এবার রাজস্ব দাবি সুজনের
প্রকাশ : ০৫ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
স্পোর্টস রিপোর্টার
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) আদলেই গড়া হয়েছিল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। কিন্তু গত ১২ বছরে ৮ বার বিপিএল মাঠে গড়ালেও পেশাদারিত্বের কোনো ছোঁয়া দেখা যায়নি বাংলাদেশের এই ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে। তারপরও বিসিবির পক্ষ থেকে বরাবরই বলা হয় আইপিএলের পরই বিপিএল সর্বোচ্চ সেরা টুর্নামেন্ট। অথচ বিপিএলের প্রতিটি জায়গাতেই অগোছালো আর অব্যবস্থাপনার ছাপ। প্রতিটি আসরেই বিপিএল দেখা মেলে এমন হ-য-ব-র-ল অবস্থা। খুলনা টাইগার্সের কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন অবশ্য স্বীকারই করে ফেললেন, আইপিএলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারছে না বিপিএল। একইসঙ্গে ফ্রাঞ্চাইজি এই ক্রিকেটে রেভিনিউ শেয়ারিং সিস্টেম চালুরও দাবি জানান তিনি। ২০১২ সালে বিপিএল মাঠে গড়ানোর পর ব্যাপক আলোড়ন হয়েছিল। দলের নিলাম, খেলোয়াড় নিলাম থেকে শুরু করে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাক লাগিয়ে দেয় বিসিবি ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। কিন্তু সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বিপিএল যেন বর্ণহীন হয়ে পড়েছে। এই যেমন আগামীকাল শুক্রবার থেকে মাঠে গড়াবে এবারের বিপিএলের ৯ম আসর। এখনো সাকিবের ফরচুন বরিশাল ও তামিমের খুলনা টাইগার্স অনুশীলন জার্সি পায়নি। খুলনার তো মিডিয়া বিভাগও ওপেন হয়নি। কখন, কোথায় অনুশীলন সেইসব জানারও সুযোগ হচ্ছে না।
এখনো অনুশীলন জার্সি না পেয়ে হতাশ খালেদ মাহমুদ সুজন, ‘দৃষ্টিকটু লাগে। এজন্য ফ্রাঞ্চাইজিদের আরও একটু সক্রিয় হওয়া উচিত। এখানে হয়তো একটু ওনাদের গাফিলতি থেকে যাচ্ছে। এটা দেরি করে হচ্ছে। আবার যিনি কাপড় বানাচ্ছেন উনার একার পক্ষে হয়তো একসঙ্গে এতজনের কাপড় বানানো সম্ভবও না। অনেক টিমই দলের ড্রেস দিয়েছে। যেটা বাংলাদেশের নিয়ম, খেলার আগে সব ঠিক হয়ে যায়, এখানেও ঠিক হয়ে যাবে।’ শুধু কী তাই, বিপিএলের আগের আসরে ছিল না ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম (ডিআরএস)। অজুহাত হিসেবে দেখানো হয় তাড়াহুড়ো করে আয়োজনের কথা। এবার বলা হচ্ছে, একই সময়ে বেশ কিছু টুর্নামেন্ট আয়োজন হওয়াতে বিসিবি হক-আই আর ভার্চুয়াল-আই প্রযুক্তি সরবরাহকারীদের শিডিউল পায়নি! এই কারণে রবীন রাউন্ড লিগে ডিআরএস থাকছে না। অন্য অনেক কারণের সাথে ডিআরএস না থাকায় বিপিএল আরও বর্ণহীন হবে। সবকিছু মিলিয়ে খুলনা টাইগার্সের কোচ খালেদ মাহমুদ বলছেন, ‘পেশাদার হিসেবে আমরা খুবই ভালো ছিলাম। আইপিএলের পরই আমরা ছিলাম। কিন্তু সবাই এত এগিয়ে গেছে। এটা সত্য, আমাদের ফ্রাঞ্চাইজিরা ওপেন বিড (বিদেশি) করার পরও ড্রাফট থেকে খুব ভালো খেলোয়াড় পাইনি। যেহেতু দক্ষিণ আফ্রিকা টুর্নামেন্ট করছে। সারাবিশ্বে আইপিএলের ওপর কোনো ফ্রাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট নেই।
আমি খেলোয়াড় হলে এখানে না থেকে ওখানে যেতাম। আমার মনে হয় আমরা ভারতের মার্কেটের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারছি না। আমাদের ফ্রাঞ্চাইজি মালিকারাও যে খুব বড় বাজেটের দল করছেন তা নয়। তিন-চার বছর আগে তিন-চারটি দল বড় বাজেটের দল গড়লেও এখন আর কেউ সেটি করছে না।’
২০১২ সালে বিপিএলের যাত্রা শুরু হলেও এখনো ফ্রাঞ্চাইজি এই লিগটির কোনো কাঠামো দাঁড় হয়নি। প্রতি বছরই কোনো না কোনো বদল আসেই। নেই কোনো নিয়ম-নীতি। সবকিছুই হয় অনেকটা জোড়াতালি দিয়ে। রেভিনিউ শেয়ারিং সিস্টেম অনেক দূরের কথা, আর্থিক ভিত্তি গড়ার কোনো সিস্টেম এখনও তৈরি করতে পারেনি বিসিবি।