আমাদের অন্তর শক্ত হয়ে গেছে। আল্লাহর ওপর বিশ্বাস-ভরসা ও তাঁর সন্তুষ্টি থেকে আমরা দূরে সরে গেছি। আমাদের চিন্তা-ভাবনাগুলো বিক্ষিপ্ত হয়ে গেছে। নানান দুশ্চিন্তা ও পেরেশানি আমাদের আঁকড়ে ধরেছে। সারাক্ষণ রুজি, সুস্থতা, প্রয়োজন ও আনন্দ-ফুর্তি নিয়ে ব্যস্ত থাকি। আত্মিক শক্তি দুর্বল হয়ে পড়েছে। ধন-সম্পদের ঝামেলা, সম্মান বিনষ্ট, নিকটাত্মীয়দের মৃত্যু, নিজস্ব অবস্থান বিনষ্ট ও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার মতো জীবনের সাধারণ সমস্যা মোকাবিলা করার শক্তিও হারিয়ে ফেলেছি। আত্মিক অসুস্থতাও দিন দিন বেড়েই চলেছে। এ ধরনের মানসিকতা ও দুশ্চিন্তা যদি আামদের ওপর প্রাধান্য পায়, তাহলে দ্বীনের ওপর অটল থাকাটা কষ্টসাধ্য। একসময় চিন্তাশক্তি সংকীর্ণ হয়ে পড়বে। শারীরিক উদ্যমতায় ভাটা পড়বে।
দুশ্চিন্তা বেড়ে গেলে আল্লাহর অনুগত জীবনযাপনে মন বসে না। ইসলাম দুশ্চিন্তা ও পেরেশানি দূর করার উপায় বাতলে দিয়েছে। ইসলাম সর্বপ্রথম আমাদেরকে শিখিয়েছে, দুনিয়াবি জীবন দুশ্চিন্তা ও পেরেশানিমুক্ত নয়। এ জীবনে বিভিন্ন ধরনের দুশ্চিন্তা ও পেরেশানির সম্মুখীন হতে হয়। তা মোকাবিলা করতে হয়। পাশাপাশি জীবনকে এগিয়ে নিতে বিভিন্ন ধরনের পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। এরশাদ হচ্ছে, ‘সন্দেহাতীতভাবে মানুষকে আমি পরিশ্রম ও সংগ্রামের জন্য সৃষ্টি করেছি।’ (সুরা বালাদ : ৪)।
বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা, দুশ্চিন্তা ও পেরেশানির মধ্য দিয়ে সব নবী জীবন অতিবাহিত করেছেন। কেউ অসুস্থ ছিলেন, কেউ দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ছিলেন, কেউ কাছের প্রিয়জনকে হারিয়ে আল্লাহর পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়েছেন, কোনো নবীকে আবার মিথ্যা অপবাদের মতো কষ্টদায়ক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়েছে। বাস্তবতা হলো, মানুষের মধ্যে নবীদেরকেই আল্লাহতায়ালা বেশি পরীক্ষা করেছেন। এমনকি আমাদের প্রিয় নবী (সা.)-কে জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে বারবার পরীক্ষা করা হয়েছে। রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, ‘আল্লাহর দ্বীন প্রচারের ক্ষেত্রে আমাকে এত বেশি কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে, অন্য কেউ যার সম্মুখীন হয়নি। আমাকে আল্লাহর রাস্তায় কাজ করার জন্য এত বেশি ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছে, যা অন্য কাউকে করা হয়নি। এমনকি তিন দিন পর্যন্ত বেলাল ও আমার কাছে খাবারের মতো কিছুই ছিল না। শুধু এতটুকু খাবার ব্যতীত, যা বেলালের বাহুর নিচে লুকিয়ে রাখা যায়।’ (তিরমিজি : ২৬৬০)।
এত কষ্ট ও কঠিন পরীক্ষার পরেও রাসুল (সা.)-এর অন্তরে কখনও দুশ্চিন্তা কিংবা পেরেশানির লেশমাত্র ছিল না। দুনিয়াবি কষ্টের জন্য রাসুল (সা.) কখনও অস্থির হয়ে পড়েননি। এমনকি এসব কারণে রাসুল (সা.)-এর অন্তর কখনও বিক্ষিপ্ত হয়ে যায়নি। কেননা রাসুল (সা.) নিজের জীবনকে আল্লাহর নির্দেশিত পথে পরিচালিত করেছেন। আল্লাহ নিজেই রাসুল (সা.)-কে এগুলো শিখিয়েছেন। এ কারণেই রাসুল (সা.) উদার হৃদয়ে সাহসিকতার সঙ্গে আল্লাহর প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস রেখে জীবন অতিবাহিত করেছেন। আল্লাহতায়ালা এরশাদ করেন, ‘আমি কি আপনার বক্ষ উন্মুক্ত করে দিইনি?’ (সুরা ইনশিরাহ : ১)। রাসুল (সা.)-এর অন্তরকে আল্লাহমুখী রাখার জন্য এবং দুশ্চিন্তা ও পেরেশানি থেকে মুক্ত রাখতে আল্লাহতায়ালা রাসুল (সা.)-কে উপদেশ দেন, ‘অবসর পেলে পরিশ্রম করুন এবং বিভিন্ন কাজকর্ম থেকে মুক্ত হয়ে আপনার পালনকর্তার প্রতি মনোনিবেশ করুন।’ (সুরা ইনশিরাহ : ৭-৮)।
আল্লাহর ইবাদতের মধ্য দিয়ে জীবনযাপন করা দুশ্চিন্তা ও পেরেশানি থেকে মুক্তির সবচেয়ে কার্যকর উপায়। সব কাজে আল্লাহর আনুগত্য করতে হবে। তাহলে ঈমানের স্বাদ আস্বাদন করতে পারব। রাসুল (সা.) মদিনায় হিজরতের জন্য মক্কা থেকে বেরুলেন। গারে সাওরে নিজেদেরকে আত্মগোপন করলেন। মুশরিকরা রাসুল (সা.)-কে হত্যা করার জন্য তরবারি নিয়ে বেরুল। গারে সাওর পর্যন্ত পৌঁছে গেল। হজরত আবু বকর (রা.) বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল (সা.)! আমরা গুহার মধ্যে এবং শত্রুরা এখানে চলে এসেছে। তারা যদি শুধু নিজেদের পায়ের দিকে তাকায়, তাহলেই আমরা ধরা পড়ে যাব।’ স্বাভাবিকভাবেই এটা অত্যন্ত ভয় ও দুশ্চিন্তার বিষয়। এমন সময় সবাই প্রচ- পেরেশান ও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়বে, এটাই স্বাভাবিক। রাসুল (সা.) বললেন, ‘হে আবু বকর! তুমি কেন চিন্তা করছ, যেখানে আমাদের দু’জনের সঙ্গে তৃতীয়জন আল্লাহ উপস্থিত আছেন!’ যেমনিভাবে আল্লাহতায়ালা এরশাদ করেন, ‘রাসুল (সা.) গারে সাওরে তার সঙ্গী আবু বকরকে বলেছিলেন, কোনো চিন্তা কোরো না, আল্লাহ আমাদের সঙ্গে আছেন।’ (সুরা তওবা : ৪০)।
যত ভয়ের ব্যাপার হোক বা বিপদই আসুক, আল্লাহর ওপর ভরসা রাখতে হবে। নিজের সব কিছু আল্লাহর ওপর ন্যস্ত করে দিতে হবে। সারাক্ষণ আল্লাহর স্মরণ এবং তার সাহায্য, দয়া, শক্তি ও রহমতের বিশ্বাস অন্তরে লালন করতে হবে। হজরত মুসা (আ.)-এর ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘মুসা (আ.)-এর সঙ্গীরা বলল, আমরা নিশ্চিত এখন ধরা পড়ে যাব। কেননা আমাদের সামনে সমুদ্র ও পেছনে শত্রু। এমন একটা অবস্থা যে, তারা নিশ্চিত শত্রু বাহিনীর কাছে পর্যদুস্ত হয়ে ধ্বংস হবে। এহেন পরিস্থিতিতে মুসা (আ.)-এর সঙ্গীরা অত্যন্ত দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়ল। সব ধরনের আশা ছেড়ে দিল। কিন্তু মুসা (আ.)-এর আল্লাহর ওপর শতভাগ ভরসা ছিল। হৃদয়ের বিশ্বাস ছিল, আল্লাহ তাদের হেফাজত করবেন। এ জন্য মুসা (আ.) পরিপূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাসের সঙ্গে বললেন, এমন কিছুই হবে না। কেননা আল্লাহ আমাদের সঙ্গে আছেন। তিনি আমাদেরকে সঠিক পথ দেখাবেন।’ (সুরা শুআরা : ৬২)। এ কথা শুনে মানুষের মধ্য থেকে ভয় ও দুশ্চিন্তা দূর হয়ে গেল। শেষ পর্যন্ত শত্রু বাহিনীকে ধ্বংস করে আল্লাহতায়ালা হজরত মুসা (আ.) ও তার সঙ্গীবাহিনীকে নিরাপদে সমুদ্র পার করে দিলেন।
আমাদের নবীও মানুষ ছিলেন। মানবীয় কারণেই মাঝেমধ্যে রাসুল (সা.)-ও চিন্তাগ্রস্ত ও পেরেশান হতেন। কিন্তু রাসুল (সা.) আমাদেরকে তার নিজের কথা-কাজের মাধ্যমে চিন্তা ও পেরেশানি দূর করার উপায় শিখিয়েছেন। রাসুল (সা.) হজরত বেলাল (রা.)-কে বলতেন, ‘হে বেলাল! সালাত আদায়ের জন্য ইকামত দাও। এর মাধ্যমে আমাকে তৃপ্ত করো।’ (সুনানে আবি দাউদ : ৪৯৮৫)। রাসুল (সা.) বলতেন, ‘সালাত আদায়ের মধ্যেই আমার চোখের প্রশান্তি।’ (নাসাঈ : ৩৯৩৯)। তাই খারাপ কোনো পরিস্থিতির সম্মুখীন হলে সালাত আদায় করা উচিত। সালাতে একজন অনুগত বান্দা আল্লাহর কাছে সাহায্য চায়। তার কাছে নিজের দুশ্চিন্তার কথা প্রকাশ করে। আল্লাহ বড় মেহেরবান ও দয়ালু। তিনি বান্দার প্রতি নিজের থেকেও বেশি দয়ালু। প্রার্থনারত বান্দার আবেদন ও বিপদগ্রস্ত মানুষের আহাজারি শোনেন। বিপদ থেকে রক্ষা করেন। তাদের দোয়া কবুল করেন। তিনি এরশাদ করেন, ‘(হে নবী! আপনি বলে দিন), কে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ব্যক্তির ডাকে সাড়া দেন, যখন সে ডাকে ও তার কষ্ট দূর করেন এবং তোমাদেরকে পৃথিবীতে পূর্ববর্তীদের স্থলাভিষিক্ত করেন! সুতরাং আল্লাহ ছাড়া তোমাদের অন্য কোনো উপাস্য আছে কি? নিশ্চয়ই খুব কমসংখ্যক মানুষই উপদেশ গ্রহণ করে।’ (সুরা নামল : ৬২)।
একজন দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ব্যক্তি কীভাবে আল্লাহর কাছে দোয়া করা থেকে গাফেল হতে পারে, যখন আল্লাহর কাছে দোয়াই তাকে তার দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত করতে পারে! যার অন্তর পরিষ্কার, সে নিজের চিন্তা ও পেরেশানি দূর করার জন্য আল্লাহর কাছেই দোয়া করে। আল্লাহতায়ালা এরশাদ করেন, ‘আল্লাহ আপনাকে বিপদগ্রস্ত করলে তা থেকে তিনি ছাড়া অন্য কেউ উদ্ধার করতে পারবে না। পক্ষান্তরে আল্লাহ যদি কারও মঙ্গল চান, তাহলে তিনি সবকিছুর ওপর ক্ষমতাবান।’ (সুরা আনআম : ১৭)। এ জন্য রাসুল (সা.) দোয়া করতেন, ‘হে আল্লাহ! তোমার কাছে দুশ্চিন্তা, পেরেশানি, দুর্বলতা, অলসতা, কৃপণতা, কাপুরুষতা, ঋণ এবং মানুষের অত্যাচার থেকে পানাহ চাই।’ (বোখারি : ৬৩৬৯)।
মানুষ কারও উপকার করতে পারে না, ক্ষতিও করতে পারে না। সুতরাং অন্তরকে বিকারগ্রস্ত করা যাবে না। আল্লাহর ওপর ভরসা রাখতে হবে। আল্লাহ আমাদের সুযোগ দেন; কিন্তু তিনি আমাদের কর্মকা- থেকে গাফেল নন। যে আল্লাহর ওপর ভরসা রাখে এবং সর্বাবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে, সে কখনও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয় না। যে ব্যক্তি জীবনের বিভিন্ন বিপদে দুশ্চিন্তা ও পেরেশান না হয়ে খুশি মনে ধৈর্যধারণ করে, আল্লাহ তাকে বিপদ থেকে উত্তম কিছু দান করেন। তার অন্তরে আল্লাহর সন্তুষ্টি তৈরি করে দেন। আল্লাহতায়ালা এরশাদ করেন, ‘যখন তাদের ওপর কোনো বিপদ আসে, তখন তারা বলে, নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহর জন্য এবং তার কাছেই আমাদের প্রত্যাবর্তন করতে হবে। তারা সেসব লোক, যাদের প্রতি আল্লাহর অফুরন্ত অনুগ্রহ ও রহমত রয়েছে। এসব লোকই সঠিক পথপ্রাপ্ত।’ (সুরা বাকারা : ১৫৬-১৫৭)।
আল্লাহতায়ালা তাঁর নবী ও উম্মতের ওপর এমন দয়া করেছেন, রাসুল (সা.)-এর ওপর দরুদ পাঠ করার মাধ্যমে অন্তরের কলুষতা ও পেরেশানি দূর হয়। যেমনিভাবে উবাই ইবনে কাব (রা.)-এর বর্ণিত হাদিসে উল্লিখিত হয়েছে, তিনি বলেন, ‘আমি আমার পুরো দোয়ায় দরুদ পাঠ করতে চাই।’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘তুমি যদি এমনভাবে দরুদ পাঠ করো, তাহলে তোমার সব পেরেশানি ও দুশ্চিন্তা দূর করে দেওয়া হবে। সব গোনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।’ (তিরমিজি : ২৬৪৫)।
মনে রাখা উচিত, আখেরাতের চিন্তা ও পেরেশানি পার্থিব চিন্তার মতো নয়, বরং তা প্রশংসনীয়। যখন আখেরাতের চিন্তা এসে যায় ও দুনিয়ার সব দুশ্চিন্তার ওপর প্রাধান্য পায়, তখন অন্য সব দুশ্চিন্তা দূর হয়ে যায়। অন্তরে প্রশান্তি লাভ হয়। আত্মার পবিত্রতা অর্জন হয়। রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি আখেরাতের চিন্তাকে সর্বক্ষণের জন্য সঙ্গী করে নেয়, আল্লাহ তার অন্তরকে দুনিয়াবিমুখ করে দেন। তার দুনিয়াবি কর্মকা- সহজ হয়। দুনিয়া তার কাছে এসে পড়ে থাকে।’ (তিরমিজি : ২৪৬৫)। রাসুল (সা.) আরও বলেন, ‘যে নিজের সব চিন্তা থেকে বেরিয়ে শুধু আখেরাতের চিন্তায় মশগুল হয়, আল্লাহ তার পার্থিব সব প্রয়োজনের জন্য যথেষ্ট হয়ে যান। আর যার চিন্তা ও ধ্যান-জ্ঞান সবসময় দুনিয়াকে ঘিরে থাকে, সে কোন উপত্যকায় গিয়ে মারা যায়, আল্লাহ সে ব্যাপারে কোনো ভ্রুক্ষেপ করেন না।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ : ৪১০৬)।
চিন্তাগ্রস্ত ব্যক্তির পেরেশানিগুলোও আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমত। রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, ‘বান্দার ওপর কোনো পেরেশানি, ক্লান্তি, রোগ, দুঃখ-কষ্ট এমনকি একটা কাঁটাও যদি বিঁধে, তার পরিবর্তে আল্লাহ তার গোনাহ মাফ করে দেন।’ (বোখারি : ৫৭০০)। আল্লাহর পছন্দনীয় বান্দারা চিন্তা ও পেরেশানি থেকে নিজেদের মুক্ত রাখার জন্য মানুষের ওপর অনুগ্রহ করার পাশাপাশি দান-সদকাও করে থাকে। কেননা যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের দুঃখ-কষ্ট লাঘব করে, আল্লাহ তার কষ্ট ও পেরেশানি দূর করে দেন। এরশাদ হচ্ছে, ‘যারা দিনরাতে গোপনে ও প্রকাশ্যে নিজের ধন-সম্পদ ব্যয় করে, তাদের জন্য পালনকর্তার কাছে রয়েছে প্রতিদান। তাদের কোনো ভয় নেই, তারা চিন্তাগ্রস্ত হবে না।’ (সুরা বাকারা : ২৭৪)।
৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৩ হিজরি মোতাবেক ৭ জানুয়ারি ২০২২ খ্রিস্টাব্দে মদিনার মসজিদে নববিতে প্রদত্ত জুমার খুতবার সংক্ষিপ্ত ভাষান্তর আল মামুন নূর