প্রশ্ন : তাকবিরে তাহরিমা বলার পর সঙ্গে সঙ্গে হাত বাঁধতে হবে নাকি প্রথমে হাত ছেড়ে দিয়ে তারপর বাঁধতে হবে?
উত্তর : তাকবিরে তাহরিমা বলার পর সঙ্গে সঙ্গে হাত না ছেড়ে সরাসরি হাত বাঁধতে হবে। (আদ্দুররুল মুখতার : ২/১৮৮; ফাতহুল কাদির : ১/২৯২; ফতোয়ায়ে তাতারখানিয়া : ২/৫৬)।
প্রশ্ন : যদি কোনো ব্যক্তি চার রাকাত ফরজবিশিষ্ট নামাজের তৃতীয় এবং চতুর্থ রাকাতে সুরা ফাতিহার পর অন্য কোনো সুরা ভুলে পড়ে ফেলে, তাহলে সাহু সেজদা ওয়াজিব হবে?
উত্তর : প্রশ্নোল্লেখিত অবস্থায় সাহু সেজদা ওয়াজিব হবে না। (ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া : ১/১৮৬; আল মুহিতুল বোরহানি : ২/৩১০)।
প্রশ্ন : এক ব্যক্তি জোহরের প্রথম রাকাতে সুরা ফাতিহা পড়ার পর ভাবতে লাগল, কোন সুরা পড়বে? ভাবতে ভাবতে তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় কেটে গেল। এখন তার ওপর সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে?
উত্তর : প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে। সুতরাং সেজদায়ে সাহু করে না থাকলে সে নামাজ পুনরায় আদায় করতে হবে। (শরহুল মুনইয়া : ৪৬৫; আদ্দুররুল মুখতার : ২/৯৩-৯৪)।
প্রশ্ন : কখনও জামাত ছুটে গেলে মহল্লার জামে মসজিদের বারান্দায় মাঝেমধ্যে দ্বিতীয় জামাত করে থাকি। দ্বিতীয় জামাতের বিধান কী?
উত্তর : মসজিদ বা তার বারান্দায় দ্বিতীয় জামাত করা মাকরুহে তাহরিমি। তবে দ্বিতীয় জামাতটি প্রথম জামাতের অবস্থা পরিবর্তন করে (অর্থাৎ আজান না দিয়ে এবং মেহরাব বা মেহরাবের বরাবর না দাঁড়িয়ে) করলে তা জায়েজ। তবে এ ক্ষেত্রেও মাকরুহে তানজিহি হবে। তাই উত্তম হলো, জামাতের পর যারা মসজিদে আসবেন, তারা মসজিদের সীমার বাইরে জামাত করবেন। নইলে একাকী নামাজ পড়বেন। সাহাবায়ে কেরামের জামাত ছুটে গেলে তারা মসজিদে একাকী নামাজ পড়তেন। (মাজমাউয যাওয়াইদ : ২/১৩৫; ইলাউস সুনান : ৪/২৫০; রদ্দুল মুহতার : ১/৫৫২; ইমদাদুল ফাতাওয়া : ১/৩৭২)।