ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

এবার মাত্র চার ম্যাচে ডিআরএস!

এবার মাত্র চার ম্যাচে ডিআরএস!

সময়ের অভাবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের (বিপিএল) গত আসরে ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম (ডিআরএস) প্রযুক্তি আনতে পারেনি আয়োজক বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। পরে বিকল্প উপায়ে একটা সীমিত ব্যবস্থা রাখা হয়। যেটাকে অল্টারনেট ডিআরএস (এডিআরএস) নাম দিয়েছিল বিসিবি। এবারও পরিস্থিতি বদলালো না। সময় থাকলেও অন্যান্য সিরিজ ও টুর্নামেন্টের ব্যস্ততার সঙ্গে পেরে ওঠেননি তারা। তাই এবারও টুর্নামেন্টের অধিকাংশ সময়ে মিলছে না এই প্রযুক্তির সহায়তা। বিকল্প হিসেবে গতবারের মতো এবারও এডিআরএস ব্যবহার করা হবে।

তবে এবার প্রথম পর্ব শেষে প্লে-অফ থেকে পূর্ণাঙ্গ ডিআরএস পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী গভর্নিং কাউন্সিল। গতকাল সন্ধ্যায় বিসিবি কার্যালয়ে গণমাধ্যমকে গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক জানান, ‘প্রস্তুতি বলতে সব সময় এটা নিয়ে কাজ করছি। মাত্র ভারত সিরিজ শেষ হলো, ৬ জানুয়ারি বিপিএল শুরু। ডিআরএস এলিমিনেটর পর্বে (প্লে-অফ) থাকবে। তিনটা ম্যাচ হয়, আরেকটা ফাইনাল। এখানে পূর্ণাঙ্গ ডিআরএস থাকবে। বাকি ম্যাচগুলোতে আমরা একটা অল্টারনেট ডিআরএস দেয়ার চেষ্টা করছি। যেটি গতবার ছিল, তার থেকে আপগ্রেড ভার্সনের ডিআরএস থাকবে। যেটাকে আমরা বলি অল্টারনেট ডিআরএস।’

তবে ডিআরএস প্রযুক্তি না পাওয়ার পেছনে এই সময়ে বিশ্ব ক্রিকেটে চলমান অন্যান্য খেলার কারণ দেখিয়েছেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব, ‘এই সময় সারা বিশ্বে সব জায়গায় খেলা হচ্ছে। এখন মূলত হক আই পাওয়া যাচ্ছে না। সাধারণত দুটা কোম্পানি থাকে- হক আই ও ভার্চুয়াল আই। ভার্চুয়াল আই অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের ওখানে করে। হক আই যেহেতু দ্বিপক্ষীয় সিরিজে চুক্তিবদ্ধ থাকে, তাই শুধু এলিমিনেটরে (প্লে-অফ) আমরা আনতে পারব।’

বিপিএলের গত আসর পুরোটাই হয়েছে ডিআরএস ছাড়া। শুরুতে ঢাকা পর্বের ম্যাচগুলোতে আম্পায়ারিং বিতর্ক প্রকট হয়ে দেখা দিলে চট্টগ্রাম পর্ব থেকে বাকি সময়ে এডিআরএস ব্যবহার করা হয়। বিতর্ক এড়াতে ঢাকা পর্বের প্রথম ধাপের খেলার পর চট্টগ্রাম থেকে বিকল্প ব্যবস্থা নিয়ে আসে বিসিবি। এডিআরএসে মূলত স্লো মোশন রিপ্লে দেখে টিভি আম্পায়ার দেন সিদ্ধান্ত। তবে এলবিডব্লিউর ক্ষেত্রে বলের গতিপথ অনেকটা ধারণার উপর থেকে দেখে সিদ্ধান্ত নিতে হয় তাদের। কট বিহাইন্ডে থাকে না এজ দেখার ব্যবস্থা, নির্ভর করতে হয় কেবল সাউন্ডের উপর।

ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের নানা গ্ল্যামারের ছোঁয়া থেকে বিপিএল বঞ্চিত অনেক দিন ধরে। আধুনিক ক্রিকেটের বাস্তবতায় আবশ্যিক ডিআরএস দুই আসর ধরে শুরু থেকে রাখতে পারছে না বিসিবি। ডিআরএস ছাড়া টুর্নামেন্ট খেলা দলগুলোর জন্য কঠিন মনে করেন বিপিএলের সফলতম কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। গত আসরেও ডিআরএস না থাকায় হতাশা প্রকাশ করেছিলেন সালাউদ্দিন। আসরে শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তার দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। তাদের শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে এবারও নেই ডিআরএস। গতবার টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হয়েছিল কিছুটা তাড়াহুড়ো করে। কিন্তু এবার এত আগে থেকে পরিকল্পনা করে নেয়া টুর্নামেন্টে ডিআরএস না থাকার কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না সালাউদ্দিন। মিরপুর একাডেমি মাঠে গত শনিবার অনুশীলন শেষে কুমিল্লার কোচ বললেন দুর্ভাবনার কথাও, ‘এত বড় একটা টুর্নামেন্ট, ডিআরএস না থাকলে আমাদের তো মন খারাপ হবেই, স্বাভাবিক। যে কোনো একটা সিদ্ধান্তের জন্য হয়তো আপনি পুরো টুর্নামেন্ট হেরে যেতে পারেন। বোর্ড যেহেতু অনেক সময় পেয়েছিলেন, আপনাদের তো বোর্ডের এখন অনেক টাকা... আমার কাছে মনে হয় এত বড় একটা টুর্নামেন্টে অবশ্যই ডিআরএস থাকা উচিত। টাকার তো অভাব নেই।’ বিপিএলের ইতিহাসে সফলতম ফ্র্যাঞ্চাইজি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। সবশেষ আসরসহ মোট তিনটি শিরোপা জিতেছে তারা। কুমিল্লার এবারের জার্সিতেও শোভা পাচ্ছে তিন তারকা। এর সঙ্গে আরেকটি তারকা যুক্ত করতে চান সালাউদ্দিন, ‘এখানে মাত্র ৭টা দল। দ্বিতীয় হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আপনাকে এক নম্বর হওয়ার জন্যই নামতে হবে। এজন্য আমার দলের প্রতিটা সদস্য, সবার চিন্তা-ভাবনা একইরকম থাকে। যদি সবার চিন্তা একইরকম হয় তাহলে কাজ করাটাও অনেক সহজ হয়।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত