ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কোচই তাইজুলকে নামায়নি

কোচই তাইজুলকে নামায়নি

গতা শুক্রবার চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের প্রথম ম্যাচে নিহাদউজ্জামান ও মালিন্দা পুষ্পাকুমারা খেললেও বাইরে রাখা হয় তাইজুল ইসলামকে। সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স হেরেছে মূলত ব্যাটিং ব্যর্থতায়। স্রেফ ৮৯ রানে থেমে যাওয়া ম্যাচে তাদের ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে নানা প্রশ্নও উঠছে। তবে সবচেয়ে বড় বিস্ময়ের জন্ম হয়েছে বোলিং লাইন আপ নিয়ে। বাঁহাতি স্পিনে তারা ভরসা রেখেছে নিহাদউজ্জামান ও মালিন্দা পুষ্পাকুমারার ওপর। কিন্তু বাইরে রেখেছে তাইজুল ইসলামের মতো অভিজ্ঞ একজনকে। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে স্পিননির্ভর একাদশ সাজায় চট্টগ্রাম। দুই বাঁহাতি স্পিনার নিহাদ ও পুষ্পাকুমারার পাশাপাশি অফ স্পিনে হাত ঘোরান শুভাগত হোম ও আফিফ হোসেন। দলে জায়গা হয়নি তাইজুলের মতো পরীক্ষিত স্পিনারের।

শ্রীলঙ্কার বাঁহাতি স্পিনার পুষ্পাকুমারা তার নিজ দেশের লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগের সবশেষ আসরে দল পাননি। ২৪ বছর বয়সি নিহাদ দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের তেমন উজ্জ্বল কোনো পারফর্মার নন। বিপিএলে স্রেফ তিনটি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে তার, সবশেষটি সেই ২০১৭ সালে। যদিও সিলেটের বিপক্ষে লড়াইয়ের যথেষ্ট পুঁজি তাদের এনে দিতে পারেননি ব্যাটসম্যানরা। তবে এই দুই স্পিনারও তেমন কোনো প্রভাব রাখতে পারেননি। মিরপুরের উইকেটে তাইজুল কতটা কার্যকর হতে পারতেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ম্যাচের পরদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে চট্টগ্রামের বোলিং কোচ ও সাবেক পেসার রবিউল ইসলাম ব্যাখ্যা করেন তাইজুলকে না নেয়ার কারণ।

‘এটা (তাইজুলকে না নেয়া) আসলে তেমন কিছু না। টিম কম্বিনেশনের কারণে অনেক সময় অনেক কিছু মানিয়ে নিতে হয়। এজন্যই আসলে এমন হয়েছে।’ চট্টগ্রামের দলীয় সূত্রে জানা গেছে, একাদশ সাজানোর ক্ষেত্রে প্রধান কোচ জুলিয়ান উডের প্রভাব ছিল সর্বোচ্চ। দলের অনুশীলনে দেখেই তাইজুলকে বাইরে রেখে অন্য দুই বাঁহাতি স্পিনারকে খেলানোর সিদ্ধান্ত নেন তিনি। একাদশ বাছাই ছাড়াও অনেকের চোখে লেগেছে চট্টগ্রামের ব্যাটিং অর্ডারও। ভারতীয় ব্যাটসম্যান উন্মুক্ত চাঁদ মূলত টপ অর্ডার হলেও তাকে খেলানো হয় সাত নম্বরে। সম্প্রতি টি-টেন লিগে ওপেনিং এ ঝড় তো পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান উসমান খানকে খেলানো হয় ছয়ে। ঘরোয়া ক্রিকেটে এই সংস্করণে বেশিরভাগ সময় ফিনিশারের ভূমিকায় দেখা যায় যাকে, সেই শুভাগত হোম নামেন চার নম্বরে। আফিফ হোসেনকে খেলানো হয় পাঁচে। টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে এমন কিছু হতে পারে বলেই মনে করেন রবিউল। সামনে তাকিয়ে তিনি আশাবাদী দল নিয়ে। ‘শুরুতে অনেক সময় অনেক রকম সমস্যা হয়। আমাদের শুরুটা ভালো হয়নি। যত দ্রুত সম্ভব সমস্যাগুলো শুধরে নিয়ে আমরা ঘুরে দাঁড়াব। সামনে আমাদের অনেকগুলো ম্যাচ। এখান থেকে আমাদের পরিকল্পনা ম্যাচ বাই ম্যাচ খেলা।’ ‘অনেক সময়ই দেখা যায় একটি দল টুর্নামেন্টের শুরুতে খারাপভাবে শুরু করেছে। পরে সুন্দর করে গুছিয়ে নিয়ে ভালোভাবে এগিয়ে যায়। আমাদেরও এটাই পরিকল্পনা।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত