ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পেলেকে লাখো মানুষের শেষ শ্রদ্ধা

পেলেকে লাখো মানুষের শেষ শ্রদ্ধা

‘ও রেই’ (রাজা) কফিনে শুয়ে এসেছেন প্রিয় ভিলা বেলমিরো স্টেডিয়ামে, যেখানে ফুটবল খেলে হয়ে উঠেছিলেন বিশ্বজয়ী, সেই চিরচেনা আঙিনায় তার শেষ বিদায়! তাই তো পেলেকে বিদায় জানাতে গিয়ে আবেগে ভাসছে ব্রাজিলের মানুষ। আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতাল থেকে গত সোমবার খুব ভোরে পেলের কফিন আনা হয় সান্তোসের এ স্টেডিয়ামে। স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় স্টেডিয়ামের গেট খুলে দেয়া হয় সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য। ২৪ ঘণ্টা শ্রদ্ধা জানানো শেষে গতকাল সকালে এখান থেকে শুরু হয় পেলের শেষযাত্রা। তার চাওয়া অনুযায়ী স্টেডিয়ামের পাশেই ইকুমেনিকাল নেকরোপলিস সিমেট্রিতে চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছেন পেলে।

পেলেকে সমাহিত করা হয় ৩২তলা উঁচু কবরস্থানের নবম তলায়। বাবা ডনডিনহোর প্রতি সম্মান জানিয়ে সান্তোসের বিশ্বরেকর্ডধারী কবরস্থানে ২০০৩ সালেই জায়গা কিনে রেখেছিলেন তিনবারের বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার। বাবা ফুটবল খেলতেন পড়তেন ৯ নম্বর জার্সি, যদিও বাবা দেখে যেতে পারেননি। ১৯৯৬ সালে পৃথিবীর মায়া ছেড়েছেন। শতবর্ষী মা এখনো বেঁচে আছেন।

সেখানেই চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছেন ফুটবল সম্রাট। পেলের ফুটবলার হয়ে ওঠা যে সান্তোস স্টেডিয়ামে সেখান থেকে মাত্র ৮৫০ মিটার দূরে ইকুমেনিকা। সান্তোসের উঁচু কবরস্থান তৈরি হয়েছে ১৯৮৩ সালে, যার ভেতরে বাগান আছে, রেস্টুরেন্ট আছে। আছে কার মিউজিয়ামও। জায়গা আছে ১৪ হাজার কবরের। একেকটি ভল্ট। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডেও জায়গা করে নিয়েছে সান্তোসের ইকুমেনিকা। ভেতরে আলিশান ব্যবস্থা, যা কি না বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভার্টিকাল সিমেট্রি।

সান্তোসে পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ এই কবরস্থানের একেকটি কবরের দাম ৬ হাজার থেকে ২০ হাজার ডলার পর্যন্ত। তবে সেটাও ৩ বছরের জন্য। আর পারিবারিক প্যাকেজ ৫০ হাজার ডলার। তবে পেলের কবর থাকবে স্থায়ীরূপে।

সমুদ্রতীরে অবস্থিত সান্তোসের মাঠ ভিলা বেলমিরো স্টেডিয়াম, যা ‘আরবানো ক্যালডেরিয়া’ স্টেডিয়াম নামেও পরিচিত, সে মাঠের মাঝখানে পেলের কফিন নিয়ে যান ছেলে এডিনহোর নেতৃত্বে আত্মীয়স্বজন। এর পরই সারিবদ্ধভাবে ফুটবলের রাজাকে শেষ বিদায় জানানো শুরু করেন হাজারো ব্রাজিলিয়ান।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত