জীবন ফুরিয়ে যাচ্ছে। হায়াত নিঃশেষ হচ্ছে। হাওয়ার মতো উড়ে যাচ্ছে জীবনের ক্ষণ, দিন ও বছরগুলো। কিছু দিন আগেও আমাদের জীবনে ছিল বরকতময় রমজান। তা গত হয়েছে। ফেলে আসা দিনগুলো আর কখনও ফিরবে না। যারা ওই বরকতময় সময়ে ভালো কাজ করেছে, তারা আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করুক। ভালো কাজ অব্যাহত রাখুক। কারণ, ইবাদতের কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই। এটা আল্লাহর এক অধিকার, যা তার বান্দাদের ওপর সারাজীবন বর্তায়। মোমিনের কাজ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত থেমে থাকে না। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘তোমার মৃত্যু উপস্থিত হওয়া পর্যন্ত তুমি তোমার প্রতিপালকের ইবাদত কর।’ (সুরা হিজর : ৯৯)। আল্লামা ইবনে কাসির (রহ.) বলেন, ‘নবী ও তাদের সঙ্গীরা আল্লাহকে সবচেয়ে বেশি চিনতেন, তার হক ও গুণাবলি সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি জ্ঞান রাখতেন। এরপরও তারা সবচেয়ে বেশি ইবাদত করতেন ও মৃত্যু পর্যন্ত নেক কাজে লেগে থাকতেন।’
দোয়া হিদায়াত পাওয়ার মাধ্যম: যে সত্যিকারের হিদায়াত চায়, আল্লাহ তাকে হিদায়াত দেন, তাকে তাতে দৃঢ় রাখেন ও তার হিদায়াতকে আরও বাড়িয়ে দেন। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘যারা সৎপথ অবলম্বন করে আল্লাহ তাদের সৎপথে চলার শক্তি বৃদ্ধি করেন ও তাদের মুত্তাকি হওয়ার শক্তি দান করেন।’ (সুরা মুহাম্মাদ : ১৭)। শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া (রহ.) বলেন, ‘যে মুসলিম দিলমন নিয়ে প্রকৃতঅর্থেই আল্লাহর বিধান অনুযায়ী ইবাদত করে, আল্লাহ অল্প সময়েই তার জন্য হিদায়াতের পথ খুলে দেন।’ আর কেউ যদি ভালো কাজ করে, সে যেন আল্লাহর কাছে সেই কাজ কবুল হওয়ার দোয়া করে। কারণ, তাওহিদের ইমাম হজরত ইবরাহিম (আ.) ও তার পুত্র হজরত ইসমাইল (আ.) যখন আল্লাহর ঘর কাবার ভিত্তি তৈরি করছিলেন, তখন তারা আল্লাহর কাছে দোয়া করছিলেন, ‘স্মরণ কর, যখন ইবরাহিম ও ইসমাঈল কাবাগৃহের প্রাচীর তুলছিল তখন তারা বলেছিল, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের এ কাজ গ্রহণ কর, নিশ্চয় তুমি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞাতা।’ (সুরা বাকারা : ১২৭)। যখন কোনো আমলের সঙ্গে দোয়া, খোদাভীতি, আশা ও ভয় যুক্ত থাকে, তখন সেটি আল্লাহর কাছে প্রশংসার যোগ্য হয়ে ওঠে। হজরত আবু বকর (রা.) বলেন, ‘আমি তোমাদের আল্লাহভীতি অবলম্বনের উপদেশ দিচ্ছি। তার প্রশংসা করো যেমন তিনি পাওয়ার যোগ্য। আশা ও ভয় একত্রে রাখ ও আন্তরিকভাবে বারবার দোয়া করো। আল্লাহ জাকারিয়া ও তার পরিবারের প্রশংসা করেছেন, যখন তিনি বলেন, ‘তারা সৎকর্মে প্রতিযোগিতা করত, তারা আমাকে ডাকত আশা ও ভীতির সঙ্গে এবং তারা ছিল আমার নিকট বিনীত।’ (সুরা আম্বিয়া : ৯০)।
