ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

জমে উঠেছে ‘বিসিবি-সাকিব’ খেলা

জমে উঠেছে ‘বিসিবি-সাকিব’ খেলা

বল মাঠে গড়ানোর দু’দিন আগে বিপিএলের অব্যবস্থাপনা ইস্যুতে ‘দুই-তিন মাসেই সব ঠিক করে দিতাম...’ বলেছিলেন সাকিব আল হাসান। তার কথার পর চারদিকে বয়ে গিয়েছিল আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। সহমত পোষ করেছিলেন মাশরাফি ও কোচ সালাহউদ্দিন। পরে তাকে প্রধান নির্বাহীর দায়িত্বে স্বাগত জানানোর কথা জানায় বিসিবি। সাকিব অবশ্য রোববার এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, সভাপতি হওয়াই ভালো মনে করেন সাকিব। গত কয়েকদিন তার মন্তব্য ও পাল্টা মন্তব্যে সরগরম ক্রিকেটাঙ্গন। এবার এ নিয়ে মুখ খুলেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তিনি বলেছেন, সাকিব বিপিএলের দলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ না থাকলে এখনই দিতেন দায়িত্ব, ‘আচ্ছা ও (সাকিব) হবে (বিপিএলের সিইও)? হলে তো এখনই দিতাম। ও অলরেডি টাকা নিয়ে নিছে একজনের কাছে থেকে..এখনই দিতাম, এবারই দিতাম। কি পরিবর্তনটা করতো? হ্যাঁ, বড়জোর বলতে পারতো আমি এফটিপির খেলা খেলবো না, এইতো। আমরা এটা মানি না। ও সিইও হয়ে বললেও তো আমরা মানবো না।’

সাকিবের সভাপতি হতে চাওয়ার ইচ্ছের কথাও বলেছেন পাপন। তিনি বলছেন, সাকিব দায়িত্ব নেবেন এমন বিশ্বাস নেই তার। এখানে নানা জটিলতাকেও সামনে এনেছেন বিসিবি সভাপতি, ‘দুইটা জিনিস দেখেন, সাকিব এর আগে একবার বলেছিল, আমি যদি বিসিবির সভাপতি হই তাইলে আমি... (সেরা কি যেন একটা করবো সভাপতি হবো), কোথায় জানি বলেছিল। কারণ ও জানে যে এটা আসলে সম্ভব না অন্য কারণে। বিসিবিতে হলে তো হবে না তাহলে তো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বাদ পড়তে হবে। এটা আসলে অন্য একটা ইস্যু। এখন যেমন বলেছে আমি যদি সিইও হই, ও তো হবে না সিইও। তো এটা বলতে অসুবিধা কি? এখন আমি যদি বলি বা আপনি যদি বলেন আমি যদি সাকিব হতাম এটা করবো। এটা আপনি বলেই দিচ্ছেন এটা সম্ভব না। ও পরোক্ষভাবে বলেই দিছে এটা সম্ভব না। এটাকে যেভাবে দেখি আরকি।’

এর মধ্যে আলোচনায় নতুন খবর। সাকিব জাতীয় দলে এখনো খেলছেন নিয়মিত, দুই ফরম্যাটের অধিনায়কও। দেশের আরেক তারকা ক্রিকেটার মাশরাফি জাতীয় দলে নেই অনেকদিন ধরে, ফিরে আসার সম্ভাবনাও কম। তাকে দায়িত্ব দেয়া নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা আছে। মাশরাফি বছর দুয়েক আগে বলেছিলেন, বোর্ড থেকে দায়িত্ব নেয়ার ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো প্রস্তাব পাননি।

তবে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানালেন, মাশরাফিকে দুদিন আগেও প্রস্তাব দেয়া হয়েছে বোর্ডে আসার। ‘নট আউট নোমান’কে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেছেন তিনি। পাপন বলেন, ‘পরশু দিনও বলেছি (মাশরাফিকে)। ওকে দেখেই বললাম...’। এরপরই বাস্তবতা মনে করিয়ে দেন পাপন, ‘একটা মানুষ যখন ফ্রি থাকে, তখন একরকম। আর যখন কেউ কোনো কিছুতে জড়িয়ে যায়, তখন আরেক রকম। কীভাবে বলবো বলেন, একটা বোর্ড কী করে; আমি যদি এখন...ধরেন, যেকোনো একটা পোস্ট চিন্তা করেন। টিম ম্যানেজার নেবো, কী করি? আমরা আগে দুয়েকজনের সঙ্গে কথা বলাই। এরপর কথা বলে দেখি সে আগ্রহী কি না। ওর প্রত্যাশা কী। এটা জানার পর যদি দেখি হবে, তখন তাকে চিঠি দেবো। আগে কী দেবো? তারপর যদি না নেয়? এটা কি বোর্ডের জন্য ভালো হবে?’

উপযুক্ত জায়গার দায়িত্ব পাওয়াকেও চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন পাপন, ‘মাশরাফিকে আমরাও চাই। এখন ও আসবে কোথায়। একটা কথা ভুলে গেলে হবে না ও একজন সম্মানিত সংসদ সদস্য। ওকে আমি যেকোনো জায়গায় দিলে হবে না। ওর সময়...ও সময় দিতে পারবে কি না। কারণ রাজনীতিতে বেশ সময় দেয় এখন। যদি বলি বয়সভিত্তিক চালাও, এইচপির প্রধান হও। দায়িত্ব নাও বা যাই বলি, তুমি টিম ম্যানেজার হও, দলের সঙ্গে যাও; এগুলো কিন্তু আগে যেরকম সহজ ছিল, যত দিন যাচ্ছে তত কঠিন হচ্ছে। আমি তাকে আবার..পরশু দিনই তাকে বললাম, আমি চাই তুমি আসো। তুমি চিন্তা করে দেখো কোনটা করলে তোমার পক্ষে সম্ভব বা তুমি আগ্রহী কি না।’ মাশরাফিকে বোর্ড দায়িত্ব দিতে চায় জানিয়ে পাপন বলেন, ‘এর চেয়ে বেশি আর কী বলবো? আপনারা বলতে চাচ্ছেন আমি কেন লিখিত দিলাম না। কীসের লিখিত দেবো? এভাবে লিখিত দেওয়া যায় না তো। এই যে কোচদের আমরা নেই, কথা বলে দেই? আগে আগ্রহ জানতে হবে, মিলতে হবে। মাশরাফি কোনো ব্যাপার না। ও চিন্তা করে দেখুক, সময় যদি দিতে, কেন নয়? ওকে আমরা কাজে লাগাতে চাই এবং লাগাতে পারবো। ’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত