ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সামনে হাতুরাসিংহে, পেছনে শ্রীরাম

সামনে হাতুরাসিংহে, পেছনে শ্রীরাম

জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ হচ্ছেন কে সময় গড়াচ্ছে, ততই স্পষ্ট হয়ে উঠছে উত্তর, ফেরানো হচ্ছে চন্দ্রিকা হাতুরাসিংহকে। এই শ্রীলঙ্কানের নাম যত স্পষ্ট হয়ে উঠছে, ততই ফিকে হয়ে যাচ্ছে শ্রীধরন শ্রীরামের নাম। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিবির এক কর্মকর্তা জানান, ‘হাতুরাসিংহের সম্ভাবনা ৯০ শতাংশ।’ ৯০ শতাংশ অনিশ্চয়তা ভারতের শ্রীরামকে নিয়ে। হাতুরাসিংহে এক মেয়াদে কোচিং করিয়ে গেছেন। সাফল্যের কারণে নতুন কোচসংক্রান্ত আলোচনায় বারবার ঘুরেফিরে তার নাম এসেছে। তবে সেসব আলোচনার ডালপালা আর গজায়নি। রাসেল ডমিঙ্গো চলে যাওয়ার পর প্রবলভাবে আলোচনায় ফিরে এসেছে হাতুরাসিংহের পুনর্নিয়োগ। নিজের পছন্দের কোচিং স্টাফ নিয়োগ-সংক্রান্ত শর্ত থেকে সরে দাঁড়ালে আবারও বাংলাদেশে ফিরবেন হাতুরাসিংহে।

ডমিঙ্গোর মেয়াদকালে ভিন্ন পদ দিয়ে শ্রীরামকে টি-টোয়েন্টির খণ্ডকালীন কোচ করে আনে বিসিবি। বিসিবির পরিকল্পনায় শ্রীরামের চুক্তি নবায়নের ছক ছিল, তিনি মূলত টি-টোয়েন্টি দলেরই কোচ থাকবেন। তবে ব্যস্ত সূচির কারণে টেস্ট ও ওয়ানডে দলের কোচ বিশ্রাম চাইলে ওসব ফরম্যাটেও আপৎকালীন কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন শ্রীরাম। আবার এই ভারতীয় আইপিএলে দায়িত্ব পালনকালে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের খেলা থাকলে অন্য দুই সংস্করণের কোচ দল পরিচালনা করবেন। কিন্তু হাতুরাসিংহে ও শ্রীরামের সঙ্গে দেন-দরবারের পর ভাবনায় কিছু বদল এসেছে বিসিবির শীর্ষ মহলে।

প্রথমত, প্রধান কোচের পছন্দমাফিক কোচিং স্টাফ নিয়োগে আপত্তি আছে বিসিবির। অতীতে দেখা গেছে, কোচিং স্টাফরা একজোট হয়ে গেছেন। আবার আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এটাই রীতি যে প্রধান কোচ নিজের পছন্দে কোচিং স্টাফ সাজাবেন। বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী জানান, ‘এমন কিছু কিন্তু চুক্তিতে থাকে না। বলা যায়, এটা একটা রীতি। তাই নতুন কোচের কথামতো কোচিং স্টাফ সাজাতে হবে, বিষয়টি তেমন না। আমাদেরও বলার জায়গা থাকবে।’

সেই ‘বলার জায়গা’য় সাংঘর্ষিক একটি বিষয়ও আছে বলে জানা গেছে! হাতুরাসিংহেকে প্রধান কোচ করে আনার ব্যাপারে মোটামুটি একমত বিসিবি। কিন্তু এক ড্রেসিংরুমে ভিন্ন ফরম্যাটের দুই হেড কোচ নিয়োগ কতটা ‘স্বাস্থ্যকর’ হবে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তা আছে প্রশাসক মহলে। ‘আধুনিক ক্রিকেট অনেক পাল্টেছে। তিনটি ফরম্যাট মিলিয়ে অনেক খেলা। তাই চাইলেও একজনকে দিয়ে কাজ চালানো কঠিন। তারও তো সংসার আছে, ছুটির দরকার হতে পারে। আবার হেড কোচ পদে দুজনকে অ্যাকোমোডেট করাতেও সমস্যা’, বলছিলেন নিজাম উদ্দিন। বোর্ডের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, ‘কোচিং স্টাফ যে ছকেই হোক, হেড কোচ একজনই থাকবেন।’ সেই একজন চন্দ্রিকা হাতুরাসিংহের হওয়াটা একরকম নিশ্চিত। এটা গোপন কিছু নয় যে ড্রেসিংরুমে একক কর্তৃত্বে বিশ্বাসী চন্দ্রিকা হাতুরাসিংহে। সেখানে কাউকে ভাগ দিতে রাজি নন তিনি। আর কোচ নিয়োগ-সংক্রান্ত আলোচনায় প্রভাব রাখতে পারেন, এমন ক্রিকেটাররাও নাকি হাতুরাসিংহের পক্ষেই ভোট দিয়েছেন। তাই সম্ভাবনার রেসে একেবারে পেছনের সারিতে শ্রীধরন শ্রীরাম।

প্রধান কোচের মতো পারফরম্যান্স ম্যানেজার নিয়োগেরও চূড়ান্ত পর্যায়ে বিসিবি। টম মুডির সঙ্গে এই পদে রিচার্ড পাইবাসের নামও আলোচিত হয়েছিল। কিন্তু এই দক্ষিণ আফ্রিকানের সঙ্গে বিসিবির পুরোনো অভিজ্ঞতা আনন্দদায়ক নয়। বরং অস্ট্রেলিয়ার টম মুডি বেশি সময় দিতে পারবেন বলে বিশ্বাস বিসিবির।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত