-প্রকরণ ভিন্ন ভিন্ন ছিল। এই দুই কবির নবী সাহিত্য রচনার পর বাংলা সাহিত্যকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। তারপর থেকে নবী সাহিত্য রচনার ধারা আরও ব্যাপক ও বিস্তৃত হতে থাকে। ষোল শতক ও সতের শতকের প্রথম দিকের বিখ্যাত কবি সৈয়দ সুলতান (রহ.)-এর সর্ববৃহৎ ও সর্বশ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ হলো ‘নবীবংশ’। এ কাব্যগ্রন্থের কারণে তিনি বাংলা ভাষায় নবী সাহিত্যের রূপকার হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন। জানা যায়, এটিও মূলত বাংলা ভাষায় রচিত নয়; আরবি লেখক সালাবি রচিত ‘কিসাসুল আম্বিয়া’ গ্রন্থের ভাবানুবাদ। এ কাব্যগ্রন্থের বৈশিষ্ট্য হলো, এতে সব নবীর জন্মকথা ছিল। তবে আমাদের রাসুল (সা.)-এর জীবনী পূর্ণাঙ্গ ছিল। এ কাব্যগ্রন্থের একটি কবিতার নাম ‘শব-ই মেরাজ’। এতে কবি রাসুল (সা.)-এর মেরাজের পূর্ণাঙ্গ বিবরণ তুলে ধরেন। তবে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পেয়েছে রাসুল (সা.)-এর যুদ্ধ-জিহাদ ও বিজয়ের কথামালা। কবিতায় তুলে ধরা হয়েছে হাদিসের সত্য কাহিনী। কবি সৈয়দ সুলতান (রহ.)-এর পরে তার মতো করেই ‘রাসুল বিজয়’ নামে সালাবি রচিত ‘কিসাসুল আম্বিয়া’ গ্রন্থের ভাবানুবাদ করেন কবি ও লেখক শেখ চান্দ। এ গ্রন্থের স্বাতন্ত্র্যতা হলো, বিভিন্ন যুদ্ধের বিবরণের পাশাপাশি ইসলামের প্রচার ও নবী সৃষ্টিতত্ত্বের বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে।
আঠারো শতকে বাংলা সাহিত্যে বহুল আলোচিত গ্রন্থের অন্যতম একটি ‘আম্বিয়াবাণী’। এ কাব্যগ্রন্থটি রচনা করেন আঠারো শতকের অন্যতম মুসলিম কবি হেয়াত মা’মুদ। ‘আম্বিয়াবাণী’ সমাজের আলোড়ন সৃষ্টিকারী একটি কাব্যগ্রন্থে পরিণত হয়। এ গ্রন্থে কবি হেয়াত মা’মুদ সাহিত্যের ভাষায় রাসুল (সা.)-এর বিভিন্ন ঘটনা, জন্ম, নবুওয়ত, মেরাজ, হাদিস ও সৃষ্টিতত্ত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। গ্রন্থটি প্রকাশিত হয় ১৭৫৭ সালে।
মধ্য যুগের বাংলা গদ্যে নবীজীবন : এ যুগে নবী সাহিত্যে ভিন্নমাত্রা যোগ হয়। এ সময় এসে অনেক হিন্দু লেখকও রাসুল (সা.)-এর নামে সাহিত্য রচনা আরম্ভ করে। তাদের রচিত নবী সাহিত্যগুলো মুসলিমণ্ডঅমুসলিম উভয় সমাজে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়। ইতিহাস অনুসন্ধান করে জানা যায়, গিরিশচন্দ্র সেন নামের এক হিন্দু লেখক নবী সাহিত্য রচনায় সর্বপ্রথম কলম ধরেন। তিনি ‘মহাপুরুষ’ নামে দুই খণ্ডে রাসুল (সা.)-এর পূর্ণাঙ্গ জীবনী লেখেন। এটাও বলা হয়, তার রচনাতেই প্রথম বাংলা গদ্যরীতিতে রাসুল (সা.)-এর জীবনী উঠে আসে। গিরিশচন্দ্র সেনের পথ ধরে ১৯০৪ সালে রামপ্রাণ গুপ্তও রচনা করেন ‘হজরত মোহাম্মদ’ নামে একটি নবী সাহিত্য। এর কিছুদিন পর সঞ্জীবনী পত্রিকার সম্পাদক বাবু কৃষ্ণ কুমার মিত্র রাসুল (সা.)-এর জীবনকীর্তি নিয়ে রচনা করেন ‘মুহাম্মদ চরিত’।
মধ্য যুগের বাংলা কবিদের রচিত নবীচরিত : বাংলা সাহিত্যের প্রধানতম কবি গোলাম মোস্তফা ১৯৪২ সালে রচনা করেন ‘বিশ্বনবী’। যা এখনও খ্যাতির শীর্ষে। তার এ রচনা সম্পর্কে অধ্যাপক আবদুল হাই এবং সৈয়দ আলী আহসান লেখেন ‘গোলাম মোস্তফার বিশ্বনবীতে রাসুলুল্লাহর জীবনী ও ইসলাম ধর্মের প্রচার ও বিস্তৃতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। এ গ্রন্থটি এ শতাব্দীর অন্যতম একটি গ্রন্থ। বইটি অত্যন্ত সুলিখিত এবং সুখপাঠ্য।’ কবি গোলাম মোস্তফার ‘বিশ্বনবী’তে কবি মনের প্রকাশ সুস্পষ্ট এবং রচনা ও আবেগ প্রণোদিত। ‘বিশ্বনবী’ গোলাম মোস্তফার সাহিত্যিক জীবনের শ্রেষ্ঠ কীর্তি। প্রেমময় এ কীর্তির পরও তার হৃদয়ে রাসুলপ্রেমের যে দহন জ্বলেছিল, তা নেভেনি। সেই প্রেমের আগুনে জ্বলে কবি ১৯৪৮ সালে রচনা করেন ‘মরু দুলাল’। কবি গোলাম মোস্তফার সময়কার প্রখ্যাত সাহিত্যিক মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী রাসুল (সা.)-এর জীবনের বিভিন্ন ঘটনাপ্রবাহকে সাহিত্যরসে সাজিয়ে ১৯৪১ সালে রচনা করেন ‘মরু ভাস্কর’। মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী রচিত ‘মরু ভাস্কর’-এর অবিকল নামেই জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামও ১৯৫০ সালে রচনা করেন ‘মরু ভাস্কর’। এ কাব্যগ্রন্থে তিনি তার রাসুলপ্রেম ও সাহাবিদের রাসুলপ্রেমের কাহিনী তুলে ধরেন। কবি নজরুল এ রচনা দিয়ে মুসলমানদের মনে তার ঈমানি আত্মার পরিচয় দিয়েছেন।
আধুনিক বাংলা গদ্যে নবীজীবন : ১৯৪৭ সালে মাওলানা ফজলুল করিম রচনা করেন ‘আদর্শ মানব’। ১৯৪৯ সালে খান বাহাদুর আবদুর রহমান রচনা করেন ‘শেষ নবী’। এমনিভাবে রাসুল (সা.)-এর অকৃত্রিম ভালোবাসা ও হৃদয়াবেগে ১৯৫০ সালে মাওলানা আবদুল খালেক রচনা করেন ‘ছাইয়্যেদুল মুরছালিন’। জীবনভিত্তিক গ্রন্থ ‘মানুষের নবী’ ১৯৫৩ সালে রচনা করেন আবদুল জব্বার সিদ্দিকী। পশ্চিমবঙ্গের শেখ আবদুর রহিম ১৮৮৭ সালে কোরআন-হাদিস ও ঐতিহাসিক তথ্যের ভিত্তিতে ‘হজরত মোহাম্মদের জীবন চরিত ও ধর্মনীতি’ রচনা করেন। এ রচনা বাংলা সাহিত্যে তোলপাড় সৃষ্টি করে। এ গ্রন্থটিকে বলা হয় আধুনিক বাংলা সাহিত্যের কোনো মুসলিম সাহিত্যিকের রচিত রাসুল (সা.)-এর প্রথম জীবনীগ্রন্থ। এ ধারাবাহিকতার অল্প সময় পরই মুন্সী জমিরুদ্দীন জীবনভিত্তিক ‘শ্রেষ্ঠ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ও পাদ্রীর ধোঁকাভঞ্জন’ গ্রন্থটি রচনা করেন।
বাংলা সাহিত্যে একাধিক নবী সাহিত্য রচনা করে শীর্ষে অবস্থান করছেন বাংলা সাহিত্যের অন্যতম লেখক খান বাহাদুর আহছানউল্লাহ (রহ.)। এর মধ্যে ১৯২৪ সালে প্রকাশিত ‘ইসলাম ও আদর্শ মহাপুরুষ’, ১৯৪৯ সালে প্রকাশিত ‘হজরত মোহাম্মদ পেয়ারা নবী’ ও ‘বিশ্ব শিক্ষক’ এবং ১৯৫২ সালে প্রকাশিত ‘এসলাম রবি হজরত মোহাম্মদ’ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এসব গ্রন্থে তিনি রাসুল (সা.)-এর জীবনের বিভিন্ন ঘটনা, ইসলামের আবির্ভাব ও ক্রমবিকাশের সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ চিত্র তুলে ধরেন।
