১৯৭ : হজ হয় সুনির্দিষ্ট মাসসমূহে। অতঃপর যে কেউ এই মাসগুলোতে হজ করা ¯ি'র করে তার জন্য হজের সময়ে স্ত্রী-সম্ভোগ, অন্যায় আচরণ ও কলহ-বিবাদ বিধেয় নয়। তোমরা উত্তম কাজের যাকিছু কর আল্লাহ তা জানেন এবং তোমরা পাথেয়ের ব্যব¯'া করবে, আত্মসংযমই শ্রেষ্ঠ পাথেয়। হে বোধসম্পন্ন ব্যক্তিরা! তোমরা আমাকে ভয় কর।
১৯৮ : তোমাদের প্রতিপালকের অনুগ্রহ সন্ধান করাতে তোমাদের কোনো পাপ নেই। যখন তোমরা ‘আরাফাত হতে প্রত্যাবর্তন করবে তখন মাশআরুল হারামের নিকট পৌঁছে আল্লাহকে স্মরণ করবে এবং তিনি যেভাবে নির্দেশ দিয়াছেন ঠিক সেভাবে তাকে স্মরণ করবে। যদিও এর আগে তোমরা বিভ্রান্তদের অন্তর্ভুক্ত ছিলে।
১৯৯ : অতপর অন্যান্য লোক যেখান হতে প্রত্যাবর্তন করে তোমরাও সে স্থান হতে প্রত্যাবর্তন করবে। আর আল্লাহর নিকট মা প্রার্থনা করবে, বস্তুত আল্লাহ মাশীল, পরম দয়ালু।
২০০ : অতঃপর যখন তোমরা হজের অনুষ্ঠানাদি সমাপ্ত করবে তখন আল্লাহকে এমনভাবে স্মরণ করবে যেমন তোমরা তোমাদের পিতৃপুরুষদের স্মরণ করতে, অথবা তার চেয়েও অভিনিবেশ সহকারে। মানুষের মধ্যে যারা বলে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক। আমাদের ইহকালেই দাও, বস্তুত পরকালে তাদের জন্য কোনো অংশ নেই।’
২০১ : আর তাদের মধ্যে যারা বলে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের দুনিয়াতে কল্যাণ দাও এবং আখেরাতে কল্যাণ দাও এবং আমাদের আগুনের শান্তি হতে রা কর।’
২০২ : তারা যা অর্জন করেছে তার প্রাপ্য অংশ তাদেরই। বস্তুত আল্লাহ হিসাব গ্রহণে অত্যন্ত তৎপর।
২০৩ : তোমরা নির্দিষ্ট সংখ্যক দিনগুলোতে আল্লাহকে স্মরণ করবে। যদি কেউ তাড়াতাড়ি করে দুই দিনে চলে আসে, তবে তার কোনো পাপ নেই আর যদি কেউ বিলম্ব করে তবে তারও কোনো পাপ নেই। তা তার জন্য, যে তাকওয়া অবলম্বন করে। তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং জেনে রেখ যে, তোমাদের অবশ্যই তাঁর নিকট একত্র করা হবে।
- (সূরা বাকারা, আয়াত-১৯৭-২০৩)