মোমিনের আমল ও আল্লাহভীতি: মোমিন ব্যক্তি ভালো কাজ ও আল্লাহভীতির মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে। যখন সে কোনো ভালো কাজ শেষ করে, তখন তার মনে ভয় থাকে এই ভেবে যে, আল্লাহ হয়তো সেটা কবুল করবেন না। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘যারা তাদের প্রতিপালকের নিকট প্রত্যাবর্তন করবে এই বিশ্বাসে তাদের যা দান করার তা দান করে ভীত-কম্পিত হৃদয়ে।’ (সুরা মুমিনুন : ৬০)। হজরত আয়েশা (রা.) আল্লাহর রাসুল (সা.)- কে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, এই আয়াতে কি তাদের কথা বলা হচ্ছে যারা মদ খায় ও চুরি করে?’ তিনি বললেন, ‘না’ হে আবু বকরের কন্যা! বরং এরা তারা, যারা রোজা রাখে, নামাজ পড়ে, সদকা করে তবুও ভয় করে, যদি আল্লাহ তাদের কাজ কবুল না করেন! তারপর তিনি আয়াত তেলাওয়াত করলেন, ‘তারাই দ্রুত সম্পাদন করে কল্যাণকর কাজ ও তারা তাতে অগ্রগামী হয়।’ (সুরা মুমিনুন : ৬১)। [তিরমিজি] তাই আমল যত বেশিই করা হোক, আমলের বিষয়ে আত্মতুষ্ট হওয়া যাবে না। কারণ তুমি জানো না, কোন আমল কবুল হবে ও কোনটা হবে না। হজরত আলি রা. বলেছিলেন, ‘তোমরা আমল করার চেয়ে বেশি চিন্তা করো আমল কবুল হওয়ার বিষয়ে।’
আর যদি নেক কাজ খাঁটি না হয়, অর্থাৎ তাতে রিয়া বা অহংকার বা অন্য কোনো খারাপ উদ্দেশ্য থাকে, তাহলে সেই কাজ আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। তাই মোমিন ব্যক্তির উচিত- নেক কাজ করে আশা করা, আবার ভয়ও করা যেন কোনো কারণে সেই কাজ বিনষ্ট না হয়ে যায়। কারণ, পাপ কাজ অনেক সময় নেক কাজের ফল নষ্ট করে দিতে পারে। আল্লামা ইবনে কাইয়িম (রহ.) বলেন, ‘ভালো আমল নষ্ট করে দেয় এমন জিনিসের সংখ্যা এত বেশি যে তা গণনা করা কঠিন। আসল কথা শুধু আমল করাই নয়, বরং আমলকে সুরক্ষিত রাখাই বড় বিষয়।’
অহংকারে আমল নষ্ট: আর নেক আমল নষ্ট হওয়ার বড় কারণ হলো- নিজের আমল নিয়ে অহংকার করা। এতে মানুষ আর আমলে অগ্রগতির চেষ্টা করে না, গোনাহকে হালকাভাবে নেয়, আর আল্লাহর শাস্তিকে ভয় করে না। হজরত ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, ‘মানুষ ধ্বংস হয় দুই কারণে: হতাশা ও অহংকার।’ অহংকার দূর করার উপায় হলো নিজের ভুল ও গোনাহ স্বীকার করা, নিজের সীমাবদ্ধতা মনে রাখা, আল্লাহর নেয়ামতের কথা বারবার স্মরণ করা, তার শাস্তি হতে নিজেকে নিরাপদ মনে না করা ও দোয়া করা যেন আল্লাহ নেক কাজ কবুল করেন এবং ক্ষমা ও সন্তুষ্টি দান করেন।
গোনাহ করলে নেক কাজ করুন: বান্দাকে গোপনে হোক বা প্রকাশ্যে, সব সময় আল্লাহভীতি বজায় রাখতে হবে। তবে মানুষ বলে কয়ে হলেও গোনাহ করেই ফেলে, তাই তার প্রতি আদেশ দেয়া হয়েছে- গোনাহ করে ফেললে সঙ্গে সঙ্গে নেক কাজ করে ফেলো, যাতে ওই গোনাহ মাফ হয়ে যায়। বিশ্বনবী (সা.) বলেছেন, ‘তুমি যেখানেই থাকো না কেন, আল্লাহকে ভয় কর। কোনো খারাপ কাজ করে ফেললে সঙ্গে সঙ্গে নেক কাজ করে ফেলো, এটা সেই খারাপ কাজকে মুছে দেবে। আর মানুষের সঙ্গে ভালো আচরণ করো।’ (মুসনাদে আহমদ)।
যখন আল্লাহ কোনো বান্দার কোনো নেক আমল কবুল করেন, তখন তিনি তাকে আরও ভালো কাজ করার তৌফিক দেন। সবসময় আল্লাহর পথে স্থির থাকা জান্নাতপ্রাপ্তদের গুণ। মহান আল্লাহ বলেন, ‘যারা বলে, ‘আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ, এরপর অবিচলিত থাকে, তাদের নিকট অবতীর্ণ হয় ফেরেশতা হয় এবং তাদেরকে বলে, ‘তোমরা ভীত হয়ো না ও চিন্তিত হয়ো না। তোমাদের যে জান্নাতের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল তার জন্য আনন্দিত হও।’ (সুরা হা-মীম সিজদা : ৩০)। তাই, প্রতিটি ইবাদতের মৌসুমের পর আল্লাহকে দেখাও- তোমরা আরও ভালো হতে চাও। তার কাছে শুধু হিদায়াত নয়, সেই হিদায়াতে অটল থাকার জন্যও প্রার্থনা কর।
উত্তম দোয়া : শায়খুল ইসলাম আল্লামা ইবনে তাইমিয়া (রহ.) বলেন, ‘সব দোয়ার মধ্যে সবচেয়ে উত্তম ও গুরুত্বপূর্ণ হলো, ‘আমাদেরকে সরল পথ প্রদর্শন কর, তাদের পথ, যাদেরকে তুমি অনুগ্রহ দান করেছ, তাদের পথ নয়; যারা ক্রোধ-নিপতিত ও পথভ্রষ্ট।’ (সুরা ফাতিহা : ৬-৭)। এই দোয়া দুনিয়া-আখেরাত সব কিছুর কল্যাণের জন্য যথেষ্ট। আল্লাহর কাছে সব সময় চাইতে হবে- তিনি যেন আমাদের নেক কাজের ওপর অটল রাখেন। মহানবী (সা.) হজরত মুআয (রা.)-কে নামাজের পর এই দোয়া করতে বলতেন, ‘হে আল্লাহ! আমাকে তোমার জিকির করার, তোমার শোকর আদায় করার ও তোমার উত্তম ইবাদত করার শক্তি দাও।’ (মুসনাদে আহমদ)।
উত্তম আমল: আর তোমরা যেন কখনও বিরক্ত হয়ে থেমে না যাও, ইবাদত থেকে মুখ ফিরিয়ে না নাও। কারণ, আল্লাহ বিরক্ত হন না, যতক্ষণ না তোমরা বিরক্ত হও। সবচেয়ে প্রিয় ও উত্তম কাজ হলো, যেটা বান্দা নিয়মিত করে, যদিও তা সামান্য হয়। হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, মহানবী (সা.)-কে জিজ্ঞেস করা হলো, আল্লাহর কাছে সর্বাধিক প্রিয় আমল কী? তিনি বললেন, যে আমল নিয়মিত করা হয়, যদিও তা অল্প হয়। তিনি আরও বললেন, তোমরা সাধ্যের অতীত কাজ নিজের উপর চাপিয়ে নিও না।’ (বোখারি : ৬৪৬৫)। মহানবী (সা.) সেই ব্যক্তির নিন্দা করেছেন, যে শুরুতে ভালো কাজ করলেও পরে তা ছেড়ে দেয়। তিনি আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.)- কে বলেছিলেন, ‘হে আবদুল্লাহ! এমন হয়ো না, যেমন লোকটি শুরুতে রাতে তাহাজ্জুদ পড়ত, পরে তা ছেড়ে দিয়েছে।’ (বোখারি)। ইমাম নববি (রহ.) বলেন, ‘অল্প হলেও নিয়মিত নেক কাজ অনেক ভালো, কারণ এতে ইবাদত, জিকির, একাগ্রতা, নিয়ত ও আন্তরিকতা সবসময় বজায় থাকে। অল্প হলেও নিয়মিত আমলই অনেক বড় বিচ্ছিন্ন আমলের চেয়েও বেশি ফলদায়ক হয়।’
বান্দা কখন ক্ষতিগ্রস্ত হয়: বান্দা যখন আল্লাহর ইবাদত থেকে নিজেকে দূরে রাখে, তখন সে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর যদি কেউ ইবাদতের সময় আল্লাহর কথা ভুলে যায়, তাহলে তা কেয়ামতের দিনে তার জন্য আক্ষেপের কারণ হবে। যদি কেউ গাফিল থাকে বা আল্লাহর অবাধ্যতায় পড়ে রয়, তাহলেও তার জন্য তওবার দরজা খোলা থাকে, যতক্ষণ না তার মৃত্যুর সময় এসে যায়। মহানবী (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তার বান্দার তওবা কবুল করেন, যতক্ষণ না তার গলা পর্যন্ত প্রাণ উঠে আসে।’ (মুসনাদে আহমদ)।