আধুনিক বাংলা পদ্যে নবীজীবন : শান্তিপুরের কবি বলে খ্যাত কবি মোজাম্মেল হক রাসুল (সা.)-এর জীবনীগ্রন্থ পদ্যাকারে ফুটিয়ে তোলেন। ১৯০৩ সালে প্রকাশিত তার সেই রচনার নাম ‘হজরত মোহাম্মদ’। রংপুরের লেখক শেখ ফজলুল করীম তার ‘পরিত্রাণ’ কাব্যগ্রন্থে নবীজির জীবনী নিয়ে আলোচনা করেন। ‘পরিত্রাণ’ রচনার পর তিনি রাসুল (সা.)-এর যুদ্ধ ও সংগ্রামী জীবনকে উপজীব্য করে রচনা করেন ‘পয়গম্বরের জীবনী’ ও ‘পরশমণি’ নামে দুটি গ্রন্থ।
নবীজীবন নিয়ে শিশুতোষ রচনাবলি : আধুনিক বাংলা সাহিত্যের মূলধারায় যেমন নবী সাহিত্য রচনার হিড়িক পড়েছে, তেমনি শিশুতোষ গল্প-সাহিত্যেও রাসুল (সা.)-কে নিয়ে লেখা হয়েছে প্রচুর। বাংলা সাহিত্যের শক্তিমান লেখক ইয়াকুব আলী চৌধুরী ছোটদের জন্য ১৯১৮ সালে রাসুল (সা.)-এর জীবনাদর্শ তুলে ধরে রচনা করেন ‘নূরনবী’। এতে নববি চরিত্রের কোমল ও মধুর দিকগুলো শিশুদের জন্য সহজ-সরল ও আকর্ষণীয়ভাবে অঙ্কিত হয়। ১৯২৬ সালে তিনিই বড়দের জন্য নববী শিক্ষা ও জীবনধারাকে উপজীব্য করে রচনা করেন ‘মানব মুকুট’। এ গ্রন্থটি সেকালের প্রকাশিত সেরা গ্রন্থ ছিল। লেখক ও গবেষক খান বাহাদুর তসলিমুদ্দীন আহমদ রাসুল (সা.)-এর জীবনীর ওপর গবেষণা করে রচনা করেন ‘সম্রাট পয়গম্বর’। ১৯২৮ সালে প্রকাশিত গ্রন্থটি বিজ্ঞজনের কাছে বেশ সমাদৃত হয়।
চলমান বাংলা গদ্য ও পদ্যে নবীচরিত : বাংলা সাহিত্য আধুনিক যুগে প্রবেশের পর থেকে ব্যাপকভিত্তিতে নবীজিকে নিয়ে সাহিত্য রচনা হচ্ছে। রচনার এ ধারা নতুন নয়। তবে এ সময়ে এসে নবী সাহিত্যে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। তরুণদের মধ্যে অনেকে লিখছেন। নন্দিত লেখক সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর গল্পভাষ্যে রাসুল (সা.)-এর দাম্পত্যজীবন নিয়ে লিখেছেন ‘প্রিয়তমা’। তরুণ ছড়াকার আবদুল্লাহ আশরাফ ‘সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ নামক ছড়াগ্রন্থে ছন্দণ্ডছড়ায় তুলে ধরেছেন রাসুল (সা.)-কে। গল্পভাষ্যে শিশুদের জন্য নকীব মাহমুদ লিখেছেন ‘মুস্তফা’।
শেষ কথা : বাংলা সাহিত্যের মজবুত একটি ধারা গড়ে উঠেছে রাসুল (সা.)-এর জীবনী ঘিরে। সেই ধারা এখনও অব্যাহত। প্রতিনিয়ত রচিত হচ্ছে অসংখ্য নবী সাহিত্য। যে কোনো ভাষায়ই নবী সাহিত্য প্রধানতম শাখার ভূমিকায় চলে আসছে। কেউ চাইলেই তা অস্বীকার করতে পারবে না। এত কিছুর পরও যারা বলবে, বাংলা সাহিত্যের মূলধারা নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর উপস্থিতিশূন্য, তাদের বলব, বাংলা সাহিত্য নিয়ে যার সামান্যতম পড়াশোনা নেই, সে-ই এমন অসত্য অসুন্দর কথা বলতে পারে। যে ভাষার সাহিত্যিকরা ধর্মের ভেদাভেদ ভুলে নবীর শানে সাহিত্য রচনায় বিভোর, সে ভাষার সাহিত্যের মূলধারা নবী মুহাম্মদ (সা.) হবেন না, তো হবেটা কে?