প্রিয় মুসলিম ভাইয়েরা, দিন আর রাতগুলো হলো আমাদের কাজ-কর্ম জমা রাখার ভান্ডার। কেয়ামতের দিন মানুষ সেগুলোর ফল পাবে। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘যেদিন প্রত্যেকে সে যে নেক কাজ করেছে, আর সে যে মন্দ কাজ করেছে তা বিদ্যমান পাবে।’ (সুরা আলে ইমরান : ৩০)। এক হাদিসে কুদসিতে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘হে আমার বান্দাগণ! এগুলো তোমাদেরই কাজ। আমি সেগুলো হিসাব করে রাখি, পরে তোমাদের পূর্ণরূপে তা দিয়ে দিই। যে ভালো কিছু পায়, সে যেন আল্লাহর প্রশংসা করে। আর যে খারাপ কিছু পায়, সে যেন নিজেকেই দোষ দেয়।’ (মুসলিম : ৬৪৬৬)। মনে রাখতে হবে, পবিত্র সময় বা জায়গা কাউকে পবিত্র বানিয়ে ফেলে না, যতক্ষণ না সে নিজে ভালো কাজ করে ও প্রকাশ্য-গোপনে আল্লাহর পথে চলে। শরীরের অনেক ইবাদত তখনই কাজে আসে, যখন হৃদয় থাকে পবিত্র ও সঠিক। বুদ্ধিমান সে-ই, যে নিজের অন্তর সবসময় ঠিক রাখে, নিজের ভেতরটা পরীক্ষা করে। তাই, ভবিষ্যতের কঠিন অবস্থার জন্য নেক কাজ জমা করে রাখ।কারণ, বছর কেটে যাচ্ছে। সময় বয়ে যাচ্ছে। সময়ের চলে যাওয়া মনে করিয়ে দেয়, আমাদের জীবনও একদিন শেষ হয়ে যাবে এবং আমরা সবাই একদিন আল্লাহর সামনে হাজির হতে হবে।
রোজার আমল: রমজান চলে গেলেও রোজা এখনও রাখা যায়। রমজানের পর শাওয়ালের ছয় রোজা রাখতে হাদিসে খুব গুরুত্বসহ বলা হয়েছে। হজরত আবু আইয়ুব আনসারি রা. বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘রমজান মাসের সিয়াম পালন করার পর শাওয়াল মাসে ছয়দিন সিয়াম পালন করা সারা বছর সাওম পালন করার মতো।’ (মুসলিম : ২৬৪৮)। বিশ্বনবী (সা.) সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখতে বলতেন। তিনি বলেন, ‘এই দুই দিনে আল্লাহর দরবারে আমলগুলো পেশ করা হয়, তাই আমি চাই তখন যেন রোজাদার থাকি।’ (মুসনাদে আহমদ)। আল্লাহর রাসুল (সা.) হজরত আবু হুরাইরা (রা.)- কে প্রতি মাসে তিন দিন রোজা রাখার উপদেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘রমজান মাস ও প্রতি মাসে তিন দিন রোজা রাখা সারাবছর রোজা রাখার মতো।’ (মুসনাদে আহমদ)।
তাহাজ্জুদের নামাজ : রমজানের রাতে তারাবিহ পড়া শেষ হয়ে গেলেও, রাতের নামাজ (কিয়ামুল লাইল) সারা বছরই আদায় করা যায়। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মহামহিম আল্লাহতায়ালা প্রতি রাতের শেষ তৃতীয়াংশ অবশিষ্ট থাকাকালে পৃথিবীর নিকটবর্তী আসমানে অবতরণ করে ঘোষণা করতে থাকেন, কে আছে এমন, যে আমাকে ডাকবে? আমি তার ডাকে সাড়া দেব। কে আছে এমন যে, আমার নিকট চাইবে। আমি তাকে তা দেব। কে আছে এমন যে আমার নিকট ক্ষমা চাইবে? আমি তাকে ক্ষমা করব।’ (বোখারি : ১১৪৫)।
কোরআন তেলাওয়াত : কোরআন এক অফুরন্ত কল্যাণের উৎস। এটি প্রতিদিন ও প্রতিরাত তেলাওয়াত করা যায়। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আমি এ কল্যাণময় কিতাব নাজিল করেছি যা এর আগেকার কিতাবের প্রত্যায়নকারী।’ (সুরা আনআম : ৯২)। যদি কোনো নেক কাজের সুযোগ আসে, তাহলে সঙ্গে সঙ্গেই তা করে ফেলতে হবে। কারণ প্রতিটি দরজা সবসময় খোলা থাকে না। সেই ব্যক্তি ধোঁকায় পড়ে, যে আল্লাহর ইবাদত থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। আর সেই মানুষ বঞ্চিত, যে আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত হয়। (০৬-১০-১৪৪৬ হিজরি মোতাবেক ০৪-০৪-২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ তারিখে মসজিদে নববিতে প্রদত্ত জুমার খুতবা সংক্ষেপিত অনুবাদ করেছেন -আবদুল কাইয়ুম শেখ)